#Post ADS3

advertisement

ঘরে বসে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার উপায়,প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার সহজ উপায়,পিরিয়ড মিস হয়েছে? প্রেগনেন্সি টেস্ট করানোর সঠিক সময় জেনে নিন!



বিষয়: ঘরে বসে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার উপায়,প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার সহজ উপায়,পিরিয়ড মিস হয়েছে? প্রেগনেন্সি টেস্ট করানোর সঠিক সময় জেনে নিন!

কোনো নারী অন্তঃসত্ত্বা হলেন কি না, তা ঝটপট ও প্রায় নির্ভুলভাবে জানতে ব্যবহার করা হয় প্রেগন্যান্সি কিট। এই যন্ত্রের ব্যবহারও সহজ। গর্ভধারণ করলে শরীরে বিটা এইচসিজি নামে একটি হরমোন তৈরি হয়; যার উপস্থিতি প্রস্রাবেও নির্ণয় করা যায়। চাইলে নিজেই প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন। এটিই এই পরীক্ষার মূল পদ্ধতি। কিন্তু অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন সঠিক উপায়ে যন্ত্রটি ব্যবহার করা নিয়ে। ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতা নিয়েও অনেকের মনে সংশয় দেখা দেয়।

যখন করবেন

যাঁদের মাসিক নিয়মিত, তাঁরা মাসিক হওয়ার তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ পর এই পরীক্ষা করবেন। মাসিক অনিয়মিত হলে গর্ভাবস্থার লক্ষণ বুঝতে পারলে পরীক্ষা করুন।

যেভাবে করবেন

সকালবেলার প্রথম প্রস্রাব দিয়ে পরীক্ষা করলে ভালো। দিনের যেকোনো সময় করলেও চলবে, সে ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় প্রস্রাব ধরে রাখতে হবে। প্রতিটি স্ট্রিপে নির্দেশনা লেখা থাকে। সেই নির্দেশনা মেনে প্রস্রাব দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।

রিপোর্ট কীভাবে বুঝবেন?

স্ট্রিপে একটি রঙিন রেখা বা লাইন এলে বুঝবেন প্রেগন্যান্সি নেগেটিভ, অন্তঃসত্ত্বা নন। স্ট্রিপে পাশাপাশি দুটি রঙিন রেখা বা লাইন দেখা গেলে পজিটিভ, এমনকি হালকা রেখা হলেও পজিটিভ ধরা যাবে। মানে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।

যদি কোনো রঙিন রেখা না দেখা যায়, তবে পরীক্ষা বাতিল বলে ধরে নিতে হবে এবং আবার আরেকটি স্ট্রিপ দিয়ে করতে হবে। আধা ঘণ্টা পর নেগেটিভ ফলাফল পজিটিভ হলেও রিপোর্টটি অগ্রহণযোগ্য।

নেগেটিভ কিন্তু মাসিক হচ্ছে না?

বাড়িতে প্রেগন্যান্সি টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ পেয়েছেন কিন্তু এরপরও মাসিক হচ্ছে না, তাহলে আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করে আবার পরীক্ষা করবেন। এবারও নেগেটিভ হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। প্রেগন্যান্সি ছাড়া অন্যান্য কারণেও মাসিক বন্ধ হতে পারে।

পিরিয়ড অনিয়মিত হলে কী করবেন?,মাসিক দেরীতে হওয়া কী স্বাভাবিক?

পরীক্ষার সত্য-মিথ্যা

প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে এই কিট নির্ভুল তথ্য দেয়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটি ফলস পজিটিভ হতে পারে। মানে অন্তঃসত্ত্বা নয়, তবু পজিটিভ হতে পারে। যেমন এইচসিজি হরমোনযুক্ত কোনো ওষুধ সেবন করলে, কোনো কোনো রোগে এইচসিজি হরমোন অতিমাত্রায় নিঃসৃত হয় (মোলার প্রেগন্যান্সি, কোরিওকারসিনোমা, আইলেট সেল টিউমার ইত্যাদি)। গর্ভপাতের পরপর বা সন্তান জন্মের ৪ সপ্তাহের মধ্যে টেস্ট করলে পজিটিভ হতে পারে। কারণ তখনো হরমোন থেকে যায়। কিটের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ পার হয়ে গেলে বা কিট ব্যবহার অযোগ্য হলে ভুল রিপোর্ট আসতে পারে।

রিপোর্ট ফলস নেগেটিভ হয় কেন?

আবার উল্টোটাও হতে পারে। রিপোর্ট নেগেটিভ দেখাচ্ছে কিন্তু আসলে আপনি অন্তঃসত্ত্বা। কেন এমন হয়? যদি নির্ধারিত সময়ের আগেই টেস্ট করে ফেলেন (মাসিকের তারিখের এক সপ্তাহ পার না হতেই)। যাঁরা প্রস্রাব ধরে রাখতে পারেন না বা টেস্টের আগে প্রচুর পানি পান করলে প্রস্রাবে হরমোনের মাত্রা কম থাকায় নেগেটিভ আসতে পারে।

প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট কি?

কোন নারি অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভবতী হল কিনা একটি যন্ত্রের মাধ্যমে ঘরে বসেই প্রাথমিক পরিক্ষার মাধ্যমে জানতে পারে। সেই যন্ত্রটি কেই বলা হয় প্রেগন্যান্সি কিট

প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট এর নাম ও দাম

প্রেগনেন্সি টেস্ট কিটের নাম জানতে চায় অনেকেই। আসলে আমাদের দেশে কয়েকটি টেস্ট কিট আছে খুব পরিচিত। তা ছাড়াও আরো বিভিন্ন টেস্ট কিট রয়েছে। তবে যে গুলো বেশ পরিচিত সেই গুলোর কথাই বলবো। ৪ টি টেস্ট কিট এর কথা বলবো।

প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট এর নাম

  • Get Sure ( HCG Urine Pregnancy Test Cassettes)
  • Good News ( Digital Cassette)
  • MAM CHECK
  • i-can ( One Step Pregnancy Test Kit)

প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট এর দাম

উল্লেখিত প্রথম ২ টি প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট এর দাম এক পিস ২০-৫০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন। ৩য় টার দাম ৮০-১০০ টাকা এবং ৪র্থটার দাম ১০০ টাকার উপরে লাগবে। দাম এর তারতম্যের কারণ হল একেক জায়গায় একেক দোকানে একেক দাম রাখে তাই এভাবে উল্লেখ করা হল।

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়।

মাসিক মিস হওয়ার পর একটা বাচ্চা গর্ভে আসতে সময় লাগে ১০ -১৫ দিন। তখন কিছু প্রেগন্যান্সির লক্ষণ বুঝা যেতে পারে। ওই সময় টেস্ট করা যেতে পারে। গর্ভধারণের ৬ সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৬০ ভাগ নারী গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারে এবং ৭ সপ্তাহের মধ্যে ৯০ ভাগ মহিলারা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারেন যে তারা প্রেগন্যান্ট।

প্রেগনেন্সি টেস্ট কেন সকালেই করা হয়?

সাধারণত সকালেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করা হয়ে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় গর্ভধারণ সন্দেহে ঘরেই কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হয় প্রেগনেন্সি। এজন্য প্রয়োজন হয় সকালের প্রথম ইউরিন। গর্ভধারণ বিষয়ে নিশ্চিত হতে সব নারীই এখন হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের উপর নির্ভর করেন।

যদিও সবসময় এর ফলাফল সঠিক আসে, তা নয়। কিছু ক্ষেত্রে হোম কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হলেও ফলাফল ভুল আসতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফলাফল ঠিক আসার কারণে নিশ্চিন্তেই সবাই হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের উপর নির্ভর করেন।

তবে সবসময় সকালেই কেন এই কিট ব্যবহার করতে হয়? এ বিষয়ে নিশ্চয়ই কৌতূহল জাগে! প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, প্রেগন্যান্সি টেস্ট সকালে করা উচিত, এতে পরীক্ষার রিপোর্ট সঠিক আসে। রাতে এই টেস্ট করলে ভুল রিপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বলে অনেকের ধারণা। কিন্তু সত্যিই কি তাই?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতেও প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যেতে পারে। তবে সেই ফলাফল কতটুকু ঠিক বা ভুল, সে বিষয়টি এখনও এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ ঘরে কিট ব্যবহারের মাধ্যমে যেভাবে গর্ভবতী কি-না জানা যায়, এজন্য প্রয়োজন হয় প্রস্রাবের একটি বিশেষ উপাদান।

হিউম্যান ক্রনিক গোনাডোট্রপিন বা (এইচসিজি)র উপস্থিতির উপর নির্ভর করেই গর্ভধারণের ফলাফল বের হয়। ওভালুয়েশন শুরু হওয়ার ১০ দিনে শরীরে উত্পাদিত প্ল্যাসেন্টার উপর এই হরমোনের উপস্থিতি নির্ভরশীল। হোম টেস্ট কিটের দ্বারা নির্ধারণ করা সম্ভব, এই স্তরে (এইচসিজি)র পৌঁছালে, তবেই পরীক্ষার সঠিক ফল মেলে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের প্রথম ইউরিন বেশি ঘন হয়ে থাকে। আর (এইচসিজি)র উপাদানটি ওই সময়ই বেশি পরিমাণে থাকে প্রস্রাবে। যত বেলা বাড়ে; ততই ইউরিন পাতলা হয় এবং তাতে (এইচসিজি)র উপস্থিতি কমতে থাকে। তাই রাতে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করলে আপনি গর্ভবতী হলেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসতে পারে।

শারীরিক সম্পর্কের পর যদি কোনো মাসে পিরিয়ড মিস হয়; তাহলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন। তবে অনিয়মিত পিরিয়ড হলে শেষ পিরিয়ডের তারিখের পর ৩৫-৪০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

সঠিক রিপোর্ট পেতে রাতের থেকে সকালে টেস্ট করাই ভালো। যদি মনে হয়, আপনি প্রেগন্যান্ট তবে হোম কিটের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও সঠিক ফলাফলের জন্য ল্যাব থেকে পরীক্ষা করিয়ে নিন।

You Can Email Us Questions & Comments: info@healthcitylife.com

We Are On The Following Social Media

Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement