#Post ADS3

advertisement

ডালের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ, প্রতিদিন ডাল খেলে যে ৩টি যাদুকরী উপকার মিলবে,ডাল খাওয়া কি ভালো?,ডাল কি কি ভিটামিন আছে?,মসুর ডাল কি শর্করা?

ডালের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ, প্রতিদিন ডাল খেলে যে ৩টি যাদুকরী উপকার মিলবে,ডালখাওয়া কি ভালো?,ডাল কি কি ভিটামিন আছে?,মসুর ডাল কি শর্করা?


Subject : ডালের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ, প্রতিদিন ডাল খেলে যে ৩টি যাদুকরী উপকার মিলবে,ডাল খাওয়া কি ভালো?,ডাল কি কি ভিটামিন আছে?,মসুর ডাল কি শর্করা?

মসুর ডাল না হলে ভাত খেতে পারেন না, আমাদের দেশে এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। শুধু আমাদের দেশেই নয়, গোটা পৃথিবীজুড়েই এটি খুব জনপ্রিয় একটি খাবার। মসুর ডাল দিয়ে তৈরি করা হয় নানা রকমের পুষ্টিকর ও মুখরোচক খাবার। যেমন- ডালের চচ্চড়ি, ডালনা, নিরামিষ, পিঁয়াজু, ডালপুরি, ডালের স্যুপ, আম ডাল, পুঁই ডাল ইত্যাদি। মসুর ডাল প্রোটিনের আধার বলে একে মাংসের বিকল্প হিসেবেও ধরা হয়। মসুর ডাল শুধু সুস্বাদুই নয় এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। যেমন, খনিজ পদার্থ, আঁশ, খাদ্যশক্তি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২ ও শর্করা ইত্যাদি।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে নিয়োমিত মসুর ডালের মতো উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে হার্টের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। তাছাড়া মসুর ডাল ফলেট (folate) এবং ম্যাগনেসিয়াম এর একটা বিরাট উত্স, যা হার্টকে আরও বেশি তারুন্য পেটে সহায়তা করে। ম্যাগনেসিয়াম শরীরের সর্বত্র রক্ত, অক্সিজেন এবং পুষ্টি প্রবাহ করতে সাহায্য করে।

মসুর ডালে উচ্চ মাত্রার এটা দ্রবণীয় ফাইবার থকে যা রক্তের কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি আপনার শরীরের কলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দিয়ে আপনার ধমনীকে পরিষ্কার রাখে।

মসুর ডালের ফাইবারে আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি শরীর চিনির পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, তাছাড়া এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ রয়েছে। ফলে এটি হজমে সহায়তা করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার।

বাড়তি ওজন কমাতে চাইলে ভাতের পরিমাণ কমিয়ে তার বদলে নিয়মিত ডাল খেতে পারেন। এতে ক্ষুধা হ্রাস পাওয়াসহ ভরাপেটের অনুভূতি থাকবে দীর্ঘক্ষণ। এছাড়াও মসুর ডাল খারাপ কোলেস্টেরলকে কমিয়ে বাড়িয়ে দেয় ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ।

ডালে একসঙ্গে আয়রন ও ফলেট দুটিই পাওয়া যায়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য এই দুটি উপাদান বেশ প্রয়োজনীয়। সেই সঙ্গে আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

মসুর ডাল দিয়ে মজার সব খাবার তৈরি করা যায় একথা তো সবারই জানা। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একথাও জানা। কিন্তু এটি আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারী তা কি জানা আছে? মসুর ডালে আছে প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বোহাইড্রেট, ডায়াটারি ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, সি, ই, কে এবং থায়ামিন। এই ডাল আমাদের ত্বক থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক দ্রুত সুন্দর হয়ে ওঠে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ত্বকের যত্নে মসুর ডাল ব্যবহার করলে ত্বকের প্রোটিনের ঘাটতি অনেকটাই দূর হয়। এর ফলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। ত্বকের বয়স কমতে শুরু করে। সেইসঙ্গে উজ্জ্বলতা এবং কোমলতাও বাড়তে থাকে। আজ চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বকের যত্নে মসুর ডালের ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে-

ত্বককে উজ্জল করে

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কে না চায়! এক্ষেত্রে ব্যবহার করুন মসুর ডাল। প্রথমে পঞ্চাশ গ্রামের মতো মসুর ডাল পানিতে ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিতে হবে। এরপর সকালে পানি ছেঁকে ডালটুকু বেটে নিতে হবে। সেই ডালের পেস্টের সঙ্গে মেশাবেন সামান্য বাদাম তেল ও এক চা চামচ কাঁচা দুধ। এবার এই পেস্ট ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন অন্তত পনের মিনিট। এরপর হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে প্রতিদিন যত্ন নিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে চোখে পড়ার মতো।

Dhaka Post

মসুর ডালের ফেসওয়াশ

আমাদের ব্যস্ত জীবনের বেশিরভাগ সময় বাইরেই কাটাতে হয়। দূষণের ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। এই সমস্যা দূর করতে মসুর ডাল দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। এতে ত্বক উজ্জ্বল হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের ক্ষতিও কম হবে। এক চামচ বাটা মসুর ডাল, দুই চামচ দুধ, সামান্য হলুদ এবং কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন কয়েক মিনিট। এরপর মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন।

ফেস হেয়ার পরিষ্কার করতে

নারীর মুখে অবাঞ্ছিত লোম থাকলে দেখতে খারাপ লাগে। এই সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। মুখে অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন মসুর ডালের ফেসপ্যাক। সেজন্য নিতে হবে এক চা চামচ মসুর ডালের গুঁড়া, এক চা চামচ চালের গুঁড়া, এক চা চামচ দুধ ও এক চা চামচ বাদাম তেল। সবগুলো উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে রেখে দিতে হবে মিনিট পাঁচেক। এরপর ধুয়ে ফেলতে হবে।

Dhaka Post

শুষ্ক ত্বকের যত্নে

ত্বকের শুষ্কতা নিয়ে সমস্যায় ভুগলে উপকার করবে মসুর ডাল। সেজন্য সমপরিমাণ মসুর ডাল ও গাঁদা ফুল একসঙ্গে বেটে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে অন্তত পনের মিনিট। শুকিয়ে এলে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের শুষ্কতার পাশাপাশি ত্বককে কোমল করতে ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।

ত্বকের মৃত কোষ দূর করে

ত্বকের উপরের অংশে জমে থাকা মৃত কোষের স্তর সরিয়ে ত্বককে প্রাণবন্ত করে তুলতে সাহায্য করে মসুর ডাল। সপ্তাহে দুইদিন পরিমাণমতো মসুর ডাল ও দুধের পেস্ট তৈরি করে মুখে ব্যবহার করবেন। এতে ত্বকের মৃত কোষ দূর হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতেও সাহায্য করে মসুর ডাল।

You Can Email Us Questions & Comments: info@healthcitylife.com

Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement