#Post ADS3

advertisement

পিরিয়ডের রং খয়রি হলে,নারীদের মাসিকের সমস্যা, পিরিয়ডের রং কালোহয় কেন,womens menstruation, period blood color,মাসিকের রং কালো হওয়ারকারণ

 


Subject : পিরিয়ডের রং বলে দেবে আপনি ‍সুস্থ নাকি অসুস্থ,পিরিয়ডের রক্তের রং দেখে বুঝে নিন আপনি সুস্থ নাকি অসুস্থ,পিরিয়ডের রং হালকা গোলাপি,যে রংয়ের মাসিক হলে বুঝবেন আপনি সুস্থ,পিরিয়ডের রং খয়রি হলে,নারীদের মাসিকের সমস্যা,পিরিয়ডের রং কালো হয় কেন,womens menstruation,period blood color,মাসিকের রং কালো হওয়ার কারণ

নারীদের জন্য প্রতি মাসে পিরিয়ড হওয়া স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা। এই পিরিয়ডের বৈশিষ্ট্য, স্থায়ীত্ব, রং বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকমের হয়। এই রঙের ভিন্নতা কেনো হয় বা রং দেখে কী চিহ্নিত করা যায় তা কী আমরা জানি? অনেক গবেষণাতেই দেখা গেছে পিরিয়ডের রং একজন নারীর শরীরের অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে।

শরীরে কোনো জটিল রোগ বাসা বেধে বসে আছে কিনা তাও নির্ণয় করা যায় রক্তের রং দেখে। তাই তো প্রতিটি মহিলারই পিরিয়ডের রক্তের রং দেখে সে সম্পর্কে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। আমরা জেনে নেই কোন ধরণের পিরিয়ডের রং কোন ধরণের সমস্যা নির্দেশ করে।

গাড় লাল ক্লট:

(ads1)

পিরিয়ডের রং যদি গাড় লাল ক্লট হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে প্রজেস্টেরন হরোমনের ক্ষরণ মারাত্মক কমে গেছে। কল্ট ছোট আকারের হলে খুব একটা চিন্তা নেই। কিন্তু বড় কল্ট হলে বুঝতে হবে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য একদমই ঠিক নেই। এমনটা হলে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

ক্র্যানবেরির মতো লাল:

এটা একদম পিরিয়ডের যথার্থ অবস্থা। রক্তের রং যদি উজ্জ্বল লাল রঙের হয় তাহলে বুঝতে হবে শরীরে কোনো সমস্যা নেই।

জ্য়ামের মতো যদি রং হয়:

পিরিয়ডের রক্তের রং কিছুটা জ্য়ামের মতো টকটকে লাল হলে এটা শরীরে প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমের ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু ইস্ট্রোজেনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। রক্তের রং এমন হলে অনেক সময় ইউটেরাইন ফাইব্রয়েডস হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

হালকা লাল:

পিরিয়ডের সময়ে রক্তের রং খুব হালকা হলে বুঝতে হবে এটি অপুষ্টি অথবা অ্যানিমিয়ার লক্ষণ। অবশ্য অন্য অনেক রোগেরও ইঙ্গিত দেয় এই রং।

ধূসর লাল:

কোনও সেক্সচুয়াল ট্রান্সমিটেড অসুখে আক্রান্ত হলে সাধারণত রক্তের রং ধূসর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে রক্ত থেকে বাজে গন্ধও বের হয় অনেক সময়।

(ads2)



পানির মতো রং হলে:

রক্তের রং একদম হালকা পানির মতো হলে বুঝতে হবে শরীরে পুষ্টিঘাটতি রয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হলে মূলত পিরিয়ডের রং এমন হয়ে থাকে। তাই পর পর ২-৩ বারের বেশি রক্তের রং এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

গোলাপী যদি হয়:

হালকা গোলাপী বা ফ্য়াকাশে রক্ত হলে শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা খুব কমে গেছে বুঝে নিতে হবে। ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই খেয়াল রাখতে হবে এই বিষয়ে।

(ads1)  (ads2)

কালো খয়েরি রং:

রক্তের রং কালো খয়েরি হয়ে গেলে বুঝতে হবে শরীরের ইউটেরাইনের লাইনিং বেশ মোটা হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে চিন্তার তেমন কোনো কারণ না থাকলেও সাবধান থাকা উচিত।

মেয়ে মাত্রই নির্দিষ্ট বয়স পার হওয়ার পর ঋতুস্রাবের মুখোমুখি হতে হয়। মহিলাদের এই ঋতুচক্রের উপরই নির্ভর করে অনেক কিছু।

অথচ, এই বিষয়টিতে আমরা মহিলারা অনেক ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব দিয়ে থাকি। অনেকেরই হয়ত জানা নেই ‘পিরিয়ড‍স’ অর্থাৎ ঋতুস্রাব-ই মহিলাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে দিতে পারে।

ঋতুস্রাবের রক্তের রং :

সাধারণত, ঋতুস্রাবের রক্তের রং হয় উজ্জ্বল লাল। তবে যদি রক্তের রং কালচে হয় তবে ধরে নিতে হরমোনের সমস্যা রয়েছে। কিংবা ‌যদি রক্তের রং হালকা গোলাপী বর্ণের হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন কম ক্ষরণ হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনার ‍‘অস্টিওপরোসিস‍’ এর সমস্যা হতে পারে। তবে অনেক সময় সঠিক পুষ্টির অভাবেও এমনটা হয়।

ঋতুস্রাবের রক্তপাতের গতি : অনেকসময় আপনি হয়ত ঋতু্স্রাবের অতিরিক্ত রক্তপাত নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো যদি একদিনে দুই থেকে তিনটি স্যানিটারি প্যাড লাগে এটি স্বাভাবিক। তবে যদি ছয় থেকে আটটি স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন এটি স্বাভাবিক নয় এবং এটি রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া হওয়ার চিহ্ন।

তবে আবার যদি কেবল একটি প্যাড ব্যবহার করেন এটিও তেমন স্বাভাবিক নয়। যেকোনো ধরনের সংক্রমণ এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অথবা ইউটেরাসে টিউমারের লক্ষণ এটি। তাই রক্তপাতের গতিতে যেকোনো পরিবর্তন এলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অনিয়মিত ঋতুস্রাব: সাধারণত ২৮ থেকে ৩৫ দিনের ব্যবধানে ঋতুস্রাব হয়। এই সময়টির গণনা শুরু হয় ঋতুস্রাবের প্রথম দিন থেকেই। তবে এক্ষেত্রে যদি কোনও হেরফের হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ঋতুস্রাবে ব্যথা : যদি ঋতুস্রাবের সময় অল্প স্বল্প ব্যাথা খুবই স্বাভাবিক। তবে হঠাৎ ‌যদি অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব করেন ‌যেটা আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয় তাহলে গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিন।

You Can Email Us Questions & Comments: info@healthcitylife.com

Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement