শীত এলেই মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। বাতাসের আর্দ্রতার কারনে মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে ফাঙ্গাস দ্রুত বংশ বিস্তার করে। ফাঙ্গাসের কারনে মাথার ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয় যা শীতকালে চুল ঝরে পড়ার অন্যতম কারন। এতে চুলকানিও বেড়ে যায়।
নারিকেল তেল
স্ক্যাল্পের শুষ্কভাব কমাতে নারিকেল তেলের জুরি নেই। মাথার ত্বকের কোষ সুস্থ রাখতে নারিকেল তেলের কার্যকারিতা অনেক।
দইয়ের হেয়ার মাস্ক
খুশকি কমাতে চুলে দই ব্যবহার করতে পারেন।
লেমনগ্রাস তেল
লেমনগ্রাস তেলে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বা জীবানুনাশক গুন যা চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা জেল
চুলের যত্নে অ্যালোভেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে রয়েছে অ্যান্টিফ্যাঙ্গাল উপাদান যা চুলের খুশকি দূর করে এবং চুলের আগা মজবুত করে।
সুষম খাদ্যাভাস
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যভ্যাস চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে। নিয়মিত খাবার তালিকায় কাজুবাদাম,আমলকি,ডিম ইত্যাদি রাখুন। এ খাবারগুলো চুলকে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল করে তোলে।
খুশকি দূর করার উপায় কি
পর্যাপ্ত পানি পান
শীতকালে পর্যাপ্ত পানি পান করা হয়ে ওঠে না। ফলে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এছাড়া মাথার ত্বকও শুষ্ক হয়ে পড়ে ফলে খুশকি বৃদ্ধি পায়। এইজন্য শীতকালে অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন।
হেয়ার ড্রায়ার এড়িয়ে চলুন
শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় তাড়াতাড়ি চুল শুকানোর জন্য অনেকেই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন। গরম তাপের সংস্পর্শে চুলের ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে খুশকি সৃষ্টি করে। শীতে ভেজা চুল শুকাতে নরম তোয়ালে ব্যাবহার করুন বা স্বাভাবিকভাবে শুকাতে দিন।