#Post ADS3

advertisement

ফুলফিল ট্যাবলেট 50 মি.গ্রা. এর কাজ কি?,মেয়েদের চুদার ওষধ ফুলফিল ট্যাবলেট ১০০ মি.গ্রা.,মেয়েদের চুদার ঔষধ, মিশরে ওষুধের দোকানে 'মেয়েদের ভায়াগ্রা

 

ফুলফিল ট্যাবলেট 50 মি.গ্রা. এর কাজ কি?,মেয়েদের চুদার ওষধ ফুলফিল ট্যাবলেট ১০০ মি.গ্রা.,মেয়েদের চুদার ঔষধ, মিশরে ওষুধের দোকানে 'মেয়েদের ভায়াগ্রা

Tablet Fulfeel Tablet

সিলডেনাফিল সাইট্রেট
50 mg
ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড
 
Unit Price: ৳ 30.09 (8's pack: ৳ 240.72)

 

নির্দেশনা

সিলডেনাফিল ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ও পালমোনারী হাইপারটেনসনের চিকিৎসায় নির্দেশিত।
 
 
 

বিবরণ

সিলডেনাফিল একটি সুনির্দিষ্ট সাইক্লিক গুয়ানোসাইন মনোফসফেট (সিজিএমপি) ফসফোডাইস্টারেজ টাইপ-৫ এর রিভার্সিবল বাধাদায়ক। যৌন উত্তেজনায় যখন স্থানীয় নাইট্রিক অক্সাইড নিঃসরন হয় তখন সিলডেনাফিল PDE-5 কে বাধা দিয়ে কর্পাস ক্যাভারনোসাম এ cGMP এর পরিমান বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে মসৃন মাংশপেশীর রিলাক্সেশন হয় এবং পিনাইল টিস্যুতে রক্ত প্রবাহ ঘটে যা ইরেকশন ঘটায়। যৌন উত্তেজনার অনুপস্থিতিতে সিলডেনাফিল এর কোন ক্রিয়া নাই।

ফার্মাকোলজি

কার্যপদ্ধতি: যৌন উত্তেজনার সময় করপাস ক্যাভারনোসাম হতে নাইট্রিক অক্সাইডের নির্গমনের সাথে পুরুষের লিঙ্গ উত্থান জড়িত। নাইট্রিক অক্সাইড গুয়ানাইলেট সাইকেজ এনজাইমকে অ্যাক্টিভ করে যার ফলে সাইক্লিক ওয়ানোসিন মনোফসফেটের লেভেল বেড়ে যায়। এবং এর ফলে করপাস কেভারনোসামের মাংস পেশীর রিলাক্সেশন হয় ও রক্ত সঞ্চলন বেড়ে যায়। সিলডেনাফিলের করপাস কেভারনোসামের মাংস পেশীর রিল্যায়েকশনে কোন অবদান নেই কিন্তু ইহা ফসফোডাই ইস্টারেজ ৫ এনজাইম এর বিক্রিয়া বন্ধ করার মাধ্যমে করপাস কেভারনোসামে নাইট্রিক অক্সাইডের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। যৌন উত্তেজনার সময় যখন নাইট্রিক অক্সাইডের নির্গমন হয় তখন সিলডেনাফিল করপাস কেভারনোসামের ফসফোডাই ইস্টারেজ ৫ এর বিক্রিয়া বন্ধ করে সিজিএমপি এর লেবেল বাড়িয়ে দেয় এবং সাথে সাথে মাংস পেশীর রিল্যাক্সেশন মাধ্যমে সেখানে রক্ত সঞ্চালনের পরিমান বাড়িয়ে দেয় যৌন উত্তেজনার মূহুর্ত ছাড়া রিকমেনডেড সেবনমাত্রায় লিঙ্গ উত্থান এর উপর সিলডেনাফিলের কোন প্রভাব নেই।

ফার্মাকোকাইনেটিক এবং মেটাবলিজম: মুখে সেবনের পর সিলডেনাফিল দ্রুত শোষিত হয় এবং গড় বায়োএভেইলিবিলিটি প্রায় ৪১%। ইহা হেপাটিক মেটাবিলজমের মাধ্যমে সাইটোক্রোম পি ৪৫০ একটি সক্রিয় মেটাবোলাইটে রুপান্তরিত হয় এবং শরীর হতে বের হয়ে যায়। সিলডেনাফিল ও এর মেটাবোলাইট উভয়েরই প্রাপ্তিক অর্ধায়ু প্রায় ৪ ঘন্টা।

শোষন এবং বন্টন: সিলডেনাফিল খুব দ্রুত শোষিত হয়। মুখে সেবনের ৩০ থেকে ১২০ মিনিটের মধ্যে সিলডেনাফিলের ঘনত্ব রক্তে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে, যদি খাবার গ্রহণের পূর্বে সেবন করা হয়। কিন্তু সিলডেনফিল যখন ফ্যাট জাতীয় খাবারের সাথে গ্রহন করা হয় এখন ইহার শোষন কমে যায়।

মেটাবলিজম এবং নিঃসরন: সিলডেনাফিল যকৃতের মাইক্রোসোমাল আইসো এনজাইমের সাহায্যে শরীর হতে বের হয়ে যায়। মুখ এবং শিরাপথে প্রয়োগের পর সিলডেনাফিল মেটাবোলাইট হিসেবে পায়খানার সাথে (প্রায় ৮০% মুখে সেবনের পর) বের হয়ে যায় এবং অল্প পরিমান (প্রায় ১৩%) মূত্রের সাথে বের হয়ে যায় ।

বিশেষ জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে ফার্মাকোকাইনেটিক্স: বয়োবৃদ্ধ স্বাস্থ্যবান বয়স্কদের ক্ষেত্রে সিলডেনাফিলের ক্লিয়ারেন্স কমে প্রায় ৮৪% থেকে ১০৭% পর্যন্ত। AUC এর মান বেশী পাওয়া যায় স্বাস্থবান তরুনদের চেয়ে।
 
 
 
 
 

মাত্রা ও সেবনবিধি

ইরেক্টাইল ডিসফাংশন: বেশির ভাগ রোগীর জন্য সুপরিশকৃত সেবনমাত্রা হচ্ছে ৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট, প্রয়োজনমত, যৌন কার্যাক্রমের ১ ঘন্টা পূর্বে। তবে সিলডেনফিল যৌন কার্যক্রমের ৪ থেকে আধঘন্টা পূর্বেও সেবন করা যাবে। কার্যক্ষমতা সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে সিলডেনাফিলের সেবনমাত্রা বাড়িয়ে ১০০ মি.গ্রা ও কমিয়ে প্রায় ২৫ মি. গ্রা. পর্যন্ত করা সম্ভব। সর্বোচ্চ সেবনমাত্রা হচ্ছে প্রতিদিন ১টি ট্যাবলেট।

সিলডেনাফিলের প্লাজমা লেভেল কিছু ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে সেগুলো হলো: বয়স ৬৫ বছরের বেশি হলে, যকৃতের সমস্যা, রেনাল সমস্যা এবং এর সাথে অন্য কোন সাইটোক্রোম পি 450 3A4 ইনহিবিটয়ের ব্যবহার যেমন- কিটোকোনাজোল, ইট্রাকোনাজোল, ইরাইথ্রোমাইসিন, স্যাকুইনেভির ইত্যাদি। যেহেতু প্লাজমা লেভেল বেশি হলে কার্যক্ষমতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দুটোই বেড়ে যায় তাই এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে শুরুর সেবন মাত্রা ২৫ মি. গ্রা. হতে হবে। যেহেতু সিলডেনাফিল সাইট্রেটস সমূহের হাইপোটেনসিভ ক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়া সেহেতু যে সকল রোগী নাইট্রিক অক্সাইড ও যে কোনো ধরনের নাইট্রেট গ্রহন করছেন তাদের ক্ষেত্রে ওষুধটি প্রতিনির্দেশিত। যখন সিলডেনাফিল ও আলফা ব্লকার একসাথে প্রযোগ করা হবে তখন সিলডেনাফিল প্রয়োগের পূর্বে আলফা ব্লকার প্রায়োগ করতে হবে এবং সিলডেনাফিল খুবই নিম্নমাত্রায় ব্যবহার করতে হবে ।

পালমোনারী আর্টারিয়াল হাইপারটেনশন: সিলডেনাফিল সাইট্রোটের রিকমেনডেড সেবনমাত্রা হচ্ছে ২০ মি.গ্রা. প্রতিদিন তিনবার খাবারের ৪-৬ ঘন্টা পূর্বে অথবা পরে।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
সিলডেনাফিল এর বিপাক প্রধানত সাইটোক্রোম (CYP P450) এর আইসোফর্ম 3A4 (মুখ্য পথ) এবং 2C9 (গৌন পথ) এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। সুতরাং এ সকল আইসো এনজাইম ১৫ এর সংবাধকরা সিলডেনাফিল এর ক্লিয়ারেন্স কমাতে পারে অন্যদিকে এ আইসো এনজাইম ১৫ এর প্রবর্তকরা সিলডেনাফিল এর ক্লিয়ারেন্স বাড়াতে পারে। যখন একত্রে সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকে প্রয়োগ করা হয় সিমেটিডিন (৮০০ মি.গ্রা.) যা একটি ননস্পেসিফিক CYP সংবাধক সিলডেনাফিল এর প্লাজমা ঘনত্ব বাড়ায় (৫৬%)। সিলডেনাফিল এর ১০০ মি.গ্রা. এর একক ডোজ ইরাইথ্রোমাইসিন (যা একটি স্পেসিফিক CYP 3A4 সংবাধক) এর সাথে একত্রে প্রয়োগ করা হলে স্বীতাবস্থায় এটি সিলডেনাফিল এর সিস্টেমিক প্রাপ্যতা ১৮২% ঘটায়। এর পাশাপাশি সুস্থ পুরুষ স্বেচ্ছাসেবকে পরিচালিত এক গবেষনায় দেখা যায় HIV প্রোটিয়েজ সংবাধক সেকুইনাভির একত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্থীতাবস্থায় সিলডেনাফিল এর Cmax ১৪০% এবং AUC ২১০% বৃদ্ধি ঘটায়। সেকুইনাভির এর ফার্মাকোকাইনেটিক এর উপর সিলডেনাফিল এর কোন প্রভাব নেই। শক্তিশালী CYP 3A4 সংবাধক যেমন কিটোকোনাজল অথবা ইন্ট্রাকোনাজল এর শক্তিশালী প্রভাব আছে বলে আসা করা যায় এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রোগীদের পপুলেশন ডাটা থেকেও দেখা যায় সিলডেনাফিলের CYP3A4 সংবাধকের সাথে সহ প্রয়োগ সিলডেনাফিলের ক্লিয়ারেন্স কমায়। অন্য একটি গবেষনায় দেখা যায় সিলডেনাফিলের রিট্রোনাভিরের সাথে সহ প্রয়োগ স্থীতাবস্থায় সিলাডনাফিল এর প্লাজমা Cmax ৩০০% (৪ জন) এবং AUC ১০০০% (১১ জন) বাড়ায়। ২৪ ঘন্টা পর সিলডেনাফিলের প্লাজমা লেভেল ছিল প্রায় ২০০ ng/ml যখন সিলডেনাফিলের একক ব্যবহারে প্লাজমা লেভেল ছিলো ৫ ng/ml । রিটোনাভিরের ফার্মাকোকাইনিটিকের উপর সিলভেনাফিলের কোন প্রভাব নেই। যদিও অন্যান্য প্রোটিয়েজ সংবাধকের সাথে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার কোন তথ্য নেই, তবুও সিলডেনাফিলের সাথে সহ প্রয়োগ প্লাজমা লেভেল বাড়াতে পারে আশা করা যায়। সুস্থ পুরুষে পরিচালিত একটি গবেষনায় দেখা যায় এন্ডোথেলিক রিসেপ্টর এন্টাগনিস্ট বোসেনটানের সিলডেনাফিলের সাথে সহ প্রয়োগ স্থীতাবস্থায় সিলডেনাফিলের AUC ৬৩% কমায় এবং Cmax ৫৫% কমায়। শক্তিশালী CYP 3A4 প্রবর্তকের সাথে সিলডেনাফিলের সহ প্রয়োগ (রিফামাপিন) সিলডেনাফিলের প্লাজমা লেভেল বৃহত্তর হ্রাস করতে পারে। এন্টাসিডের একক ডোজ (ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রোক্সাইড / এলুমিনাম হাইড্রোক্সাইড) সিলডেনাফিলের বায়োলজিক্যাল সিস্টেমে প্রাপ্যতায় কোন প্রস্তাব দেখায় না। রোগীদের উপর পরিচালিত গবেষনায়, সিলডেনাফিলের CYP 2C9 সংবাধক (টলবিউটামাইড, ওয়ারফেরিন) CYP 2C9 সংবাধক (সিলেক্টিভ সেরোটোনিন রিআপটেক সংবাধক, ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট) থায়ামাইড জাতীয় ডাইউরেটিকস ACE সংবাধক এবং ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকারের ফার্মাকোকাইনেটিকের উপর কোন প্রভাব নেই। সিলডেনাফিলের কার্যকর মেটাবোলাইট N ডেসমিথাইল সিলডেনাইফিলের পরিমান ৬২% বৃদ্ধি পায় গ্রুপ এবং পটাশিয়াম স্পেয়ারিং ডাইউরেটিক্স দ্বারা এবং ১০২% বৃদ্ধি পায় ১৬টি ননস্পেসিফিক বেটাব্লকার দ্বারা এসব মেটাবোলাইটের উপর প্রভাব কোন প্রকার ক্লিনিক্যাল প্রভাব ঘটাবে না আশা করা যায়।

প্রতিনির্দেশনা

নাইট্রিক অক্সাইড ও সাইক্লিক গুয়ানোসিন মনোফসফেট পাথওয়েতে সিলডেনাফিলের প্রভাব থাকায় ইহা নাইট্রেট এবং অরগানিক নাইট্রেট এর হাইপোটেনসিভ ইফেক্টকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এক্ষেত্রে সিলডেনাফিল ব্যবহার করা যাবে না। যাদের সিলডেনাফিলের প্রতি সংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সম্পূর্ন শরীর: মুখ ফুলে যাওয়া, ফটোসেনসিটিভিটি বিক্রিয়া, শক, এসথেনিয়া, ব্যথা, চিলস, দুর্ঘটনাবশত পরে যাওয়া, অ্যাবডোমিনাল ব্যথা, অ্যালার্জিক বিক্রিয়া, বুক ব্যথা, দুর্ঘটনাবসত ইনজুরি ইত্যাদি।

কার্ডিওভাসকুলার: এনজিনা পেকটোরিস, এভি ব্লক, মাইগ্রেইন, সিনকোপ, ট্যাডিকার্ডিয়া, প্যালপিটিসন।

ডাইজেষ্টিভ: বমি, গ্লোসাইটিস, কোলাইটিস, ডিসফ্যাজিয়া, গ্যাস্ট্রাইটিস, গ্যাস্টোইন্টরাইটিস, ইসোফাজাইটিস, স্টোমাইটাইটিস, ড্রাই মাউথ, অস্বাভাবিক যকৃত কিনা, রেকটাল হেমোটেইজ, জিনজিভাইটিস।

হেমিক এবং লিমফেটিক: অ্যানেমিয়া এবং লিউকোপেনিয়া।

মেটাবলিক ও নিউট্রিশনাল: তৃষ্ণা, ফুলে যাওয়া, গাউট, ডায়েবেটিস, হাইপারগ্লাইসেমিয়া, পেরিফেরাল ইডিমা, হাইপার ইউরেসিমিয়া, হাইপোগ্লাইসেমিক বিক্রিয়া, হাইপারন্যাট্রেমিয়া।

মাসকুলোস্কেলিটাল: আর্থাইটিস, আথ্রোসিস, মায়ালজিয়া, টেনডন রাপচার, হাড় ব্যথা, টেনোসিনভাইটিস, মাইওসথেনিয়া, সাইনোভাইটিস।

স্নায়ু: অ্যাটাকসিয়া, হাইপারটোনিয়া, নিউরালজিয়া, নিউরোপ্যাথি, প্যারেসথেসিয়া, কাপুনি, ভার্টিগো, ডিপ্রেসন, ইনসোমনিয়া, সোমনোলেন, অ্যাবনরমাল ড্রিম, হাইপেসথেসিয়া ।

শ্বসন: অ্যাজমা, ডিসপনিয়া, ল্যারেনজাইটিস, ফ্যারেনজাইটিস, সাইনুসাইটিস, ব্রনকাইটিস, কফ। চামড়া ও অ্যাপেনডেজেস আর্টিকেরিয়া, হারপিস সিমপ্লেক্স, প্ররাইটাস, ঘাম, স্কিন আলসার, কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস, এক্সফোলিয়েটিভ ডার্মাটাইটিস।

বিশেষ সেল: হঠাৎ কানে কম শোনা, মাইডিয়াসিস, কনজাংটিভাইটিস, ফটোফোবিয়া, টিনিটাস, চোখ বাথা, কান ব্যথা, চোখে রক্তক্ষরণ, চোখে ছানি, শুষ্ক চোখ ইত্যাদি ।

ইউরোজেনিটাল: সিসটাইটিস, নকটুরিয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, ব্রেস্ট বড় হয়ে যাওয়া, ইউরেনারী ইনকান্টিনেন্স, জেনিটাল ইডিমা, অ্যানরগ্যাসমিয়া।

কার্ডিওভাস্কুলার ও সেরেব্রোভাস্কুলার: গুরুতর মারাত্মক কার্ডিওভাস্কুলার, সেরেব্রোভাস্কুলার এবং ভাস্কুলার ইভেন্টস যেমন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, হঠাৎ কার্ডিয়াক ডেখ, ভেন্ট্রিকুলার অ্যারিদমিয়া, কার্ডিওভাস্কুলার হিমোরেজ, ট্রানসিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক, হাইপারটেনশন, সাব অ্যারাকনয়েড এবং ইনট্রাসেরেব্রাল হেমোরেজ এবং পালমোনারী হেমোরেজের প্রতিবেদন হয়েছে এর অল্পবিস্তর ব্যবহারে। প্রায় সব রোগীদের আগে থেকেই কার্ডিওভাস্কুলার রিস্ক ফ্যাক্টর ছিল তাদের অনেক সমস্যাই ঘটেছিল যৌন ক্রিয়ার সময় অথবা পরবর্তী সময়ে এবং কিছু ক্ষেত্রে যৌন ক্রিয়া ছাড়াই শুধুমাত্র সিলডেনাফিল ব্যবহারের পরে। অন্যান্য ক্ষেত্রে এগুলো ঘটেছিল সিলডেনাফিল ব্যবহার বা যৌন প্রতিক্রিয়ার কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পরে। এটা নির্ধারন করা সম্ভব হয়নি এ সকল ঘটনার সাথে সিলডেনাফিল এর কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা, সেই সকল রোগী যাদের ২৩টি কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ, অথবা এই সকল ফ্যাক্টরের সন্নিবেশ অথবা অন্যান্য ফ্যাক্টর নিয়োজিত ছিল।

নার্ভাস: সিজার, রিকারেন্ট সিজার, উদ্বিগ্নতা এবং ট্রানসিয়েন্ট গ্লোবাল অ্যামনেসিয়া ।

ইউরোজেনিটাল: বর্ধিত ইরেকশন, প্রায়পিজম এবং হেমাটুরিয়া।

বিশেষ স্নায়ু: ডিপ্লোপিয়া, সাময়িক দৃষ্টি শক্তি হ্রাস, অকুলার রেডনেস অথবা ব্লাডশট এর আবির্ভাব, অকুলার বার্নিং, অকুলার সোয়েলিং, বর্ণিত ইনট্রাঅকুলার প্রেসার, রেটিনাল ভাস্কুলার ডিজিজ অথবা রক্তক্ষরণ, ভিট্রিয়াস ডিটাচমেন্ট/ ট্রাকশন, প্যারামেকুলার ইডেমা এবং এপিসট্যাক্সিস।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

প্রেগনেনসি কেটাগরি (B), নবজাত শিশু ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।

বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে: সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এমন বয়ষ্ক সেচ্ছাসেবকদের (৬৫ বছর বা বেশি) ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সিলডেনাফিল খুব কম পরিমানে শরীর থেকে বের হয় যা প্লাজমার সিলডেনাফিলের পরিমান বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই তাদের ক্ষেত্রে ২৫ মি.গ্রা. সিলডেনাফিল দিয়ে শুরু করতে হবে।

সতর্কতা

সাধারন: যাদের লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা রয়েছে তাদের সঠিক কারন বের করে উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে হবে।

সিলডেনাফিল ব্যবহারের পূর্বে নিম্নোক্ত বিষয় গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে: ফসফোডাই ইস্টারেজ ও এবং আলফা ব্লকার একই সাথে সেবণের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।  ফসফোডাই ইস্টারেজ ও এবং আলফা এড্রেনারজিক ব্লকার গুলোর হাইপোটেনসিভ ইফেক্ট রয়েছে। তাই দুটো ড্রাগ একসাথে ব্যবহারের কারলে হাইপোটেনএসিভ ইফেক্ট আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই যে রোগীরা একই সাথে দুটো ওষুধ খাবেন, তাদের ক্ষেত্রে সিমটোমেটিক হাইপোটেনশন হতে পারে যার লক্ষন সমূহ ঝিমঝিম ভাব, ফ্যাকাশেভাব, মাথাব্যথা।

নিম্নোক্ত বিষয়াবলী বিবেচনা করা উচিত:
  • আলফা ব্লকার চিকিৎসায় স্থিতি অবস্থা থাকলে ফসফোডাই ইস্টারেজ ও প্রতিবন্ধক জাতীয় ওষুধ গ্রহন করা যাবে। আলফা ব্লকার চিকিৎসায় স্থিতিশীল হিমোডাইনামিক রোগীদের ক্ষেত্রে একই সাথে ফসফোডাই ইস্টারেজ ৫ প্রতিবন্ধক জাতীয় ওষুধ সেবনের ফলে হাইপোটেনশনের ঝুকি বেড়ে যায়।
  • আলফা ব্লকার চিকিৎসায় স্থিতি অবস্থা থাকলে ফসফোডাই ইস্টারেজ ও প্রতিবন্ধক জাতীয় ওষুধ নিম্ন মাত্রায় গ্রহন করা যাবে।
  • ফসফোডাই ইস্টারেজ ৫ প্রতিবন্ধক ওষুধ চিকিৎসায় স্থিতি অবস্থায় থাকলে আলফা ব্লকার জাতীয় ওষুধ নিম্ন মাত্রায় গ্রহন করা যাবে।
  • আলফা ব্লকার ও ফসফোডাই ইস্টারেজ ও প্রতিবন্ধক জাতীয় ওষুধ একই সাথে ব্যবহার ছাড়াও অন্যান্য ফেক্টর যেমন-রক্তের ভলিউম কমে যাওয়া এবং অন্যান্য উচ্চ রক্তচাপ ওষুধের ব্যবহারের কারণেও হাইপোটেনশন হতে পারে ।
  • যেসব রোগী একাধিক উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেন, তাদের উপর সিলডেনাফিলের পরীক্ষা করা হয়েছে। একটি পরীক্ষায় এমলোডিপিন ৫ এবং ১০ মি.গ্রা. সেবনকারী উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের ক্ষেত্রে ১০০ মি.গ্রা. সিলডেনাফিল সেবনের ফলে অতিরিক্ত সিসটোলিক রক্তচাপ ৮ মি.মি. এবং ডায়াস্টালিক রক্তচাপ ৭ মি.মি. হ্রাস পেতে দেখা গিয়েছে।
  • ব্লিডিং ডিজঅর্ডার ও সক্রিয় পেপটিক আলসারের রোগীদের ক্ষেত্রে সিলডেনাফিলের নিরাপদ ব্যবহার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
  • লিঙ্গের এনাটোমিকাল ডিফরমেশন রোগী (এ্যাঙ্গুলেশন, কেভারনোসাল ফাইব্রসিস অথবা পেরোনিস ডিজিজ) অথবা প্রিয়াপিজোম ঝুঁকি জনিত রোগীদের (সিকলসেল এনেমিয়া, মাল্টিপোল মায়লোমা অথবা লিউকেমিয়া) ক্ষেত্রে সিলডেনাফিল ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
  • ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের অন্যান্য ওষুধের সাথে সিলডেনাফিল ব্যবহারের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সেজন্য এ ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি নির্দেশিত নয়।
সাবধানতা: যেসব রোগীদের আগে থেকেই হৃদরোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে যৌনক্রিয়ায় হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে। তাই যে সকল রোগীদের ক্ষেত্রে তাদের হৃদপিণ্ডের অসুস্থতার কারণে যৌনক্রিয়া নির্দেশিত নয় তাদের ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সিলডেনাফিল ব্যবহারর উচিত নয়। সিলডেনাফিলের সিস্টেমিক ভ্যাসোডাইলেটরি প্রভাব রয়েছে যা স্বাস্থ্যবান সেচ্ছাসেবকে সুপাইন রক্তচাপ কমায়। যদিও সাধারণ ক্ষেত্রে এটা কম গুরুত্ব বহন করে তবুও সিলডেনাফিল প্রেসক্রাইব করার পূর্বে চিকিৎসককে সতর্কতার সহিত রোগীর হৃদরোগ সিলডেনাফিল ভ্যাসোডাইলেটরি ক্রিয়া দ্বারা প্রভাবিত হয় কিনা তা বিবেচনা করতে হবে।

নিম্নোক্ত অবস্থায় আক্রান্ত রোগীরা ভ্যাসোডাইলেটর যেমন সিলডেনাফিলের প্রতি সংবেদনশীল- যাদের লেফ্‌ট ভেন্ট্রিকিউলার প্রবাহ অবরুদ্ধ (যেমন- এওর্টিক স্টেনোসিস, ইডিওপ্যাথিক হাইপারট্রোফিক সাব এওর্টিক স্টেনোসিস) এবং যাদের অটোনোমিক উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। নিম্নোক্ত গ্রুপের ক্ষেত্রে সিলডেনাফিলের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার উপর কোন নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিক্যাল ডাটা নেই। যদি প্রেসক্রিপশন করা হয় তবে সেটা সতর্কতার সহিত করা উচিত।
  • ৬ মাসের ভিতর কোন রোগী যদি মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, স্ট্রোক অথবা জীবনঘাতী এরিথমিয়য়া ভুগে থাকে।
  • নিম্নরক্তচাপ (<৯০/৫০) অথবা উচ্চরক্তচাপ (>১৭০/১১০) আক্রান্ত রোগী।
  • কার্ডিয়াক ফেইলর অথবা করোনারি আরটারি ডিজিজ এ আক্রান্ত রোগীর যাদের ক্ষেত্রে অস্থিতিশীল বুকের ব্যথা তৈরি হয়।
  • যেসব রোগীদের রেটিনাইটিস পিগমেনটোসা আছে (খুবই কম সংখ্যাক রোগীদেরই বংশগত রেটিনাল কসকোডাইস্টারেজ আছে)।
  • যেসব রোগীদের সিকেল সেল অ্যানিমিয়া অথবা এ সম্পর্কিত অ্যানিমিয়া আছে ।
সিলডেনাফিল এর বিপনণ অনুমোদনের পর অস্থায়িভাবে দীর্ঘস্থায়ী ইরেকশন যা চার ঘণ্টার চেয়ে বেশী এবং প্রিয়াপিসম (৬ ঘণ্টার বেশী সময় ধরে বেদনাদায়ক ইরেকশন) সংগঠনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এই সব ক্ষেত্রে ইরেকশন যদি চার ঘন্টার বেশী সময় ধরে থাকে তবে রোগীর অতিসত্তর মেডিক্যাল সহযোগীর সাহায্য চাওয়া উচিত। যদি অতিসত্তর চিকিতসা না হয় তবে পেনাইল টিস্যু ক্ষতিগ্রস্থ এবং স্থায়ী যৌন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।

মাত্রাধিক্যতা

সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এমন সেচ্ছাসেবকরা ৮০০ মি.গ্রা.পর্যন্ত সিলডেনাফিল সেবন করলে দেখা যায়, কম পরিমান ও বেশি পরিমান একই ধরনের বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেয় কিন্তু বেশি মাত্রায় খেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হওয়ার সুযোগ ও মাত্রা অনেক বেড়ে যেতে পারে। তাই বেশি মাত্রায় খেলে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। যদিও কিডনী ডায়ালাইসিস করে খুব ভালো ফল পাওয়া যায় না কারণ সিলডেনাফিল প্লাজমা প্রোটিনের সাথে খুব শক্ত ভাবে আবদ্ধ থাকে।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Drugs for Erectile Dysfunction

সংরক্ষণ

আলো ও তাপ থেকে দূরে, শুষ্ক স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement