ফরজ গোসলের সহীহ নিয়ম ও দোয়া

0

 

ফরজ গোসলের সহীহ নিয়ম ও দোয়া

ফরজ গোসলের সহীহ নিয়ম ও দোয়া


আপনি সারাজীবন খুব ভালো ভাবে ইবাদত করে কাটালেন। মৃত্যুর পরে বিচার দিবসে যখন আপনার আমলনামা আপনার হাতে দিবে, তখন দেখলেন আপনার আমলনামায় কোন আমল জমা হয়নি। তখন আপনার চাইতে কপাল পোড়া আর কেউ থাকবে?

হ্যা এমনটাই হবে, যদি নিয়ম না জেনে ফরজ গোসল করেন। কারণ ফরজ গোসল সঠিক পদ্ধতিতে না করলে সারাজীবনই নাপাক অবস্থায় কাটাবেন। বিশেষ করে অনেকেই লজ্জায় কোনো আলেম বা যারা জানেন তাদের কাছে কোনদিনই জানতে যাননি। না জেনে যদি এভাবেই তোমার জীবনঘড়ি থেমে যায় কেমন হবে সেই সময়টা একটু চিন্তা করে দেখুন। একটু লজ্জায় সারাজীবনের ইবাদত বরবাদ।


ফরজ গোসলের সহীহ নিয়ম ও দোয়া


যে সব কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ

১. স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে।

২. সহবাসে (সহবাসে বীর্যপাত হোক আর নাই হোক)।

৩. মেয়েদের হায়েয-নিফাস শেষ হলে।

৪. ইসলাম গ্রহন করলে (নব-মুসলিম হলে)।

.

গোসলের ফরজ ৩ টিঃ

১. গড়গড়া সহ কুলি করা, যাতে পানি গলার হাড় পর্যন্ত পৌছে।

২. হাতে পানি নিয়ে নাকের নরম হাড় পর্যন্ত পানি পৌছানো।

৩. সমস্ত শরীর উত্তম রুপে ধৌত করা।

.

ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম কানুনঃ

গোসলের নিয়ত করা বা দোয়া হল, ‘বিসমিল্লাহ’ বলে গোসল শুরু করা।


দুই হাত কবজি পর্যন্ত ধোওয়া (বুখারী ২৪৮)।


পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করা (বুখারী ২৫৭)।


বাম হাতটি ভালভাবে ঘষে ধুয়ে নেওয়া (বুখারী ২৬৬)।


নামাজের ওজুর মতো ভালভাবে পূর্ণরূপে ওজু করা। এক্ষেত্রে শুধু পা দুটো বাকি রাখলেও চলবে, যা গোসলের শেষে ধুয়ে ফেলতে হবে। (বুখারী ২৫৭, ২৫৯, ২৬৫)।

মাথায় পানি ঢেলে চুলের গোড়া ভালভাবে আঙ্গুল দিয়ে ভিজানো। (বুখারী ২৫৮)।

.

পুরো শরীরে পানি ঢালা; প্রথমে ডানে ৩বার,

পরে বামে ৩বার, শেষে মাথার উপর ৩ বার। (বুখারী ১৬৮)।


(যেন শরীরের কোন অংশ বা কোন লোমও শুকনো না থাকে।


পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।


নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় অবশ্যই পানি ঢালতে হবে)।


গোসলের জায়গা থেকে একটু সরে গিয়ে দুই পা ধোওয়া।(বুখারী ২৫৭)।

.

এটাই হচ্ছে গোসলের পরিপূর্ণ পদ্ধতি। উল্লেখ্য, এইভাবে গোসল করলে এর পরে নামায পড়তে চাইলে আলাদা করে ওযু করতে হবেনা, যদিনা গোসল করার সময় ওযু ভংগের কোনো কারণ ঘটে থাকে।

.

গোসলের পরে কাপড় চেঞ্জ করলে বা হাঁটুর উপরে কাপড় উঠে গেলে ওযু ভাংবেনা, এটা ওযু ভংগের কারণ না।


Tags

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)

ads1

ads 2

 


#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !