Subject : দুধের বোটা রস নি:সরণের, স্তনে বোটা থেকে যেকোনো ধরনের নি:সরণের দুধে বোঁটা দিয়ে অস্বাভাবিক রস বের হলে করণীয়,দুধের নিপলে যেসব রোগ হয়ে থাকে,দুধের সমস্যা মানেই ক্যান্সার নয়,দুধে বোঁটা দিয়ে অস্বাভাবিক রস বের হলে করণীয়
স্তনের বোঁটা দিয়ে অস্বাভাবিক রস বের হলে স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ বলে ধরে নেয়া হয়। কারো স্তনের বোঁটা দিয়ে দুধের মত সাদা রস নিঃসৃত হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু ঝুঁকি আছে।
স্তন ক্যান্সারের আরো কিছু লক্ষণ-
>>স্তনের বোঁটার কোন ধরনের পরিবর্তন, যেমন ভেতরে ঢুকে গেলে, অসমান বা বাঁকা হয়ে যায়
>>স্তনের চামড়ার রং বা চেহারায় পরিবর্তন হয়
>>বাহুমূলে (বগলে) পিণ্ড বা চাকা দেখা দেয়
>>পিউ-ডি অরেঞ্জ, মানে কমলালেবুর খোসার গায়ে যে ছোট ছোট ছিদ্র বা গর্তের মতো দেখা যায় দিলে ধারণা করা হয় স্তনের ভেতরে একটা টিউমার আছে। যেটির প্রেশারে স্তনের চামড়াটা কুঁচকানোর মতো হয়। এটা যদি হয়, তাহলে হতে পারে। স্তনের নিপল বা বোঁটা যদি অস্বাভাবিকতা থাকে- রিট্র্যাকশন অব নিপল বলা হয়। এই অবস্থাও ক্যান্সারের জানান দেয়।
যেসব কারণে হয়
দেরিতে সন্তান গ্রহণ
সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো
খাদ্যাভ্যাসে শাকসবজি বা ফলমূলের চাইতে চর্বি ও প্রাণীজ আমিষ বেশি থাকলে
এবং প্রসেসড ফুড বেশি খেলে, এবং অতিরিক্ত ওজন যাদের তাদেরও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।
(ads2)
বর্তমান সময়ে স্তনের রোগ বাড়ছে। স্তন ক্যানসারসহ নানা অসুখ দেখা দিচ্ছে। সতর্ক হলে এই রোগ থেকে বাঁচা যায়। সঠিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ জীবন যাপন করা যায়।
স্তনের অসুখগুলো খুব কমন একটা অসুখ নিয়ে রোগীরা আমাদের কাছে আসেন। তা হলো নিপলের (বোটা) ভেতর দিয়ে পানি নি:সরন হওয়া। সেই রসটা হতে পারে পানির মতো, অনেক ক্ষেত্রে সেটা পুঁজের মতো হতে পারে, সেটা রক্তও হতে পারে। আবার কখনো কখনো সেটা দুধ হতে পারে।
স্তনে বোটা থেকে যেকোনো ধরনের নি:সরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াটা ভালো। তবে আমি ধারণা দিতে চাই কী কী কারণে নিপলে এই নি:সরণ হতে পারে।
যেমন মিল্ক ডিসচার্য হতে পারে। তথা যারা বাচ্চাকে দুধ পান করাচ্ছেন বা যাদের বেবী হতে পারে তাদের ক্ষেত্রে দুধ নি:সরণ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এগুলো ছাড়াও অনেকের মিল্ক ডিসচার্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
কেননা, অনেক সময় মাথার টিউমারের জন্য এমন ডিসচার্য হয়। হরমোনের লেভেল পরিবর্তন হওয়ার জন্যও এসব ডিসটার্য হয়। যদি পুঁজ ডিসচার্য হয়, তাহলে বুঝতে হবে কোন এক জায়গায় ইনফেকশন আছে।
তাই কী কারণে পুঁজটা বের হচ্ছে তা আমরা দেখি। সমস্যাটা শনাক্ত করে এন্টিবায়োটিক দিলে রোগীরা সাধারণত ভাল হয়ে যায়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ডিসটার্য সেটা হলো পানি ডিসচার্য হওয়া বা রক্ত ডিসচার্য হওয়া।
এখানে একটা বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। সেটা হলো এই যে নি:সরনটা কী নিজে নিজে হচ্ছে? নাকি চাপ দিলে বের হচ্ছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো কয়টা ছিদ্র দিয়ে এটা বের হচ্ছে।
যদি একটা ছিদ্র দিয়ে বের হয়, নিজে নিজে বের হয়ে আসে, সেটা যদি পানির মতো হয় অথবা রক্তের মতো হয়- তাহলে অবশ্যই আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে একজন সার্জারী চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।
কারণ, এসব ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
(ads1)
লেখক: ডা. আফরিন সুলতানা
এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমঅারসিএস
কনসালটেন্ট, জেনারেল সার্জারী, সিটি হাসপাতাল
ও ল্যাপ্রস্কোপিক, ব্রেস্ট, কলোরেক্টাল সার্জারীতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
You Can Email Us Questions & Comments: info@healthcitylife.com