শিশু স্বাস্থ্য এবং কুসংস্কার
বাচ্চাদের খাবার এবং ওষুধ সম্পর্কে পিতামাতার বিভিন্ন কুসংস্কার রয়েছে। সাধারণভাবে কেবল বাবা-মা নয়, আত্মীয়স্বজনও, পুরো পরিবার চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন।
এই কুসংস্কার বা ভুল ধারণা বাচ্চার বিকাশে বাধা দেয়। কৃমির ওষুধ সাধারণত দুই বছরের বেশি বয়সী বাচ্চাদের নিয়মিত দেওয়া হয়। তবে খোলা চোখ বা মল পরীক্ষা করে যদি 2 বছরের কম বয়সী কোনও শিশুটির টয়লেটে কৃমি পাওয়া যায় তবে তাদের খাওয়ানো যেতে পারে।
যদি পরিবারের কোনও সদস্যের কৃমি হয় তবে পরিবারের অন্য সদস্যরাও এর ক্ষতি করতে পারেন। তাই কোনও সন্তানের কীট চিকিত্সার সময় পরিবারের সকল সদস্যের সাথে চিকিত্সা করা ভাল।
অনেকে মনে করেন গরম আবহাওয়ার সময় কৃমির medicineষধ দেওয়া উচিত নয়। এটি একটি ভুল ধারণা। কৃমির ওষুধ বছরের যে কোনও সময়, যে কোনও মরসুমে খাওয়ানো যেতে পারে।
দুর্বল ও অসুস্থ বাচ্চাদের এবং অপুষ্ট শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর কোনও সমস্যা নেই তবে এই শিশুদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পোকামাকড় করা উচিত।
অনেকে মনে করেন নবজাতকের চুল খারাপ এবং এটি কেটে ফেলে। তবে শিশু বড় হওয়ার আগে চুল কাটা ঠিক নয়। আবার অনেকে মনে করেন আপনি ঘন ঘন শেভ করলে আপনার চুল ঘন হবে। আসলে, আপনি যদি পুষ্টিকর খাবার খান এবং চুলের যত্ন নেন তবে আপনার চুল দ্রুত বাড়বে।
অনেক পিতামাতা তাদের বাচ্চাদের সহজেই টক বা টক ফল খেতে দেয় না কারণ এটি তাদের মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। তবে মশলাদার খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। মশলাদার খাবার ত্বকের ক্ষত নিরাময় সহ বিভিন্ন উপায়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।