গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৭ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট ।। ৩য় এস্যাইনমেন্ট
৭ম শ্রেণি, ৩য় এস্যাইনমেন্ট, বিষয়: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান
এ্যাসাইন্টমেন্টের ক্রম: নির্ধারিত কাজ-১
অধ্যায় ও বিষয় বস্তুর শিরােনাম:
১ম অধ্যায়: গৃহ ব্যবস্থাপনার স্তর ও গৃহ সম্পদ
২য় অধ্যায়: গৃহ সামগ্রী ক্রয়
এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ:
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
ক) সম্পদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী তােমার পরিবারের সম্পদগুলাে চিহ্নিত করাে।
খ) অর্থ দিয়ে কোন কোন কাজগুলাে করা যায়? ব্যাখ্যা করাে।
গ) তােমার ঘর পরিপাটি ও পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে কাজ সহজকরণের কোন কলাকৌশলগুলাে অবলম্বন করবে তা উল্লেখ করাে।
সৃজনশীল প্রশ্ন:
More Assignment Links==>>Click
২. করিম সাহেব তাড়াহুড়া করে লেখাপড়ার সামগ্রী ক্রয়ের জন্য বাজারে গেলেন। বাজার থেকে নিজে চিন্তা করে প্রয়ােজনীয় সামগ্রী ক্রয় করে আনলেন। বাড়িতে আসার পর তাঁর ছেলে স্কেল চাইলে তিনি স্কেল দিতে অসামর্থ্য হন।
তাছাড়া তিনি যে কোম্পানীর কলম চেয়েছিলেন তা না দিয়ে বিক্রেতা তাকে নকল কোম্পানীর কলম দেন। কলম ফেরত দিতে গেলে বিক্রেতা তা ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানান।
ক) করিম সাহেব ক্রয়ের কোন নীতি অনুসরণ করেননি বলে তুমি মনে করাে, ব্যাখ্যা করাে।
খ) কলম কিনতে গিয়ে ভােক্তার অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর:
Home Science Assignment Answers of Class 7
১. ক) সম্পদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী তােমার পরিবারের সম্পদগুলাে চিহ্নিত করাে।
উত্তর: সম্পদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আমার পরিবারের সম্পদগুলাে চিহ্নিত করা হলো
বাড়িঘর জমিজমা টাকাপয়সা আসবাবপত্র সরঞ্জাম ইত্যাদিকে সম্পদ হিসেবে আমরা সবাই জানি।
এগুলো আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করি। তবে গৃহ ব্যবস্থাপনার ধারাবাহিক স্তর থেকে আমরা জেনেছি যে, পরিবারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের সম্পদ ব্যবহার করা হয়। এখানে চাহিদা পূরণের হাতিয়ারকে সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
সম্পদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আমার পরিবারের সম্পদঃ
- মানব সম্পদ
- শক্তি
- সময়
- দক্ষতা
অমানবীয় বা বস্তুগত সম্পদ
- জমিজমা
- বাড়ি
- বস্তু সামগ্রী
খ) অর্থ দিয়ে কোন কোন কাজগুলাে করা যায়? ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: অর্থ দিয়ে কোন কোন কাজগুলাে করা যায়? ব্যাখ্যা করাে।
অর্থ পরিবারের একটি অন্যতম প্রধান বস্তুগত সম্পদ।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে মৌলিক চাহিদা গুলো রয়েছে সেগুলো পূরণ করতে অর্থের প্রয়োজন। চাকরি, ব্যবসা, পুঁজি বিনিয়োগ বা যেকোন পেশার মাধ্যমে মানুষ অর্থ আয় করে।
অন্যান্য বস্তুগত সম্পদ এর মধ্যে অর্থের কার্যকারিতা সবচেয়ে বেশি।
অর্থ দ্বারা যে সমস্ত কাজ করা যায়ঃ
অর্থ দ্বারা যে সমস্ত কাজ করা যায় তা নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলো-
- বিনিময়ের মাধ্যম: অর্থ হল জিনিস বিনিময়ের মাধ্যম। অর্থের পরিবর্তে প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়।
- মূল্যের পরিমাপক: টাকার অঙ্কে আমরা জিনিসের দাম জানতে পারি।
- ঋণ পরিশোধের মান: ঋণের লেনদেন অর্থের মাধ্যমে হয়।
- সঞ্চয় এর ভান্ডার: ভবিষ্যতের জন্য আমরা অর্থ সঞ্চয় করি।
গ) তােমার ঘর পরিপাটি ও পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে কাজ সহজকরণের কোন কলাকৌশলগুলাে অবলম্বন করবে তা উল্লেখ করাে।
উত্তর: ঘর পরিপাটি ও পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে কাজ সহজ করার কলাকৌশল
আমরা জেনেছি সময় ও শক্তি হচ্ছে খুবই সীমিত দুটো সম্পদ। দুটোর মধ্যে সময় একেবারে সীমিত, যা সবার জন্য সমান।
কাজ সহজ করণ বলতে বোঝায়-
- নির্দিষ্ট একটা কাজে অল্প সময় ও শক্তি ব্যয় করা
- নির্দিষ্ট সময় ও শক্তি ব্যয় করে অধিক কাজ করা
কাজ সহজীকরণের বিভিন্ন রকম কলাকৌশলগুলো আয়ত্ত করে ফেললে কাজগুলো সহজ হয়ে যায় এবং সময়ের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত হয়। আমার ঘর পরিপাটি ও পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে কাজ সহজকরণে যে কৌশলগুলো অবলম্বন করব তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
দেহের অবস্থান গতিতে পরিবর্তন: কাজ করার সময় দেহের সঠিক অবস্থান ও ভঙ্গি বজায় রাখলে কম শক্তি ব্যয় বেশি কাজ করা যায়। যেকোন কাজ করার সর্বোচ্চ ও স্বাভাবিক পরিসর সম্পর্কে ধারনা থাকলে কম শক্তি ব্যয়ে সহজেই কাজটি করা যায়।
কাজ করার স্থানে ও কাজের সরঞ্জামের পরিবর্তন: কাজের জন্য স্থান ও সাজ-সরঞ্জামের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাধন করে কাজ সহজ করা যায়। প্রত্যেক কাজের একটা নির্দিষ্ট স্থান থাকে এবং সেখানে কাজটি করতে পারলে সময় শক্তির অপচয় রোধ করা যায।
কাজে বিভিন্ন উপকরণের পরিবর্তন: আজকাল গৃহের কাজ সহজ করার জন্য বিকল্প উপকরণের ব্যবহার করা হয়। যেমন- ডিসপোজেবল থালা, গ্লাস ইত্যাদি। এগুলো একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়। ফলে কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়।
সবশেষে আমরা বলতে পারি যে, কাজ সহজ করনের আরো কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে আমরা সহজেই আমাদের কাজগুলো করে ফেলতে পারি। তবে আমরা যেই কাজই করতে চাই না কেন তা আগে থেকেই তালিকা করে রাখলে কাজ অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়।
২. ক) করিম সাহেব ক্রয়ের কোন নীতি অনুসরণ করেননি বলে তুমি মনে করাে, ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: বিষয়বস্তুর ধারণা: দ্রব্য সামগ্রী কেনার সময় কিছু নীতি অনুসরণ করলে ভোক্তা লাভবান হয়ে থাকেন। তিনি আগে থেকে পরিকল্পনা, দ্রব্য সামগ্রীর তালিকা প্রণয়ন, গুনাগুন যাচাই এবং যদি বাজার মূল্য সম্পর্কে ধারণা রাখেন তবে অনেকাংশে লাভবান হতে পারবেন।
পাঠ্যপুস্তক ও উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা:
পাঠ্যপুস্তকে দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করার জন্য কিছু নীতির কথা বলা হয়েছে। যেগুলো মেনে চললে সহজেই প্রয়োজনীয় ও চাহিদা মাফিক জিনিস ক্রয় করা যায়। উদ্দীপকে করিম সাহেব ক্রয় করার তেমন কোন নীতি অনুসরণ না করায় করিম সাহেবের ভোক্তা অধিকার আইন ক্ষুন্ন হয়েছে।
চাহিদা পূরণের জন্য যে কোন দ্রব্য বা জিনিস আমরা বিক্রেতার কাছ থেকে কিনে থাকি। তাই কোন দ্রব্য বা দ্রব্য সামগ্রী কেনার জন্য কিছু নীতি অনুসরণ করা প্রয়োজন। উদ্দীপকে করিম সাহেব কোন নীতি অনুসরণ না করায় করিম সাহেবের ভোক্তার অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে।
করিম সাহেব একজন ভোক্তা, তার নিম্নের অধিকারগুলো রয়েছে-
১। নিরাপত্তা রধিকার
২। জানার অধিকার
৩। অভিযোগ করার অধিকার
৪। ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার
৫। বাছাই করার অধিকার
৬। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এর অধিকার
৭। ভোক্তার শিক্ষা লাভের অধিকার
উদ্দীপকে করিম সাহেবের ৩ ও ৪ নং অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে।
খ) কলম কিনতে গিয়ে ভােক্তার অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর:গৃহ সামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকলে, অনেক সময় সঠিক সামগ্রী ক্রয় করা সম্ভব হয় না। অর্থের মাধ্যমে সামগ্রিক গুলো কেনা হয়। তাই কেনাকাটার জন্য কিছু নীতি অনুসরণ করা প্রয়োজন। যেমন-
প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী তালিকা:
- ক্রয় পরিকল্পনা
- গুনাগুন যাচাই
- বাজার মূল্য সম্পর্কে ধারণা
উদ্দীপকে করিম সাহেব প্রথমত, প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী তালিকা করা এবং দ্বিতীয়ত, গুনাগুন যাচাই করার নীতি অনুসরণ করেননি। ফলে তিনি কিছু শিক্ষা সামগ্রী কেনার পর ঠঁকে গিয়েছেন।
৩. গৃহ সজ্জার শিল্পনীতি অনুসরণে ৫টি চিত্র অংকন করে উজ্জ্বল রং-এর প্রয়ােগ দেখাও।
উত্তর:গৃহ সজ্জার শিল্পনীতি অনুসরণে ৫টি চিত্রের উদাহরণ দেওয়া হলো। এগুলো অংকন করে উজ্জ্বল রং-এর প্রয়ােগ দেখাও।
৪. বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে তুমি ঘরের বাইরে বের হতে পারছে না। শখ পূরণের মাধ্যমে কিভাবে তােমার বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীল তার বিকাশ ঘটাতে পারাে।
উত্তর: র্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমরা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ঘরের বাইরে বের হতে পারছি না। বাইরে গিয়ে খেলাধুলা করা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। বর্তমান এমন পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের কিছু শখ পূরণের মাধ্যমে আমরা আমাদের বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতাকে বিকাশ ঘটাতে পারি।
যেমন-
১। বাগান করা ও পশু পাখি পালন
২। গান ও কবিতা আবৃত্তি
৩। মুদ্রা সংগ্রহ
৪। বই পাড়া
৫। ভিউ কার্ড, পোস্টকার্ড, ইত্যাদি
নিম্নে গুলোর ব্যাখ্যা দেয়া হল:
বাগান করা ও পশু পালন করা: বাড়ির আঙিনায়, টবে, বাড়ির ছাদে ফুল, ফল ও শাকসবজির বাগান করে নিজের শখ পূরণ করা যায়, সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায় এবং বাড়ির ফলের চাহিদা পূরণ করা যায়। কবুতর, কোয়েল পাখি, হাঁস, মুরগি, ছাগল ইত্যাদি পালন করে এসব অভিনন্দন লাভ করা যায়। শিশুর সার্বিক বিকাশে, সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে শখ ও বিনোদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গান ও কবিতা আবৃত্তি: গান গেয়ে ও কবিতা আবৃত্তি করে অবসর সময়কে কাজে লাগানো যায়। স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে নিজে যেমন আনন্দ পাওয়া যায় যেমন অন্য কেউ আনন্দ দেওয়া যায়।
মুদ্রা সংগ্রহ: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন মুদ্রা প্রচলিত আছে এবং নামও ভিন্ন। আবার মুদ্রার ওপর বিভিন্ন দেশের ব্যক্তির, স্থান ও প্রতীকের ছাপ থাকে। যেমন- বাংলাদেশের মুদ্রার ওপর শাপলা, ইলিশ মাছ, হরিণ, কাঁঠাল, বঙ্গবন্ধু ইত্যাদির ছবি থাকে। এইসব ছবি দেখে একটি দেশের কৃষ্টি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়।
বই পড়া: আমরা বই পড়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারি, বুঝতে পারি ও শিখতে পারি। আমাদের সৃজনশীল বিকাশে বই পড়ার বিকল্প কিছু নাই।
ভিউ কার্ড ও পোস্টকার্ড: ভিউ কার্ড ও পোস্টকার্ডে বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য স্থান, নামকরা ব্যক্তি ও কৃষি, শিল্পপণ্য, শিল্পকর্ম, প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি এবং সংক্ষিপ্ত বর্ণনা থাকে। এ থেকে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। নিজের হাতের ছবি এঁকে কার্ড তৈরি করে যেমন আনন্দ লাভ করা যায় তেমনি সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।