ভালোবাসার কাকে বলে ? এর সঠিক সংজ্ঞা এখনো পযর্ন্ত কেউ দিতে পারেননি। তবে ভালোবাসা মানে যে পারস্পরিক বোঝাপড়া তা সহজেই অনুধাবনযোগ্য। আর সেই বোঝাপড়া থেকেই স্বামী-স্ত্রী বা নারী-পুরুষের মধ্যে গড়ে উঠে যৌনসম্পর্ক। সেই যৌনসম্পর্ক বা যৌনমিলন কিভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করা যায় সে বিষয়টি আজকের আলোচ্য বিষয়.
(ads1)
উত্তেজনা অনুভব:
যৌন মিলনের প্রথম শর্তই হচ্ছে উত্তেজনা অনুভব করা। এই উত্তেজনা অনুভব বিভিন্নভাবে হতে পারে। উত্তেজনা অনুভবকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
(ক) প্রাকৃতিক উত্তেজনা: সহজাতভাবে হৃদয়ে ভাবভঙ্গীর মুখে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হবার দুর্দমনীয় কামনা যদি জাগে তবে তা হলো প্রকৃত উত্তেজনা।
(খ) কৃত্রিম উত্তেজনা: ইচ্ছেকৃতভাবে নারী -পুরুষ বা স্বামী-স্ত্রী মধ্যে জরাজড়ি করার মাধ্যমে যে উত্তেজনা অনুভূত হয় তাকে কৃত্রিম উত্তেজনা বলা হয়।
স্বামীর করণীয়:
১. প্রথমে আজ রাতে আপনার স্ত্রীকে ইচ্ছের কথা জানান।
২. কোনো রকম জোরাজুড়ি না করে তাকে কামনার কাজে উদ্ধুদ্ধ করার চেষ্টা করুন।
৩. চুম্বন, আলিঙ্গন, করে সহবাসের পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে।
৪. স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার ভাব দেখাতে হবে।
৫। স্ত্রী তার যৌন উত্তেজনার কথা মুখে প্রকাশ করে না। সেটা আপনাকে অনুধাবন করতে হবে।
৬. স্ত্রীর সহবাসের অনিচ্ছা থাকলে তা তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। আপনার প্রয়োজন ও আকুতির কথা তাকে নরম সুরে ভালোবাসাময় কণ্ঠ দিয়ে তার কাছে আবেদন জানান। দেখবেন তখন আর না করবে না।
(ads2)
স্ত্রীকে পরম সুখ দেয়ার উপায়:
১। গালে ঠোঁটে ঘন ঘন চুম্বন করুন, স্তন মর্দ্দন করুন, ভগাঙ্কুর মর্দন করুন।
২. সহবাসের আগে যৌনিপথ মর্দন করলে তারা পরম আনন্দ পায়।
৩. সহাবাসের আগে যদি পুরুষাঙ্গের আগায় খুব সামান্য পরিমাণ কর্পূর লাগানো হয় তবে স্ত্রী দ্রুত তৃপ্তি লাভ করে থাকে। তবে কর্পূর যেন বেশি না হয়, তাতে স্ত্রীর যোনি ও পুরুষাঙ্গ জ্বলন অনুভূত হতে পারে।
৪। স্ত্রীর ঊরুদেশ মৈথুন করুন।
৫. কান, ঘাড়, নাকে কামড়ে ধরুন। মনে রাখবেন কামড়ে যেন আপনার প্রিয়তমা ব্যথা না পায়।
(ads1)
যৌনমিলনের সময়:
১. দিনের বেলা সহবাস না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২. খাওয়ার পর পর সহবাস একেবারেই নিষিদ্ধ।
৩. গভীর রাত সহবাসের জন্য উপযুক্ত সময়।
৪. চিন্তাগ্রস্ত বা মেজাজ খারাপ অবস্থায় সহবাস করা বিজ্ঞানসম্মত নয়।
৫. শেষ রাতে বা ভোর রাতে সহবাস করা যেতে পারে। তবে কোনো কানো গবেষণায় শেষ রাতের সহবাসকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে ব্যাখা দেয়া হয়েছে।
যৌনমিলনের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়:
আপনি উত্তেজিত হলেন আর সহবাস শুরু করলেন তা হতে পারে না। এটা অনেক ধৈর্য ও সহ্যের কাজ। অনেক ছলা-কলা প্রয়োগের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে স্ত্রী সহবাসের চূড়ান্ত সুখানুভূতি লাভ করা যায়। যে অনুভূতির জন্য আপনার স্ত্রীও গোপন বাসনা নিয়ে অপেক্ষায় থাকে।
(ads1)
মৃদু প্রহার:
১. পূর্ণ মিলনের সময় আনন্দ বৃদ্ধির জন্যে আপনি ধীরে ধীরে স্ত্রীর দেহের কোমল অংশে মৃদু প্রহার করতে পারেন। এই প্রহার তারা অনেক মজা পায়।
২. তাকে জড়িয়ে ধরে ধুমড়ে-মুচড়ে ফেলুন।
৩. এসময় স্ত্রীর থাই চাপড়াতে পারেন।
৪. হাতে মধু মিশিয়ে স্তন মতলাতে পারেন।
লেহন:
লেহ্য বা লেহন যৌন মিলনে আজকাল খুব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আগে এর যত্রতত্র ব্যবহার ছিল না। ক্ষেত্রে বিশেষে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এই সম্পর্ক লজ্জাকরও বটে। ধর্মীয়ভাবে লেহন বা চোষণ সমর্থনযোগ্য নয়। তবে যৌন বিশেষজ্ঞদের মতে, নারী দেহের বিভিন্ন স্থান বিশেষত যৌনিপথে লেহন বা চোষণ উভয়পক্ষের তৃপ্তির জন্য অত্যন্ত ফলদায়ক।
(ads2)
সহবাস পরবর্তী করণীয় :
১. সহবাসে কিছু শক্তির হ্রাস হতে পারে। সেটি পূরণের জন্য এক পোয়া গরম দুধ খেতে পারেন। একরতি কেশন ও দুই তোলা মিশ্রি সংযোগে সেবন করা যেতে পারে।
২. বাদাম ভালোভাবে বেটে নিয়ে খেতে পারেন।
৩. দুতোলা ঘি, দু তোলা মিশ্রি কিংবা গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করলে সহজে ক্ষয় পূরণ হয়।
৪.মুগের ডাল ভালোভাবে বেটে নিয়ে ভেজে নিন, পরে মিশ্রি কিংবা চিনি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫. সহবাসের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষাঙ্গ ধৌত করলে নপুংষকতার লক্ষণ প্রকাশ পায়। সেজন্য রতিক্রিয়ার কিছু সময় পরে পুরুষাঙ্গ ধৌত করা উচিত।
৬. ঠাণ্ডা পানি বা শরবত পান করতে পারেন।
৭. লেবুর রস দিয়ে শর্করা মিশ্রিত এক/দুই গ্লাস পানি পান করতে পারেন।
৮. বাকি রাত আরামের ঘুম দিয়ে পার করতে পারেন।
৯. সহবাসের পর বেশি রাত জাগা, গভীর চিন্তা ও মানসিক কোনো উত্তেজনা স্থাস্থ্যের জন্য হিতকর নয়।
(ads1)
মাদক সেবন থেকে বিরত থাকুন
যে কোনো নেশা সর্বদা ক্ষতিকর। আর তা যদি স্ত্রী সহবাসের সময় সে তো মহা ক্ষতিকর। সহবাসের সময় এমনই আপনার রক্ত গরম থাকে। সে মহূর্তে যদি আপনি মাদক সেবন করে আরো উত্তেজিত হতে চান তবে হিতে-বিপরীত হওয়ার অশঙ্কা আছে। এ সময় আপনার শারীরিক ও মানসিক অতি মাত্রায় উত্তেজিত হয়ে হার্ট এ্যাটাক বা ব্রেইন স্ট্রোক হয়ে মৃত্যুও হতে পারে।