৭ম শ্রেণির ৩য় এস্যাইনমেন্ট, বিষয়: কৃষি শিক্ষা

 

৭ম শ্রেণির ৩য় এস্যাইনমেন্ট, বিষয়: কৃষি শিক্ষা

৭ম শ্রেণির তৃতীয় এস্যাইনমেন্ট, বিষয়: কৃষি শিক্ষা

এ্যাসাইন্টমেন্টের ক্রম: নির্ধারিত কাজ-১


অধ্যায় ও বিষয়বস্তুর শিরােনাম:


১ম অধ্যায়: কৃষি ও আমাদের সংস্কৃতি

২য় অধ্যায়: কৃষি প্রযুক্তি

পাঠ-১: পানিসেচের প্রয়ােজনীয়তা ও কার্যকারিতা

পাঠ-২: সেচ পদ্ধতি

৩য় অধ্যায়: কৃষি উপকরণ


পাঠ-১: উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান

পাঠ-২: পুষ্টি উপাদানের কাজ

এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ: ১.

(ক) বাংলাদেশের মানুষকে মাছে ভাতে বাঙালি বলা হয় কেন?

(খ) একটি সমাজ গঠন করতে কৃষি কিভাবে ভূমিকা পালন করে?

(গ) কিভাবে সেচের পানি অপচয় হয়? ফলগাছের গােড়ায় এবং শাকসবজির ক্ষেতে কোন কোন পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়?

রুট সটক ও সায়ন বলতে কী বুঝ?

(ঘ) ২টি সবুজ সারের নাম লিখ;

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

More Assignment Links==>>Click

সৃজনশীল প্রশ্ন: ২.

সিয়াম তার বাড়িতে মরিচ গাছ চাষ করে। মরিচ গাছগুলাে বাড়ার সাথে সাথে গাছের পাতার রঙ বিবর্ণ হয়ে সমগ্র পাতায় ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থা দেখে সিয়ামের চাচা পরিমিত মাত্রায় সার প্রয়ােগের পরামর্শ দেন।

(ক) সিয়ামের টবে কোন পুষ্টি উপকরণের অভাব ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।

(খ) সিয়ামের চাচার পরামর্শ মূল্যায়ন কর।


মুল্যায়ন নির্দেশক:

উদ্দীপকের আলােকে ধারণার ব্যাখ্যা প্রদান

বিষয়বস্তুর ধারণা সম্পর্কে উদ্দীপকের আলােকে

সংশ্লেষণ/বিশ্লেষণ/সিদ্ধান্ত গ্রহণ

এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ: ১.

(ক) বাংলাদেশের মানুষকে মাছে ভাতে বাঙালি বলা হয় কেন?


উত্তর: বাংলাদেশের মানুষকে মাছে ভাতে বাঙালি বলা হয় কেন?


মাছে ভাতে বাঙালি কথাটি প্রকৃত অর্থেই সঠিক, মাছ ও ভাতের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক বহুকালের। আদিকাল থেকেই মাছ খেতো বাঙালি। মাছের সঙ্গে ভাতের সম্পর্ক নিবিড় হওয়ার কারণটি হলো বাঙালির মুখ্য খাদ্য ভাত এবং দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পছন্দের পদ মাছ। আরেকটি প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ,

 

ধান ও মাছ দুইই সহজলভ্য। আর খাদ্য উপাদানের সহজলভ্যতা কোনো অঞ্চলের খাদ্যসংস্কৃতির মূল ভিত তৈরি করে। যে অঞ্চলে খাবারের যে উপাদান সহজলভ্য, সে অঞ্চলে সে উপাদানকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে সেই অঞ্চলের প্রধান খাদ্যের পরম্পরা।

এর ফলেই ভাত ও মাছ কালক্রমে বাঙালির প্রধান খাদ্য হয়ে ওঠে। সেজন্যই সমগ্র বাঙালি জাতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে মাছে ভাতে বাঙালি কথাটি।


(খ) একটি সমাজ গঠন করতে কৃষি কিভাবে ভূমিকা পালন করে?


উত্তর: একটি সমাজ গঠন করতে কৃষি কিভাবে ভূমিকা পালন করে?? অনুধাবন মূলক এ প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। একটু পরেই প্রকাশ করা হবে তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান, সমাধান পত্র তৈরির কাজ চলছে।


একটি সমাজ গঠন করতে কৃষি কিভাবে ভূমিকা পালন করে?

একটি সমাজ গঠন করতে কৃষি কিভাবে ভূমিকা পালন করে. সমাজ গঠনে কৃষি প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


সমাজ গঠনে কৃষি প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি কাজের মূল চালক হলো কৃষক। কৃষক মাঠে ফসল ফলায়, মাঠ থেকে ফসল সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে আসে পরবর্তীতে বাড়িতে আনা ফসল যত্ন করে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। 


তাছাড়া পুরুষের পাশাপাশি বাড়ির মহিলারা হাঁস-মুরগী পালন করে। এভাবেই মানুষের মাঝে শ্রম বিভাজন হয় এতে করে একটি ঐক্যবদ্ধতা গড়ে ওঠে। প্রথমে যদিও এই ঐক্যবদ্ধতা পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে পরবর্তীতে তা সামাজিক ঐক্য হয়ে দাঁড়ায়। এই সামাজিক ঐক্যবদ্ধতাই সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


 সভ্যতার গোড়ার দিকে মানুষ যখন গুহায় বসবাস করা শুরু করলো এবং পরবর্তীতে গুহা ছেড়ে মাটি ও কাঠের ঘর-বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করল। ঠিক তখন থেকেই বেশ কিছু পরিবারের বসতবাড়ি মিলে গ্রামের পত্তন হয়। মানুষ তার বুদ্ধি এবং শ্রম দিয়ে কৃষিকে করেছে উন্নত থেকে উন্নততর। 


ফলে পরিধি বেড়েছে কৃষি ক্ষেত্রের বেড়েছে উৎপাদন সেই সাথে মানুষের আস্থা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এভাবেই একটি সমাজ গঠনে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

More Assignment Links==>>Click

 


(গ) কিভাবে সেচের পানি অপচয় হয়? ফলগাছের গােড়ায় এবং শাকসবজির ক্ষেতে কোন কোন পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়? 


উত্তর:  কীভাবে সেচের পানির অপচয় হয়? অনুধাবন মূলক এ প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। একটু পরেই প্রকাশ করা হবে তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান, সমাধান পত্র তৈরির কাজ চলছে।


যেভাবে সেচের পানি অপচয় হয়?

আমাদের দেশে পানির ব্যবহার এখনও পরিকল্পিতভাবে করা হয় না। পানিকে সবচেয়ে সহজলভ্য ভেবে যে যেভাবে ইচ্ছে তা ব্যবহার করে। এর ফলে যা হচ্ছে তা হল বিশুদ্ধ পানিকে আমরা নিয়মের বাইরে গিয়ে যে যার মতো তুলছি এবং ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় বাড়াচ্ছি। পানির অপরিকল্পিত ব্যবহারে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর খালি হচ্ছে তা কিন্তু নয়। এর সঙ্গে দূষণের একটি বড় স¤পর্কও রয়েছে। পানির দূষণের হার ও পানির দূষণের কারণ যখন দুটোই বেড়েছে তখন পানি নিয়ে ভাবনা কিন্তু আমাদের বাড়াতেই হবে।


সেচ কাজে পানির ব্যবহার আমাদের দেশে প্রচুর। কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশের চারপাশে নদী থাকার কারণে পানির পর্যাপ্ততা ও পানির স্বাদ দুই-ই বেশি। কিন্তু শুকনো মৌসুমে পানির চাহিদা পূরণের মাধ্যম একটিই- তাহলো ভূগর্ভস্থ পানি। প্রযুক্তির কারণে পানি না পেলেই আমরা আরও গভীর নলকূপ বসাই। একসময় পানিকে পাওয়ার জন্য হাজার হাজার ফুট নিচেও আমরা পানির নলকূপ বসাই। আর যাচ্ছেতাইভাবে পানি তুলে তা ফেলে দেই।


পানির অপচয় রোধ করতে ও ভূগর্ভস্থ পানির যত্নে মনোযোগী হওয়ার জন্য হলেও বিষয়গুলো নজরে আনা প্রয়োজন। এক বিঘা জমিতে কী পরিমাণ পানি লাগবে এবং কী পরিমাণ পানি হলে তা অপচয় হবে বিষয়গুলো ঠিক করে দিতে হবে। শুকনো মৌসুমে যে পানি তোলা হয় তা খালে গিয়ে পড়ে চলে যায় নদীতে। পানি জমিয়ে রাখার ব্যাপারেও কাজ করা যেতে পারে। বৃষ্টির পানি ধরে রেখে কৃষিতে ব্যবহারের পরিকল্পনাও প্রয়োজন। আশা করি পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।

রুট সটক ও সায়ন বলতে কী বুঝ?

উত্তর: রুট স্টক ও সায়ন বলতে কী বুঝ? অনুধাবন মূলক এ প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।একটু পরেই প্রকাশ করা হবে তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান, সমাধান পত্র তৈরির কাজ চলছে।


রুট স্টক ও সায়ন বলতে কী বুঝ?

রুট স্টক ও সায়নের জোড়া লাগানো পদ্ধতিকে জোড়া কলম বলে। জোড়া কলম প্রধানত দুই ধরনের হয়। যেমনঃ যুক্ত জোড়া কলম ও বিযুক্ত জোড়া কলম। জোড়া কলম এর মাধ্যমে বর্তমানে আম,  তেজপাতা,  সফেদা প্রভৃতি গাছের বংশবিস্তার করা হচ্ছে।


জোড়া কলম এর প্রধান দুটি অংশ হলোঃ


১) রুট স্টকঃ অনুন্নত যে গাছের সঙ্গে জোড়া লাগানো হবে সে গাছটিকে রুট স্টক বলে।

২) সায়নঃ যে অঙ্গে উন্নত জাতের গাছের স্টকের সঙ্গে লাগানো হবে তাকে বলা হয় সায়ন


(ঘ) ২টি সবুজ সারের নাম লিখ;


উত্তর: ২ টি সবুজ সারের নাম লিখ? কৃষিক্ষেত্রে সবুজ সার তৈরি করা হয় উপড়ে ফেলা বা বপন করা ফসলের পরিত্যক্ত অংশগুলি দিয়ে।

২ টি সবুজ সারের নাম হলঃ

২ টি সবুজ সারের নাম লিখ?

 
কৃষিক্ষেত্রে সবুজ সার তৈরি করা হয় উপড়ে ফেলা বা বপন করা ফসলের পরিত্যক্ত অংশগুলি দিয়ে।
২ টি সবুজ সারের নাম হলঃ
 
১। জৈব সার বা কম্পোস্ট সারঃ গোবর, কম্পোস্ট, আবর্জনা,খড়কুটা, আগাছা পচিয়ে জৈব সার তৈরী করা হয়।
২ ।  রাসায়নিক সারঃ এই ধরনের সারে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম থাকে।

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

More Assignment Links==>>Click

সৃজনশীল প্রশ্ন: ২.


সিয়াম তার বাড়িতে মরিচ গাছ চাষ করে। মরিচ গাছগুলাে বাড়ার সাথে সাথে গাছের পাতার রঙ বিবর্ণ হয়ে সমগ্র পাতায় ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থা দেখে সিয়ামের চাচা পরিমিত মাত্রায় সার প্রয়ােগের পরামর্শ দেন।


(ক) সিয়ামের টবে কোন পুষ্টি উপকরণের অভাব ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।


উত্তর: 

সিয়ামের টবে কোন পুষ্টি উপকরণের অভাব ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।

 
সিয়ামের টবে মরিচগাছগুলো আয়রন বা লৌহ পুষ্টির অভাব ঘটেছে। কারন গাছে আয়রন বা লৌহ পুষ্টির অভাব হলে কচি পাতার সবুজ রঙ বিবর্ণ হয়ে যায় এবং পরে সমগ্র পাতায় ছড়িয়ে পরে।
আয়রন বা লৌহ গাছের সবুজ কণিকা (ক্লোরোফিল) গঠন করে। বীজ উৎপাদনে এবং ফলের গুণগত মান বাড়ায়। শিকড় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।


(খ) সিয়ামের চাচার পরামর্শ মূল্যায়ন কর।


উত্তর: সিয়ামের চাচার পরামর্শ মূল্যায়ন কর।

 
সিয়ামের মরিচগাছগুলো অবস্থা দেখে তাঁর চাচার সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগের পরামর্শটি যথার্থ। কারণ: উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য গৌণ পুষ্টি উপাদান (আয়রন বা লৌহ, তামা, দস্তা , বোরন, ম্যাঙ্গানিজ) অল্প মাত্রায় প্রয়োজন। তাই গাছের পরিপূর্ণ বৃদ্ধিতে সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করা উচিত।

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

More Assignment Links==>>Click


0 Comments

Advertisement 2

Advertisement 3

Advertisement 4