চুল পড়া বন্ধের উপায়,চুল পড়া,৫টি বদ অভ্যাস যা আপনার চুল পাতলা করছে।,চুল পড়ার কারণ,চুল পড়ে যাওয়ার সমাধান,গরমে চুল পড়ার কারণ

 

চুল পড়া বন্ধের উপায়,চুল পড়া,৫টি বদ অভ্যাস যা আপনার চুল পাতলা করছে।,চুল পড়ার কারণ,চুল পড়ে যাওয়ার সমাধান,গরমে চুল পড়ার কারণ

অনেকের বিশ্বাস গরমকালে চুল বেশি পড়ে।  বিশেষজ্ঞরা এর ব্যাখ্যায় বলছেন, গরমে  অতিরিক্ত তাপে ঘাম হয়। মাথার ত্বকেও ঘাম হওয়ায় চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। কারণ অতিরিক্ত ঘামে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। এ ছাড়াও অতিরিক্ত তাপ, ক্লোরাইন, রোদ এসবও চুল ঝরে পড়ার জন্য দায়ী।


সৌভাগ্যক্রমে গরমকালে এমন কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার কার্যকরভাবে চুল পড়া রোধ করতে পারে, যা সংগ্রহ করতে  বিশেষ কোনো দৌড়ঝাঁপের প্রয়োজন নেই। তবে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো- আপনার রান্নাঘর থেকে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে আপনার মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। তবেই হেয়ার স্ক্যাল্প গ্রীষ্মের জন্য প্রস্তুত। মনে রাখতে হবে, মাথার চুল মুখশ্রীর সৌন্দর্য হলেও- চুল কিন্তু মাথা গরম এবং উত্তাপ রাখে। যদিও এটা শীতকালে দুর্দান্ত, তবে গ্রীষ্মের জন্য আদর্শ নয়। রইল গ্রীষ্মে চুল পড়া রোধে বেশ কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার।


উষ্ণ নারিকেল তেল : নারিকেল তেল অক্ষত এবং ক্ষতিগ্রস্ত উভয় চুলের জন্য উপকারী। এটি চুলে প্রোটিনের চাহিদা মেটায়, তা  যে রকম পণ্য হিসাবে ব্যবহার করা হোক না কেন। আর ম্যাসাজ হেয়ার স্ক্যাল্পে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়। যা নতুন চুলের বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক। এ জন্য নারিকেল তেলের সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার উষ্ণ নারিকেল তেল  ব্যবহার করুন। সারারাত তেল লাগিয়ে পরদিন শ্যাম্পু করে ফেলুন। পরিবর্তনটা লক্ষ্য করুন। চুল হবে ঘন ও সিল্কি।

ডায়েট এবং হাইড্রেশন : চুলের যত্নের ক্ষেত্রে ডায়েট খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডায়েটে আয়রন, জিঙ্ক, বায়োটিন, নিয়াসিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩সি এবং ওমেগা-৬ এর মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকা উচিত। পাশাপাশি রাখতে পারেন বাদাম এবং আখরোট। এ ছাড়া ডিহাইড্রেশনেও চুল ভঙ্গুর হতে পারে বা ভেঙে যেতে পারে। এটি গ্রীষ্মকালীন গুরুতর সমস্যা। প্রতিদিন ২-৩ লিটার পানি পান করুন। শসা, টমেটো, তরমুজ ইত্যাদি। পানির পরিমাণ বেশি থাকে এমন ফল ও সবজি বেশি বেশি খান।


অ্যালোভেরা জুস : চুলের ক্ষয় রোধে যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে অ্যালোভেরার জুস। এটি পান করলে চুল ভিতর থেকে মজবুত হয়। অ্যালোভেরার কাঁচা জেল হেয়ার স্ক্যাল্পে লাগান। অ্যালোভেরা পাতা থেকে তাজা জেল বের করুন কিংবা দোকানেও এমন প্রসাধন কিনতে পাওয়া যায়। চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য সপ্তাহে ২-৩ বার অ্যালোভেরা জেল মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। যা চুলের শুষ্কতা দূর করবে। যেহেতু অ্যালোভেরার অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই এটি হেয়ার স্ক্যাল্পকে হাইড্রেট করে খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করে।

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies