প্রথম শারীরিক মিলন করার সময় ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের মনেই ভয়ে থাকে। প্রথম মিলন মানেই আলাদা একটা টেনশন। মেয়েদের মনে বড় ভয় কাজ করে তা হলো সেক্সে ব্যথা লাগার ভয়। কিন্তু মনে রাখবেন ঠিকঠাক মিলনে ব্যথা লাগার সম্ভাবনা প্রায় নেই । পুরোটাই আমাদের মনের ভুল, অতিরিক্ত টেনশন থেকেই আমাদের মনে হয় ওই বুঝি লেগে গেল। দেশের খ্যাতনামা সেক্সোলজিস্টদের মতে, একটা টিটেনাস নিতে নাকি প্রথম মিলনের চেয়ে বেশি ব্যথা লাগে। তাঁদের মতে, যত বেশি ভয় পেয়ে মহিলারা কুঁকড়ে যাবেন, ততই পেশী স্টিফ হয়ে ব্যথা বেশি লাগবে। কারণ তখন পার্টনারেরও পেনিট্রেশনে সমস্যা হবে। তাই নিজেকে রাখুন চাপমুক্ত।
প্রথম মিলন এবং পুরুষের মানসিক সমস্যা: অধিকাংশ পুরুষই (৯০-৯৫%) জীবনের প্রথম মিলন করার সময় প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশনের সম্মুখীন হন।
প্রথম দিকে এটা নরমাল, এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা ঠিক হয়ে যায়। কেন হয়? প্রথমেই দু'টো কারণ আসবে, অনভিজ্ঞতা ও অতিরিক্ত উত্তেজনা। অনভিজ্ঞ একজন পুরুষ তার জীবনে প্রথম মিলন করার সময় প্রচন্ড উত্তেজিত থাকে। উত্তেজিত অবস্থায় নারী সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক খেলায় মেতে উঠার সময় থাকে তাড়াহুড়ার মধ্যে, অল্প সময়ে বেশি পথ বিচরনের চেষ্টায় নিজের উপর কন্ট্রোল থাকে না। পাশাপাশি প্রবেশ করানোর পর যোনীর ভেতরের উচ্চ উষ্ণতায় দিশেহারা হয়ে যায় অনেক সময়ই। ফলাফল খুব অল্প সময়েই নারী সঙ্গীর অরগাজম হবার আগেই বীর্যপাত। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে আসবে টেনশন। নতুন বিয়ে বা নতুন বউ এর কাছে নিজেকে শারীরিক ভাবে সামর্থবান হিসেবে তুলে ধরতে চাওয়ার মানসিক চাপ থেকে সৃষ্টি হয় টেনশন, ফলে নিজের উপর কন্ট্রোল থাকে না।
প্রথম দিকে শান্ত ও ধীর-স্থির ভাবে সঙ্গিনীকে উত্তেজিত করার কাজটা অধিকাংশ পুরুষই করে না। ধরে নেয় তার নিজের মতই তার সঙ্গিনীও উত্তেজিত হবে। ঘটনা উল্টো। মেয়েদের উত্তেজিত হতে পুরুষদের চেয়ে বেশি সময় লাগে। তাই সে তৈরি হবার আগেই পুরুষ সঙ্গী উত্তেজনার চরমে পৌছে যায়। ফলাফল অকাল বীর্যপাত। সমাধান, অনভিজ্ঞতার সমস্যা সমাধানের দরকার নেই, এই খেলায় অভিজ্ঞতা কাম্য নয়। বাকি থাকলো অধিক উত্তেজনা ও টেনশন। নতুন বিয়ে, প্রথমবার কাছে পাওয়া, উত্তেজনা তো থাকবেই। এটা আপনার উপর এখন, অধিকাংশ পুরুষই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রন করতে পারে না, যদি আপনি পারেন তাহলে "স্যালুট"। না পারলে কোন সমস্যা নেই। আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন এটা পেপারে বা টিভিতেও আসবে না। তাই যা স্বাভাবিক তাই হোক। টেনশন কীভাবে দুর করবেন? প্রথমে ভাবুন আপনাকে কি আপনার সঙ্গিনীর সামনে নিজেকে বিশাল কিছু-প্রচন্ড সামর্থবান প্রমান করতে হবেই? নাকি স্বাভাবিক একজন মানুষ হিসেবে? যাই করুন না কেন আপনার স্ত্রী আপনারই থাকবে। সুপারম্যানের প্রতি মুগ্ধতা থাকে, ভালোবাসা থাকে না, আপনি সুপারম্যান হতে চাইছেন কিনা নিজেই ভাবুন। আর ''সঙ্গিনীর তৈরি না হওয়ার'' দোষটা পুরোপুরি পুরুষের উপর বর্তায় না। পুরুষকে ধৈর্য্য ধরে স্ত্রীকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করতে হবে, শরীরের স্পর্শকাতর অংশ গুলোতে কোমল ভাবে স্পর্শ করে বা ঘষে, চুম্বন করে। কানের আশে-পাশে, ঠোট-জিহবা, স্তন-নিপল, তলপেট-নাভী, যৌনাঙ্গ-উরু, হাত-পায়ের আঙ্গুল ইত্যাদি স্পর্শকাতর স্থান বলে পরিচিত। স্ত্রীর নিজেরও দায়িত্ব থাকে এ চেষ্টায় সাড়া দেওয়ার।
প্রথম মিলন এবং স্ত্রীর রক্তক্ষরন: অনেকেই মনে করেন প্রথম মিলন করলেই মেয়েদের রক্তক্ষরন হবে। সব সময় প্রথম মিলনে রক্ত বের হয় না। নারীর যৌনাঙ্গে স্বতিচ্ছেদ নামের পর্দা ৯/১০ বছর বয়সে সাঁতার কাটা কিংবা খেলাধুলা করার সময় নিজ থেকেই ফেটে যেতে পারে। তাই রক্ত বের হবার সাথে একজন নারীর স্বতিত্ব জড়িত নয়। আবার অনেকে মনে করেন প্রথম দিন স্ত্রী মিলন কালে কান্নাকাটি,চিল্লাপাল্লা, না করার মানেই হলো সে অভ্যস্থ ছিল (অর্থাত্ আগে অন্যের সাথে শারিরীক সম্পর্ক ছিলো ইত্যাদি ইত্যাদি) বিধাতা নারীর যৌনাঙ্গকে এমন ভাবে সৃষ্টি করেছেন "যেন এটি যেকোন আকারের লিঙ্গকে গ্রহন করতে পারে"। একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী মোটা/চিকন/ লম্বা/ খাটো সব লিঙ্গের চাপ সইতে পারেন। যদি মিলনের পুর্বে নারী ঠিক মত উত্তেজিত হয় তাহলে যোনীতে যে পিচ্ছিল রস নিঃসরন হয় তা মুলত ব্যথামুক্ত মিলনের জন্যই হয়ে থাকে। যেখানে বিধাতা নারীকে ব্যথামুক্ত মিলনের জন্য এমন সৃষ্টি রহস্য জুড়ে দিয়েছেন সেখানে আপনি কেন চাইবেন যে মানুষটি সম্পুর্ন জীবন কাটানোর জন্য আপনার ঘরে এসেছে - তার শুরুটা হউক কষ্টকর অভিজ্ঞতা দিয়ে? তবে অনেক নারীই মিলনে ব্যথা অনুভব করেন। এমনকি বিয়ের ১০/১৫ বছর পরও। তবে সবাই চিত্কার চেচামেচী করেন না। নিরব থাকার মানে এটা নয় যে নারী আগে থেকে যৌনকাজে অভ্যস্থ। তবে অনেক নারী চালাকি করে প্রথম দিকে এমন ভাব করেন যেন তিনি সইতে পারছেন না! অতএব ব্যথা পাওয়া না পাওয়ায় নারীর সতিত্ব প্রমান হয়না। আরো মজার ব্যপার হলো নারীর যোনী ৪৫ ডিগ্রি কৌনিক অবস্থায় থাকে এবং উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষের লিঙ্গও ৪৫ ডিগ্রিতে উর্দ্ধমুখী উত্থান হয়। ফলে অনায়াসে মিলন কাজ সম্পূর্ন করা যায়। এ নিখুত সৃষ্টি রহস্য বিধাতাই আমাদের শরীরে রেখেছেন।
প্রথম মিলন এবং পুরুষদের প্রস্তুতি: শারিরীক ভবে সুস্থ থাকুন ও শক্তিশালী হোন। না, কোন বটিকা বা তেল মাখার দরকার নেই। স্রেফ মধু খান প্রতিদিন এক চামচ করে। দুধে মিশিয়ে খেলে আরও ভালো। আর স্বাভাবিক খাবারতো খাবেনই। ভুড়িটাকে বেশি বাড়তে দেবেন না। ফুলশয্যার রাতে ফার্স্ট ইম্প্রেশনটা খারাপ হয়ে যাবে তাইলে। আর প্রচুর পানি খান। চেহারা ফ্রেশ থাকবে।
লুব্রিকেন্ট বা জেল কিনে রাখুন: ভালো কোন ফার্মেসী থেকে লুব্রিকেন্ট কিনে রাখুন। বন্ধুরাও অনেক সময় গিফট দেয়, কিন্তু সে আশায় বসে থাকলে বিপদ। এই লুব্রিকেন্ট বলতে গাড়ীর লুব্রিকেন্ট বুঝানো হয় নি। এটা সার্জিক্যাল জেল। বড় ওষুধের দোকানে পাবেন। এই সার্জিকেল জেল না পেয়ে অনেকে নারিকেল তেল, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করে। এদুটোই কিন্তু রাফ, ইভেন কনডম ফেটে যেতে পারে।
কনডম সম্বন্ধে জানুন: বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের কনডম প্রচলিত আছে। সব ব্র্যান্ডেরই কম বেশি নানা টাইপ কনডম বাজারে পাওয়া যায়। যেমন, ডটেড, প্যানথার,হিরো,এক্সট্রা রিবড, প্লেইন, থিন, এক্সট্রা থিন, লংলাস্টিং, ডটেড প্লাস রিবড, এক্সট্রা লং ইত্যাদি। এগুলি একেকটা একেক সময়ে কার্যকর। সব সবার জন্য না। সব সময়ের জন্যও না। নতুন ব্যবহকারীর ক্ষেত্রে প্লেন অথবা ডটেড কনডম শুরু করার জন্য আদর্শ। অর্থ্যাত্ জাস্ট প্রোটেকশনের জন্য। এক্সট্রা ফিচারড কনডম গুলি শুরুতে ব্যবহার না করা ভালো, এতে প্রথমেই এক্সট্রা ফিচারডে অভ্যাস হয়ে গেলে কনডম ছাড়া বা সাধারণ ভাবে এত ভালো লাগবে না। এই কনডমগুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যৌন জীবনে বৈচিত্র্যতা আনার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
কীভাবে কনডম ব্যবহার করবেন: এটা খুব কঠিন কিছু না। কনডমের প্যাকেটে লেখা থাকে ইন্সট্রাকশন। ফলো করলেই হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন ভিতরে কোন বাতাস না থাকে, তাই কনডমের টিপটা চেপে ধরে কনডম পড়তে হয়। বাতাস থাকলে সেক্সের সময় কনডম ফেটে যেতে পারে। তাতে প্রোটেকশনের কাজ আর হলও না।
প্রথম মিলন এবং উভয়ের প্রস্তুতি: বিয়ের পরে প্রথম মিলন কালে আপনার স্ত্রী লজ্জায় আড়ষ্ট থাকেবেন এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে পরিবারের ঠিক করা বিয়েতে অপরিচিত একজন পুরুষের সাথে একত্র বসবাস কেউ কি অতি সহজে নিতে পারবে? প্রথম মিলন করার সময় নিচের বিষয় গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আপনি হয়তো দ্বিতীয় কিংবা পরের বারের মিলন গুলো খেয়াল রাখবেন না - কিন্তু প্রথম মিলন সব যুগলেরই মনে থেকে যায়। প্রথম মিলন আশ্চর্য্যজনক ভালো কিংবা ফ্লপ যাই হোক স্বামী স্ত্রী প্রথম মিলনকে ট্রেজেডি হিসেবেই মনে রাখে।
সঠিক সংকেতের জন্য অপেক্ষা করুন: প্রথম মিলন সর্বনাশা হতে পারে যদি মানসিক প্রস্তুতির সংকেত দেয়া নেয়ায় ভুল বুঝাবুঝি থাকে। যেহেতু আপনারা দুইজনেই সারা জীবনের জন্য বিবাহের মাধ্যমে একটি সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাই বাসর রাতে কথা বলা কিংবা ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্কের স্বাভাবিকতা এবং পরষ্পরের মানসিক দুরত্ব কমিয়ে আনুন। দুজন দুজনের চিন্তা চেতনার একটি স্বরুপ জেনে নিন। তাড়াহুড়ো করবেন না। আমাদের দেশে "বাসর রাতে বিড়াল মারা" বলে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে। পুরুষ অনেকটা মরিয়া হয়ে যান নিজেকে বাঘ বলে জাহির করতে। কিন্তু বিড়াল মারার সুত্রটা আসলে আমাদের এক প্রকার ভুল ধারনার জন্ম দিচ্ছে। অনেক মেয়ে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকেনা - সেই অবস্থায় যদি স্বামী বিড়াল মারতে যায় তাহলে বিষয়টি রেপ করার মতো হয়ে যায়। আপনি কিভাবে আপনার জীবন সঙ্গীর সাথে স্বাভাবিক হবেন তা আপনার বিবেচনায় রাখবেন আগে থেকে।
জন্মনিরোধকের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন: প্রথম সহবাস করার সময় বিবাহিত যুগলের জন্মনিরোধক ব্যবহার দুজনের জন্য সমান ভাবে মঙ্গলজনক। হয়তো কনডম কিংবা খাবার বড়ি ব্যবহার না করার ফলে আপনাদের "যৌন বাহিত ছোঁয়াচে রোগ" কিংবা "গর্ভধারনের" ভয়ে মিলনের আসল আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। প্রথমদিন যৌন বাহিত ছোঁয়াচে রোগ থেকে রক্ষা পাবার জন্য কনডম ব্যবহারই সবচেয়ে ভাল - যদিও এটি ১০০% আত্মরক্ষা মুলক নয়। তাছাড়া আপনার স্ত্রী হয়তো মা হবার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত নয়। তাই বিয়ের পর পরষ্পরের শারীরিক সমস্যার (যদি থাকে) ইতিহাস জেনে এবং সন্তান নেয়ায় দুই জনের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী নিয়ন্ত্রনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
কোন ভাবেই স্বয়ং সম্পুর্ন মিলনের প্রত্যাশা করবেন না: ৮০% থেকে ৯০% ক্ষেত্রে প্রথম মিলন কালে যুগলের বিন্দুমাত্রও সফলতা থাকেনা। শারিরীক মিলন যতটা না শরীরের; তার চেয়ে বেশি মানসিক মিলন। একজন মানুষ যখন অন্য মানুষের শরীর এবং ভালোলাগার বিষয়বস্তু সম্পর্কে পুর্নমাত্রায় জানে, তখনি শুধু সুখকর যৌন মিলন সম্ভব। প্রথম মিলনে পরষ্পরের ভালোলাগার অনুভুতি গুলোর সংমিশ্রন হয়না। তাছাড়া প্রথম মিলন সম্পর্কে পুরুষ/নারী এত বেশি দুশ্চিন্তা অথবা পুর্ব পরিকল্পনা করে যে সে মূল কাজে এসে নার্ভাস হয়ে যায়। প্রথম রাতে আপনার প্রিয়জনের শরীর সম্পর্কে জানার চেয়ে বড় রোমাঞ্চকর আর কি হতে পারে। সম্পর্কে সময় দিন। পরষ্পরের শরীর সম্পর্কে যত জানবেন মিলন তত বেশি উপভোগ্য হবে।
গভীর নিঃশ্বাস নিন: প্রথম মিলন করার সময় চিন্তিত হতে পারেন এবং অস্বত্বিতে পড়তে পারেন। আপনার শরীর এবং মনকে প্রশান্ত করার জন্য বড় করে নিঃশ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন। ঠিকঠাক কাজ করার জন্য আপনার মস্তিস্কের প্রয়োজনীয় মাত্রায় অক্সিজেন দরকার। মানসিক চাপে ঠিকমত শ্বাস-প্রশ্বাস না নিলে অনেক গুলো সমস্যা যেমন মাথাধরা, মাথাব্যথা সহ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে পারেন। এটি খুবই লজ্জাজনক হবে যদি আপনি সামান্যতম যৌনমিলনও করতে না পারেন। স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিন - মনকে চিন্তামুক্ত রাখুন।
কোন ভাবেই পুর্ন যৌন তৃপ্তির মিথ্যে ভান করবেন না: পুর্ন যৌন তৃপ্তির মিথ্যে ভান করা আপনার নিজের সাথে এবং আপনার সঙ্গীর সাথে প্রতারণা করার শামিল। এটি হয়তো পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, কারন বস্তুত আপনি ভুল তথ্য আদান প্রদান করেছেন "আপনার শরীর কি চায় এবং কিসে আপনাকে যৌন ক্ষুধার্ত করে তোলে?" অনেকেরই প্রথম মিলন করার পর পর কয়েক দিন একটা ক্ষীণ ব্যথার অনুভূতি থাকে। তা নিয়ে অযথা উত্তেজিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রথম প্রথম ব্যয়াম করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে কয়েকদিন ব্যথা থাকে, কারণ পেশিগুলো রিল্যাক্সড হওয়ার সময় নেয়। ভ্যাজাইনার মাসলের ক্ষেত্রেও এই একই থিয়োরি কার্যকর।
পুষ্টিকর খাবার খান: ফল,দুধ ,ডিম খান বেশি করে। প্রথম মিলন করার পরেই গোসল করে মধু,দুধ,ডিম বা বিভিন্ন ধরনের ফল খান। প্রথম দিকে ক্লান্তিটা বেশি আসবে। তাই এসব শক্তিদায়ক খাবার সঙ্গে রাখুন। পরে অভ্যাস হয়ে গেলে এত কিছু লাগবে না। বিয়ের আগের কয়েক দিন অযথা রাত না জেগে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। অন্তত দিনে ৬ ঘণ্টা যেনও পূরণ হয়। নতুন জীবন সুস্থ সবল ভাবে শুরু করুন।
কুমারিত্ব সম্পর্কে কয়েকটি ভুল তথ্য!
নারীর কুমারিত্ব নিয়ে আজন্মকাল ধরে সমাজে বেশকিছু ভ্রান্ত ধারণা চলে আসছে। এটা নিয়ে সমাজে প্রচুর মিথও তৈরি হয়েছে। আর আশ্চর্যজনকভাবে এই ধারণাগুলো আজও মানুষের মনে গেথে আছে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ব্যখ্যা করলে এসবের আদৌ কোনো মানে হয় না। কুমারিত্ব নিয়ে ওই ধারণাগুলো অর্থহীন হলেও আজও সমাজে ভীষণভাবে মেনে চলা হয়। এমনই কয়েকটি বিষয় প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হলো-
সতীচ্ছেদ : সতীচ্ছেদ হলো একটি পাতলা ঝিল্লি যা যোনির সামনের দিকেই থাকে। বৈজ্ঞানিকভাবে, এর থাকা বা না থাকার উপরে কোনো নারীর 'সতীত্ব' নির্ভর করে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই ধারণা আজও মানুষের মনে রয়ে গেছে।
কুমারিত্ব হারানো : এ বিষয়ে দুটি কথা রয়েছে- প্রথমত, কুমারিত্ব হারানো টার্মটি আদতে ভুল। দ্বিতীয়ত, এই ধারণা কেউ তৈরি করতে পারে না যে, একজন নারী তার সতীত্ব হারিয়েছেন কি না! সতীচ্ছেদ ছিন্ন হওয়া যৌনতা ছাড়াও অনেক উপায়েই ঘটতে পারে। সাইকেল চালনা, ব্যায়াম, নাচ- বিবিধ কারণ থাকতে পারে সতিচ্ছেদ ছিন্ন হওয়ার পিছনে।
আত্মরতি : আজও মনে করা হয়, আত্মরতি করলেই কেউ কুমারিত্ব হারায়। কিন্তু একথা ঠিক নয়। আত্মরতি এক নারীর আত্মোপলব্ধির পথ- একথা পোস্টফেমিনিস্টরা সগর্বে বলে থাকেন।
সতীত্ব হারানো যন্ত্রণাময় : সতিচ্ছেদ ছিন্ন হওয়ার ঘটনাটিকে যন্ত্রণাময় বলে বর্ণনা করে আসছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। ব্যাপারটি আপেক্ষিক। প্রথম সঙ্গমে ব্যথা পাবেন কি পাবেন না, তা নির্ভর করে সময়, মানসিকতা, শারীরিক গঠন এবং অবশ্যই প্রাক-সঙ্গম আচরণের উপরে। সুতরাং.
কুমারি মেয়েই বেশি আকর্ষণীয় : আসলে নারীকে নিজের হাতের মুঠোয় রাখতে পুরুষতন্ত্র যুগ যুগ ধরে প্রচার করেছে কুমারিত্বের জয়গান। নারীর শরীর-মনের উপরে তার 'স্বামী'-র অধিকার নিরঙ্কুশ- একথাকে প্রতিষ্ঠা দিতেই কুমারী মেয়েদের অধিকতর আকর্ষণীয় বলে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে- একজন বিবাহিতা নারী কি সুন্দর নন?