মা হওয়ার পর যে ব্যায়াম জরুরি ,গর্ভকালীন ব্যায়াম,সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম,গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা কি উচিত,সিজারের পর সিজারিয়ান মায়ের ব্যায়াম,


মা হওয়ার পর যে ব্যায়াম জরুরি ,গর্ভকালীন ব্যায়াম,সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম,গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা কি উচিত,সিজারের পর সিজারিয়ান মায়ের  ব্যায়াম,


 সন্তানধারণ ও জন্মদানের পর মায়ের শরীরে ঘটে নানা পরিবর্তন। বয়সের সঙ্গেও বদলাতে থাকে অনেক কিছু। এসব কারণে পরবর্তী জীবনে কিছু অস্বস্তিকর সমস্যায় পড়তে পারেন মায়েরা। 

হাঁচি বা কাশির সময় হঠাৎ সামান্য একটু প্রসাব বেরিয়ে যাওয়া এমনই এক সমস্যা। প্রস্রাবের চাপ লাগার সঙ্গে সঙ্গেই বাথরুমে না গেলে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। অনেকের জরায়ু কিংবা জরায়ুমুখ ধীরে ধীরে নেমে আসতে থাকে। এসব বিব্রতকর সমস্যা এড়াতে সন্তান জন্মদানের পর বিশেষ ব্যায়াম শুরু করা উচিত। 

প্রস্রাব আটকে রাখার চেষ্টা করার সময় একেবারে নিচের দিকে চাপ দিতে হয়। প্রস্রাব না লাগলেও ওই অংশের মাংসপেশিগুলো চাপ দিয়ে ধরা এ ব্যায়ামকে পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ বলে। যেন জরায়ুমুখের মাংসপেশিগুলো আপনি নিজে নিজে চাপ দিয়ে সংকুচিত করছেন। কিংবা পায়ুপথ দিয়ে বেরিয়ে আসা বাতাস আটকানোর চেষ্টা করছেন। শুরুতে তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ড পর্যন্ত চাপ দিয়ে রাখুন মাংসপেশিগুলো। চাপ ছেড়ে দেওয়ার পর আরামদায়ক অবস্থায় থাকুন তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ড। 

এভাবে পর্যায়ক্রমে ১০ বার পরপর করুন। প্রতিদিন অন্তত তিন-চারবার। প্রথমবার ব্যায়াম শুরু করবেন শোয়া অবস্থায়। পরে খানিকটা অভ্যস্ত হয়ে গেলে বসে, এমনকি দাঁড়ানো অবস্থাতেও ব্যায়ামটি করা যায়। পেশি চাপ দিয়ে রাখার সময়ও বাড়ান ধীরে ধীরে। অভ্যস্ত হয়ে গেলে ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত চাপ দিয়ে রাখতে পারবেন। 

এ ব্যায়ামের সময় অন্য কোনো পেশি টান টান করা যাবে না। অর্থাৎ পেট, পা এবং শরীরের অন্য অংশগুলো স্বাভাবিক ও আরামদায়ক অবস্থায় রাখতে হবে, ব্যায়ামের সময় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখবেন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে এ ব্যায়ামের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ না রাখলেও চলবে। দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই বসা বা দাঁড়ানো অবস্থায় ব্যায়ামটি করা সম্ভব। বাজারে গেলে যেমন প্রস্রাব আটকিয়ে রাখেন- সেভাবে অভ্যাস করলেই চলবে। 


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies