#Post ADS3

advertisement

টাইপ ২ ডায়াবেটিস লক্ষণ বা উপসর্গগুলো কি কি?,টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস শনাক্তের উপসর্গগুলো কি কি?,টাইপ ২ ডায়াবেটিস শনাক্তের জন্য প্রাথমিক লক্ষণ



বিষয়: টাইপ ২ ডায়াবেটিস লক্ষণ বা উপসর্গগুলো কি কি?,টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস শনাক্তের উপসর্গগুলো কি কি?,টাইপ ২ ডায়াবেটিস শনাক্তের জন্য প্রাথমিক লক্ষণ

টাইপ ২ ডায়াবেটিস একজন মানুষের রক্ত শর্করার মাত্রাকে উচ্চ করে তোলে। এই স্থায়ী সমস্যার লক্ষণ বা উপসর্গগুলো যত দ্রুত সম্ভব শনাক্ত করে চিকিৎসা করতে পারলে মারাত্মক জটিলতার ঝুঁকি কমে যাবে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস খুবই প্রচলিত সমস্যা।

প্রিডায়াবেটিস হলো টাইপ ২ ডায়াবেটিসের পূর্বাবস্থা। যাদের প্রিডায়াবেটিস রয়েছে তাদের রক্ত শর্করার মাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, কিন্তু চিকিৎসকেরা তাদেরকে ডায়াবেটিস রোগী হিসেবে বিবেচনা করেন না। সিডিসির মতে, প্রিডায়াবেটিসের চিকিৎসা না করলে পাঁচ বছরের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস বিকশিত হতে পারে। প্রায়ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে আসছে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সূচনা হয় ধীরে ধীরে এবং প্রারম্ভিক পর্যায়ে এর উপসর্গগুলো মৃদু প্রকৃতির। ভয়াবহ পরিণতি এড়াতে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা শুরু থেকে করা প্রয়োজন। এখানে সূচনালগ্নেই টাইপ ২ ডায়াবেটিস শনাক্তের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণ বা উপসর্গগুলো দেয়া হলো।

* ঘনঘন প্রস্রাব 

এই লক্ষণটা কারো মধ্যে লক্ষ্য করলে আমরা খুব সহজেই ধারণা করে ফেলি যে তার ডায়াবেটিস রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ডায়াবেটিস ছাড়াও আরো অনেক কারণে প্রস্রাবের হার বাড়তে পারে। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে শরীরে রক্ত শর্করার মাত্রা খুব বেড়ে গেলে কিডনিগুলো রক্তকে পরিস্রাবণ করে অতিরিক্ত শর্করা বের করে দিতে চেষ্টা করে। এর ফলে একজন মানুষের ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ আসে, বিশেষ করে রাতে।

* পিপাসা বৃদ্ধি

ইতোমধ্যে বলা হয়েছে যে, টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হলে ঘনঘন প্রস্রাবের চাপ আসে। ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত রক্ত শর্করা বের করে দিতে এটা একটি প্রাকৃতিক উপায়। কিন্তু এটা করতে গিয়ে শরীর পানিও হারায়। সময় পরিক্রমায় এটা পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে, যার ফলে একজন ডায়াবেটিস রোগীর সচরাচরের চেয়ে বেশি পিপাসা লাগে।

* প্রায়সময় ক্ষুধা অনুভব

ডায়াবেটিস রোগীরা যা খায় তা থেকে পর্যাপ্ত শক্তি পায় না। আমাদের পরিপাকতন্ত্র খাবারকে ভেঙে গ্লুকোজ বা সরল শর্করায় রূপান্তর করে। এটাকে শরীর শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তপ্রবাহ থেকে শরীরের কোষে যথেষ্ট গ্লুকোজ পৌঁছে না। একারণে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত লোকেরা প্রতিনিয়ত ক্ষুধা অনুভব করেন, সম্প্রতি তারা যতই খাবার খেয়ে থাকুক না কেন।

* খুবই ক্লান্তি অনুভব

টাইপ ২ ডায়াবেটিস একজন মানুষের শক্তির মাত্রাকে প্রভাবিত করে বলে তিনি খুবই ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন। প্রচুর খাবার খাওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজেকে ক্লান্ত মনে করতে পারেন। মূলত শরীরের রক্তপ্রবাহ থেকে কোষগুলোতে পর্যাপ্ত শর্করা যেতে পারে না বলে এই ক্লান্তির আবির্ভাব ঘটে।

* চোখে ঝাপসা দেখা

রক্তের অতিরিক্ত শর্করা চোখের ছোট ছোট রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীরা এক বা উভয় চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন এবং সমস্যাটি আসা-যাওয়া প্রকৃতির হতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একজন মানুষ চিকিৎসা না নিলে রক্তনালীগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং শেষপর্যন্ত তিনি অন্ধ হয়ে যেতে পারেন।

* ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া

রক্তের উচ্চ মাত্রার শর্করা শরীরের স্নায়ু ও রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা রক্ত সংবহনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে ক্ষত শুকাতে সপ্তাহের পর সপ্তাহ বা কয়েক মাস লেগে যেতে পারে, এমনকি ছোটখাটো ক্ষতের ক্ষেত্রেও একথা সত্য হতে পারে। ক্ষত নিরাময়ে যত দেরি হবে, সংক্রমণের ঝুঁকি তত বাড়তে পারে।

* হাত-পা অসাড় হওয়া

শরীরে রক্ত শর্করার উচ্চ মাত্রা রক্ত সংবহনকে প্রভাবিত করতে পারে এবং স্নায়ুগুলোর ক্ষতি করতে পারে। একারণে টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের হাত ও পায়ে ঝিনঝিনে অনুভূতি বা অসাড়তা এবং এমনকি ব্যথাও হতে পারে। এই সমস্যাটি নিউরোপ্যাথি হিসেবে পরিচিত, যা সময়ের আবর্তনে আরো খারাপ হতে পারে। চিকিৎসা না করলে এটা ডায়াবেটিস রোগীকে মারাত্মক পরিণতিতে ভোগাবে, এমনকি অঙ্গ কেটে ফেলার প্রয়োজনও হতে পারে।

* ত্বকে কালো দাগ পড়া

ডায়াবেটিস রোগীদের ঘাড় বা গলার ভাঁজ, বগল ও কুঁচকিতে কালো দাগ দেখা যেতে পারে। এসব দাগ স্পর্শ করলে খুবই নরম ও কোমল অনুভূত হতে পারে। ত্বকের এই সমস্যাটি অ্যাকান্থোসিস নাইগ্রিকানস হিসেবে পরিচিত। কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকে অ্যাকান্থোসিস নাইগ্রিকানসের উপস্থিতিকে টাইপ ২ ডায়াবেটিস বিকাশের বাড়তি ঝুঁকি বলা যেতে পারে।

* ছত্রাক সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়া

রক্ত ও প্রস্রাবে শর্করার আধিক্য থাকলে ছত্রাকেরা খাবার পেয়ে থাকে। এর ফলে ছত্রাক সংক্রমণের প্রবণতাও বেড়ে যেতে পারে। সাধারণত ত্বকের উষ্ণ ও আর্দ্র স্থানে ছত্রাক সংক্রমণ হয়ে থাকে, যেমন- যৌনাঙ্গ, বগল ও মুখ। সংক্রমিত স্থানে চুলকাতে পারে। এছাড়া জ্বালাপোড়া বা ব্যথা ও লালও হতে পারে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@healthcitylife.com

Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement