#Post ADS3

advertisement

হার্টের সার্জারীর রোগীরা রমজান মাসে কিভাবে রোজা রাখবেন,হার্টের রোগীর খাবার তালিকা

 

হার্টের সার্জারীর রোগীরা রমজান মাসে কিভাবে রোজা রাখবেন,হার্টের রোগীর খাবার তালিকা

হার্টের সার্জারীর রোগীরা রমজান মাসে কিভাবে রোজা রাখবেন

হৃদরোগীরা রোজা পালন করতে পারবেন কিনা, রোজা এলেই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের প্রতিনিয়ত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। হৃদরোগীদের রোজা রাখতে তেমন সমস্যা নেই। রোজা রাখলে বরং শরীরের জন্য আরও ভালো।

হার্টের সার্জারীর রোগীরা রমজান মাসে কিভাবে রোজা রাখবেন

গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা পালন করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। সেই সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত হয়।

সে হিসেবে রোজা পালন কিন্তু শরীরের জন্য খারাপ নয় বরং উপকারী। উচ্চ রক্তচাপ রোজা পালনে কোনো প্রতিবন্ধক নয়।

হার্টের সার্জারীর রোগীরা রমজান মাসে কিভাবে রোজা রাখবেন

তবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের রোজা পালনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের মাধ্যমে ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করে নিতে হবে।

যেসব ওষুধ দিনে তিনবার খেতে হয় সেগুলো বাদ দিয়ে দিনে একবার খেলেই চলে এমন ওষুধ খেতে পারেন। চিকিৎসককে বললে আপনাকে দিনে একবার খেলেই চলে এমন ওষুধ প্রেসক্রাইব করে দেবেন।

অ্যানজাইনা পেকটোরিস, হার্ট অ্যাটাকের রোগী এমনকি যাদের হৃৎপিন্ডের রক্তনালিতে রিং লাগানো আছে তারাও রোজা রাখতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করে নিতে হবে।

আপনাকে যদি অ্যাসপিরিন সেবন করতে হয় তবে তা সেহরির সময় সেবন করবেন। যদি এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয় তা হলে ওমিপ্রাজল খেতে পারেন। এখন দেশের আর্দ্রতা অনেক বেশি। এজন্য আমাদের ঘাম হয় বেশি।

অনেক হৃদরোগীকেই ডাইইউরেটিক যেমন ফ্রুসেমাইড, স্পাইরোনোল্যাকটোন, টোলাজেমাইড ইত্যাদি ওষুধ খেতে হয়।

এ ওষুধগুলো দেহে থেকে পানি বের করে দেয়। ঘামের সঙ্গে সঙ্গে এ ওষুধ দেহ থেকে বেশি পরিমাণে পানি বের করে দেওয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজার সময় এ ওষুধ সেবন না করাই ভালো।

যদি সেবন করতেই হয় তবে ওষুধের ডোজ কমিয়ে দিতে হবে। এ জাতীয় ওষুধগুলো সন্ধ্যার পর সেবন করুন।

রোজা পালন করতে গিয়ে যদি হঠাৎ করে সিস্টোলিক রক্তচাপ ১৮০ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ১১০ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি হয় তবে রোজা ভেঙে ফেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করতে হবে।

রোজা রাখলে যদি শ্বাসকষ্ট ও বুকে বেশি ব্যথা অনুভূত হয় তবে রোজা না রাখাই ভালো। যদি উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে কিডনির সমস্যা থাকে তবে রোজা রাখতে হলে একজন কিডনি রোগের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

বুকের দুধ পান করাচ্ছেন এমন উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা রোজা পালনে কোনো সমস্যা নেই।

হৃদরোগীরা ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাবেন না। অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খান। রোজার ফল খেজুর খেতে পারেন বেশি করে। পানি পান করুন বেশি করে। একটা কথা না বললেই নয় সেটি হলো, কোনো ওষুধেরই ডোজ নিজে নিজে পরিবর্তন করবেন না।

হার্টের সার্জারীর রোগীরা রমজান মাসে কিভাবে রোজা রাখবেন

চিকিৎসক যদি মনে করেন রোজা পালনে আপনার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বা অসুখ মারাত্মক আকার ধারণ করার সম্ভাবনা থাকে তবে রোজা না রাখাই শ্রেয়। পরবর্তী সময় রোজাগুলো আদায় করতে পারেন বা বদলি রোজাও পালন করতে পারেন।

লেখক : হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ

সহযোগী অধ্যাপক

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট

সূত্র/ আমাদের সময়

Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement