#Post ADS3

advertisement

দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ,পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ারলক্ষণ,প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ,প্রেগন্যান্সির লক্ষণ,গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পরবমি হয়



Subject :গর্ভধারণের ১২ টি প্রাথমিক লক্ষণ,চিনে নিন প্রেগন্যান্সির প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণ, গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ, গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ, প্রেগন্যান্সির ১০ লক্ষণ জানাবে আপনি গর্ভবতী, ৫ লক্ষণে বুঝে নিন আপনি অন্তঃসত্ত্বা, আপনি কি প্রেগন্যান্ট? পিরিয়ড মিস হওয়ার আগেই বুঝবেন যে লক্ষণে

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহে কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষণ থাকে না। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম ১ মাস মায়েরা সাধারণত বুঝতেই পারেন না যে তারা গর্ভধারণ করেছেন। প্রথম যে লক্ষণটি গর্ভবতী মায়েরা খেয়াল করে তা হলো পিরিয়ড বাদ যাওয়া। উল্লেখ্য, গর্ভবতী নারীর সর্বশেষ মাসিকের প্রথম দিন থেকে তার গর্ভকালের শুরু ধরা হয়।

কি করে বুঝবেন আপনি প্রেগন্যান্ট কি না? 

আমরা জেনেছি, গর্ভাবস্থায় প্রথম যে উল্লেখযোগ্য লক্ষণটি দেখা যায় তা হল পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া। এ ছাড়া কারো কারো ক্ষেত্রে আরও কিছু লক্ষণ (যেমন: মাথা ঘুরানো, চাপ দিলে স্তনে ব্যথা অনুভব করা, বমি বমি লাগা, ক্লান্তি অনুভব করা) উপস্থিত থাকতে পারে। তবে এসব লক্ষণ থাকলেই যে আপনি গর্ভবতী তা সুনিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়

আপনি গর্ভবতী কি না তা জানার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হল প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা। আপনি প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের সাহায্যে খুব সহজে ঘরে বসেই জেনে নিতে পারেন আপনি গর্ভবতী কি না। এই কিটগুলো আপনি সাধারণ ওষুধের দোকান বা ফার্মেসি থেকেই কিনতে পারবেন। এ ছাড়া নিকটস্থ কোনো ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল বা গাইনী ডাক্তারের চেম্বারে গিয়েও আপনি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাতে পারেন।

গর্ভধারণের লক্ষণগুলো কখন থেকে দেখা যেতে পারে?

সাধারণত ডিম্বাণু নিষিক্ত হলেই গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করতে পারে। ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর ফেলোপিয়ান টিউব (Fallopian Tube) হয়ে জরায়ুতে পৌঁছাতে হতে প্রায় ৬ দিন সময় লাগে।

গর্ভধারণের প্রথম ৬ সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় ৬০ ভাগ মহিলার গর্ভধারণের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয় এবং প্রথম ৮ সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ মহিলা প্রেগনেন্সির এসব উপসর্গ অনুভব করতে পারেন।

আপনি যদি পিরিয়ড বা মাসিকের হিসাব না রেখে থাকেন, অথবা যদি নিয়মিত না হয়, তবে আপনি হয়তো বুঝতে পারবেন না কখন মাসিক হবে। তাই এসময়, যদি আপনি নিচের কোন একটি উপসর্গ নিজের মাঝে দেখতে পান, তবে তা গর্ভধারণের লক্ষণ হতে পারে।

নিশ্চিত হতে নিচের উপসর্গ সমূহ মিলিয়ে নিতে পারেন এবং বাসায় বসেই প্রেগন্যান্সি কিট দিয়ে আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা তা পরীক্ষা করে নিতে পারেন।

বিয়েরতো কয়েক বছর হল। এবার ভাবছেন বেবি নিবেন। সে অনুযায়ী চেষ্টাও করেছেন। পিরিয়ড হওয়ার সময় এখনো হয়নি। কিন্তু মন সারাক্ষণ জানতে চায়, এবার হবেতো? কিভাবে জানবেন আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা?

চলুন জেনে নেই প্রেগন্যান্সি টেস্টের আগেই কিভাবে প্রেগন্যান্সির ১০ লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী

প্রেগন্যান্সির ১০ লক্ষণ

১. স্তন বড়, ভারী ও স্পর্শককাতর: আপনার গর্ভে  ভ্রুণ আসলে শরীরে হরমনের পরিবর্তন হতে থাকে। আপনার স্তন ব্যথা করে। সেই সাথে ভারী ও স্পর্শকাতর থাকে। হালকা স্পর্শে জেগে উঠে। এমন কিছু আপনাকে আগাম সংকেত দিচ্ছে, আপনি প্রেগন্যান্ট।

২. খিদে বাড়ে ও অরুচি : আপনি প্রেগন্যান্ট হলে খিদে বাড়বে আপনার। কিছুক্ষণ পর পরই ক্ষুদা লাগবে। একই সাথে খাবারে অরুচি দেখা দিবে। নিজের অনেক পছন্দের খাবারও বিষের মত লাগবে।

৩. ক্লান্তিবোধ: আপনি যদি প্রেগন্যান্ট হন, তবে কোন কারণ ছাড়াই আপনার সারাদিন ক্লান্তি বোধ হবে। আসলে কেউই এখন পর্যন্ত ব্যাখ্যা করতে পারেনি সন্তান সম্ভবা মা’র প্রথম দিকের ক্লান্তির কারণ কি। সম্ভবত প্রোজেস্ট্রেরন হরমোনের ক্রমবর্ধমান প্রবাহ আপনাকে এই ঘুম ঘুম অনুভুতি দিচ্ছে। এছাড়াও মর্নিং সিকনেস ও বার বার প্রস্রাব করাও আপনার ক্লান্তিবোধ বাড়াতে কাজ করছে।

৪. বর্ধিত শারীরিক তাপমাত্রা: আপনি প্রেগন্যান্ট হলে  স্বাভাবিকের চেয়ে আপনার শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। যদি আপনি নিয়মিত আপনার শরীরের তাপমাত্রার চার্ট রেখে থাকেন, এবং যদি দেখেন একনাগাড়ে ১৮ দিনের বেশি তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, তবে খুব সম্ভবত আপনি গর্ভবতী।

৫. রক্তক্ষরণ, ব্যথা ও টান ধরা:  পেটে ভ্র্রুণ আসায় আপনার জরায়ু বড় হতে শুরু করবে। তাই আপনার পেটে টান ধরবে এবং পেটে ব্যথা হবে। পিরিয়ড শুরু হওয়ার নির্দিষ্ট দিনের আগে হালকা রক্তক্ষরণ বা পেটে প্রচন্ড টান ধরা ব্যথাও প্রেগন্যান্সির লক্ষণ। ভ্রুণ সঞ্চার হওয়ার প্রথম পাঁচ থেকে দশ দিনের মধ্যে এমন হতে পারে। রক্তক্ষরণ হলেই অনেকে ভাবেন পিরিয়ড শুরু হয়ে গেল, এ বার হল না। এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়।

৬. বমি ভাব, গন্ধ লাগা: গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক সপ্তাহে পেটে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব প্রেগন্যান্সির লক্ষণ। প্রোজেস্টেরন হরমোন শরীরে বেড়ে গেলে পেট গুলিয়ে ওঠে। অন্য দিকে ইস্ট্রোজেন ও এইচসিজি হরমোনের প্রভাবে হালকা গন্ধও খুব জোরালো মনে হয়। মাঝে মাঝেই বমি পায়। এ রকম হলে অবশ্যই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করান।

৭. ঘন ঘন প্রস্রাব: প্রেগন্যান্সির প্রথম কয়েক সপ্তাহে ঘন ঘন প্রস্রাব পেতে পারে। শরীরে নতুন তৈরি হওয়া এইচসিজি হরমোন কিডনিতে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ইউটেরাস বড় হতে থাকলে ব্লাডারে চাপ পড়ে। ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়।

৮. গলা শুকিয়ে আসা: জল তেষ্টা পাওয়া, চোখে মুখে ফোলা ভাব, হাঁসফাঁস লাগা, জিনসের বোতাম আটকাতে কষ্ট হওয়া প্রেগন্যান্সির লক্ষণ হতে পারে।

৯. মন মেজাজের উঠানামা: প্রেগন্যান্সির সময় মন মেজাজের কোন ঠিক থাকেনা। গর্ভবতী মায়ের শরীরে এ সময় হরমোন বদলের কারণে ব্রেনের অভ্যন্তরে মেসেজ বহনকারী নিউরোট্রান্সমিটারের পরিমানে পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তন একেক জনের একেক রকম হয়ে থাকে। সম্ভবা মা এসময় বেশ আবেগী অনুভব করেন, আবার অনেকে এসময় বিষন্নতা/দুশ্চিন্তায় ভোগেন।

১০. পেট ফুলে যাওয়া: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে গর্ভবতী মায়ের পেট ফুলে যাওয়ার অনুভুতি হয়। এটা অনেকটা মাসিক হবার আগ মুহুর্তের অনুভুতি। এ সময় আপনার এরকম মনে হতে পারে যে, পরিধেয় বস্ত্র কোমরের কাছে ছোট হয়ে গেছে, যদিও এখন পর্যন্ত আপনার জরায়ুতে তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি।

আপনার মাসিক যদি সঠিক চক্র মেনে চলে এবং উপযুক্ত সময়ে যদি আপনার মাসিক না হয়, তবে উপরের উপসর্গগুলো দেখা না দিলেও আপনি বাসায় বসেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করার কথা চিন্তা করতে পারেন। তবে আপনার মাসিক যদি অনিয়মিত হয়, তবে প্রেগন্যান্সির ১০ লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী কিনা।

যখন বুঝবেন আপনি প্রেগন্যান্ট, নিতে হবে একটু বাড়তি যত্ন। যেমন জানতে হবে কোন খাবার গর্ভপাত বাড়ায়। এড়িয়ে চলতে হবে সেই খাবার।

You Can Email Us Questions & Comments: info@healthcitylife.com

We Are On The Following Social Media

Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement