MM-KIT খাওয়ার পর রক্ত বন্ধ হচ্ছেনা কি করবেন?,বাচ্চা বুকের দুধ খায় এমন অবস্থায় এমএম কিট খাওয়া যাবে?,MM-KITখেলে কতদিন ব্লিডিং হয়,

MM-KIT খাওয়ার পর রক্ত বন্ধ হচ্ছেনা কি করবেন?,বাচ্চা বুকের দুধ খায় এমন অবস্থায় এমএম কিট খাওয়া যাবে?,MM-KITখেলে কতদিন ব্লিডিং হয়, MM-KIT খাওয়ার পর
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated



বিষয়: mm kit খাওয়ার সঠিক নিয়ম,এম এম কিট খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়,এমএম কিট(MM Kit) কাজ কি

MM-Kit খাওয়ার সঠিক নিয়ম: এম এম কিট নামটার সাথে হয়তো অনেকেই পরিচিত আবার অনেকেই অপরিচিত। আমরা অনেকেই বিয়ের পর দ্রুত বাচ্চা নিতে আগ্রহী না, তারা ইন্টারকোর্স করার ফলে বিভিন্ন ধরনের ইমারজেন্সি পিল গ্রহণ করে থাকে। কখনো কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে অসাবধানতার কারণে গর্ভবতী হয়ে গেলে সেই গর্ভপাতের জন্য  বা মাসিক নিয়মিত করণের জন্য এই এম এম কিট (MM kit) গ্রহণ করা হয়।

এম এম কিট বাচ্চা নষ্ট করার জন্য গ্রহণ করা হয়। এতে প্রচুর ব্লিডিং হয় থাকে কখনো এটা মারাত্মক হয় যায়। অনেকেই MM Kit সম্পর্কে ভালভাবে না জেনে খেয়ে ফেলে ফলে মারাত্মক সমস্যায় পড়ে যায়। তাই এম এম কিট খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত জেনে তারপর গ্রহণ করুন।

এম এম কিট কি? ও এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম 

আজকের  এই আর্টিক্যালে এম এম কিট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। সবাইকে অনুরোধ করবো এম এম কিট খাওয়ার আগে সম্পূর্ণ আর্টিক্যালটি মনোযোগ সহকারে পড়তে। কেননা এই আর্টিক্যালে  MM Kit বা এম এম কিট কি, এম এম খাওয়ার সঠিক নিয়ম বা কখন খেতে হয়, এম এম কিট এর  পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এম এম কিটের দাম, কোথায় কিনতে পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত শেয়ার করবো।

এম এম কিট কি?

এম এম কিট মূলত হল একধরনের ঔষধ বা পিল। যা মহিলাদের অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের ৬৩ দিন বা ৯ সপ্তাহের মধ্যে এম এম কিট গ্রহণ করে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে তাদের মাসিক নিয়মিত করার জন্যই এই পিল ব্যবহার করা হয়। আর যদি ৯ সপ্তাহের বেশি হয়ে যায় তাহলে এই ঔষধ আর গ্রহণ করা যাবেনা। তাই যদি কোন কারণে গর্ভধারণ এর সময়  ৯ সপ্তাহের বেশি হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

(abs1)

এম এম কিট কেন খায়?

বিয়ের পর অনেক সময় আমরা দ্রুত বাচ্চা নিতে চাইনা। কিন্তু ইন্টারকোর্স করার পর অসতর্কতার কারণে দেখা গেছে বাচ্চা পেটে চলে আসে অর্থাৎ গর্ভবতী হয়ে যায়। তখন আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি কি করবো। ইন্টারকোর্স বা সহবাস করার পর থেকে যদি ৯ সপ্তাহের মধ্যে এম এম কিট নিয়ম অনুযায়ী খেতে পারেন তাহলে পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে ব্লিডিং এর মাধ্যমে বের হয়ে যাবে এবং মাসিক শুরু হবে।

এম এম কিট ঔষধ এর উপাদান

এম এম কিটে মূলত দুই ধরনের ট্যাবলেট থাকে। একটি মিফেপ্রিষ্টোন ২০০ মি. গ্রা. উপাদান দিয়ে তৈরি একটি বড় ট্যাবলেট। আরেকটিতে মিসোপ্রোষ্টল ২০০ মাইক্রো গ্রাম উপাদান দিয়ে তৈরি ৪ টি ছোট ট্যাবলেট রয়েছে। এম এম কিট নামে এই ঔষধ টি বাজারে এনেছে হল জিসকা ফার্মাসিকিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানি। এছাড়া ও এই ধরনের ঔষধ আরো বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নাম দিয়ে বের করেছে।

এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম

এম এম কিট খাওয়ার আগে আপনাকে ১০০% নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন। অনেকেই কোন কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে ভাবে যে হয়তো প্রেগন্যান্ট হয়ে গেছে। প্রেগন্যান্ট না হয়ে এই ট্যাবলেট খেলে আপনার জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। তাই অবশ্যই ১০০% সিউর হয়ে তারপর এই ট্যাবলেট খেতে হবে।

প্রেগন্যান্সি টেস্ট আপনি দুইভাবে করতে পারেন, হসপিটালে গিয়ে অথবা  ফার্মেসী থেকে প্রেগন্যান্সি কিট কিনে ঘরে বসেই টেস্ট করতে পারবেন। প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার পর নিশ্চিত হয়ে গর্ভধারণের ৯ সপ্তাহের মধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে এই এম এম কিট ট্যাবলেট গ্রহণ করবেন। 

এম এম কিট খাওয়ার সঠিক নিয়ম

এম এম কিট এর একটি প্যাকেটে মোট ৫ টি ট্যাবলেট থাকে। যেখানে একটি বড় ২০০ মি.গ্রা ট্যাবলেট রয়েছে  যাকে বলা হয় মিফেপ্রিস্টোন এবং বাকি ৪ টি ছোট ছোট আকারের ট্যাবলেট রয়েছে যাকে মিসোপ্রোস্টল বলা হয়।

mm kit খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে প্রথমে বড় ট্যাবলেটটি যথাসম্ভব ডাক্তারের সামনে বসে খাবেন। তারপর ২৪ ঘন্টা পরে বাকি ৪ টি ছোট ছোট ট্যাবলেট বের করে জিহবার নিচে রেখে দিন। আধা ঘণ্টা এভাবে রাখতে হবে যেন ট্যাবলেট গুলো গলে পেটে যায়। ঐ সময় মুখে থুথু আসলে ও ফেলা যাবেনা। আধা ঘণ্টায় যদি ট্যাবলেট শেষ না হয় বা মুখে আটকে থাকে তাহলে পানি দিয়ে খেয়ে নিবেন।

(abs2)



ওষুধগুলো সেবনের পর যদি মারাত্মক কোন সমস্যা দেখা দেয় বা অতিরিক্ত ব্লিডিং হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।  এবং ঔষধ খাওয়ার কিছুদিন পর হসপিটালের গিয়ে টেস্ট করে নিশ্চিত হয়ে নিবেন যে গর্ভপাত হয়েছে কিনা। যদি না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

এম এম কিট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এম এম কিট এর সাইড ইফেক্ট রয়েছে। এম এম কিট খাওয়ার পর আপনাকে সাবধানে থাকতে হবে। কারণ বেশিরভাগ সময়ই বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল: জ্বর, মাথা ব্যাথা করা, বমি আসা, বা বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা, শরীর দুর্বলতা, জরায়ু সংকোচন অথবা খিচুনি দেখা দিতে পারে। 
মাসিক দেরিতে হতে পারে, মাসিকে প্রচুর রক্তক্ষরণ, সাদাস্রাব ইত্যাদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। উপসর্গের মাত্রা বেশি হলে বা প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

এম এম কিট এর দাম

এম এম কিট এর একটি প্যাকেটে ৫ টি ট্যাবলেট থাকে। ১ টি বড় ও ৪ টি ছোট ছোট। এক প্য্যাকেট এম এম কিট এর দাম ৩০০ টাকা

MM Kit সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

এম এম কিট খেলে কতদিন ব্লিডিং হয়

সাধারণত এম এম কিট খাওয়ার চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত ব্লিডিং হতে পারে। কারো কারোর ক্ষেত্রে ১০ দিন ও  ব্লিডিং দেখা যায়। যদি ১০-১২ দিনের পরে ও ব্লিডিং হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

বাচ্চা বুকের দুধ খায় এমন অবস্থায় এমএম কিট খাওয়া যাবে?

কখনো দেখা যায়  দুধের বাচ্চা থাকা অবস্থায় অসাবধানতার কারণে প্রেগন্যান্ট বা গর্ভবতী হয়ে যায়। তখন যদি বাচ্চা নিতে না চাই এবং MM Kit খেতে চায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অন্যথায় দুধের বাচ্চার সমস্যা হতে পারে।

এম এম কিট খাওয়ার পর রক্ত বন্ধ হচ্ছে না কি করবেন?

সাধারনত ৪-৫ দিন ব্লিডিং হয়ে থাকে তবে সেটা যদি ১০ দিনের বেশি হয়ে যায় কিন্তু রক্ত বন্ধ না হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এম এম কিট খাওয়ার পর মাসিক না হলে করণীয় কি?

এম এম কিট খাওয়ার পর তার পার্শপ্রতিক্রিয়ার কারণে অনেক সময়  ১৫-২০ দিন মাসিক বন্ধ থাকে। তবে এম এম কিট খাওয়ার ৭-১০ দিন পর আবার টেস্ট করবেন যে গর্ভপাত হয়েছে কিনা। অনেক সময় এম এম কিট খাওয়ার পরে ও গর্ভপাত হয়না। যদি গর্ভপাত হয়ে যায় এবং মাসিক বন্ধ থাকে তাহলে ঔষধের সাইড ইফেক্ট এর কারণে। যদি ১৫ দিনের বেশি হয়ে যায় মাসিক না হয় তাহলে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে পারেন।

এম এম কিট খাওয়ার কত দিন পর সহবাস করা যাবে?

এম এম কিট খাওয়ার পর যখন মাসিক হবে এবং তারপর পুরাপুরি সুস্থ হওয়ার ২-৩ দিন পর থেকেই সহবাস করতে পারবেন । ব্লিডিং অবস্থায় ভুলে ও সহবাস করা যাবে না। এতে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।

এম এম কিট কতবার খাওয়া যায়

এম এম কিট (MM-Kit) পিল হল পেটের বাচ্চা কে গর্ভপাতের জন্য খাওয়া হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে গর্ভবতী  হয়ে গেলে তা গর্ভপাতের জন্য ৯ সপ্তাহের মধ্যে এম এম কিট খেতে হয়। তবে কথা হচ্ছে এম এম কিট কতবার খাওয়া যায়?  এটা বলা মুশকিল। আসলে এই ঔষধের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যার ফলে না খাওয়াই ভাল। ২-৩ বার এম এম কিট এর মাধ্যমে গর্ভপাত করালে পরবর্তী বাচ্চা জন্মদানে সমস্যা হতে পারে। তাই যথা সম্ভব না খাওয়া বা কম খাওয়াই উত্তম। তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাবেন ।

এম এম কিট খাওয়ার পর সাদা স্রাব গেলে করণীয় 

এম এম কিট খাওয়ার পর সাদা স্রাব গেলে এক কথায় ডাক্তার দেখাতে হবে। কারণ অনেকেই আছে প্রেগন্যান্সি টেস্ট না করিয়ে শিউর না হয়ে একা একাই এম এম কিট পিল খেয়ে ফেলে। পরবর্তী দেখা যায় বাচ্চা জরায়ুতে না থাকার কারণে ব্লিডিং না হয়ে সাদাস্রাব যেতে থাকে। এমন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

এম এম কিট খাওয়ার পর বমি হলে

অনেকের দেখা যায় mm kit খাওয়ার পর বমি হয়, এটা মুলত তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হয়ে থাকে। খাওয়ার সাথে সাথে বা আধা ঘণ্টার মধ্যে যদি বমি হয়ে থাকে তাহলে অপেক্ষা করবেন ব্লিডিং হয় কি না। যদি না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আবার খাবেন কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিবেন। আর যদি বমি যদি বার বার হতে থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন। 

শেষ কথা

এম এম কিট  গ্রহণের সময় ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করবেন। এম এম কিট খাওয়ার পরে যদি কোন মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এম এম কিট সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন। তবে যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.