#Post ADS3

advertisement

মাসিক দেরীতে হওয়া কী স্বাভাবিক?, পিরিয়ড দেরিতে হওয়ার কারণ কী,পিরিয়ড কেন দেরিতে হয়,মাসিক দেরিতে হওয়ার কারণ-প্রেগনেন্ট না হয়েও পিরিয়ড বন্ধ থাকে

 

মাসিক দেরীতে হওয়া কী স্বাভাবিক?, পিরিয়ড দেরিতে হওয়ার কারণ কী,পিরিয়ড কেন দেরিতে হয়,মাসিক দেরিতে হওয়ার কারণ-প্রেগনেন্ট না হয়েও পিরিয়ড বন্ধ থাকে


বিষয়: পিরিয়ড না হলে করনীয় Menstruation Periods-পিরিয়ড দেরিতে হওয়ার কারণ,পিরিয়ড দেরীতে হওয়ার ৭টি বিশেষ কারণ

সাধারণত প্রতি ২৮ থেকে ৩৫ দিন পর পর একজন নারীর পিরিয়ড বা মাসিক হয়ে থাকে। ১২ বছর থেকে ৫৫ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এমনটিই হয়ে থাকে।

প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারীর নিয়মিত ও সময়মতো মাসিক হওয়াটা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। তা যদি অনিয়মিত হয়ে পড়ে, তার মানে হয়তো শারীরিক কোনো সমস্যা আছে।

এ ক্ষেত্রে কোনো অসুস্থতা শরীরে ভর করেছে কিনা বা জীবনচর্চায় কোনো ক্ষতিকর অভ্যাস যুক্ত হয়েছে কিনা, তার দিকে নজর দেয়া উচিত। পিরিয়ড দেরি হওয়ার পেছনে সাধারণত যে বিষয়গুলো দায়ী তা জেনে রাখুন-

মাসিক কতটা দেরি হলে তাকে ‘লেট’ বলা যায়?

বেশিরভাগ নারীর মাসিকের চক্র একই থাকে। তবে এক সপ্তাহ দেরি হওয়াটা স্বাভাবিক বলেই ধরা যায়। যেমন একজন নারীর মাসিক হয় ২৫ দিন পর পর। কোনো এক মাসে ৩০ দিন বা ৩১ দিন পর তার মাসিক হতেই পারে। আট দিন বা তার বেশিদিন দেরি হলে তাকে ‘লেট’ বলে গণ্য করতে পারেন।

দেরি হওয়ার কারণ

বেশ কিছু কারণে পিরিয়ড সাময়িকভাবে বন্ধ থাকতে পারে বা দেরি হতে পারে। যেমন-

গর্ভাবস্থা: পিরিয়ড দেরি হলে প্রথমেই নিশ্চিত হোন আপনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন কিনা।

বয়স: টিনেজ বয়সী ও মধ্যবয়সী নারীদের মধ্যে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পেছনের কারণটি হল হরমোন।

স্ট্রেস: লম্বা সময় স্ট্রেসে থাকলে অনেকেরই মাসিক দেরিতে হতে পারে।

আর্লি প্রেগন্যান্সি লস: একজন নারী গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন, কিন্তু তা জানতেন না। এর পর নিজে থেকেই তার মিসক্যারিজ বা গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। এ ঘটনায় সাধারণ পিরিয়ডের তুলনায় কিছু দিন পর ভারী রক্তপাত হতে পারে, যাকে অনেকেই দেরিতে মাসিক হওয়া বলে ধরে নেন।

কম ওজন: ওজন কম হলে সময়মতো পিরিয়ড নাও হতে পারে। এমনকি কিছু দিন বন্ধও থাকতে পারে।

ফাইব্রয়েডস: জরায়ুতে টিউমার ধরনের এক ধরনের বৃদ্ধি হল ফাইব্রয়েডস। এগুলো পিরিয়ডের স্বাভাবিক চক্রকে বাধা দিতে পারে।

হরমনাল বার্থ কন্ট্রোল: জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা। যেমন- পিল, প্যাচ, ইনজেকশন, আইইউডি। এগুলো ব্যবহার করলে পিরিয়ড লেট হওয়া বা পরিবর্তন হওয়াটা স্বাভাবিক।

স্বাস্থ্য সমস্যা: মনোনিউক্লিওসিস, ঠাণ্ডা, সর্দি, গলার ইনফেকশন- এ ধরনের সমস্যায় পিরিয়ড লেট হতে পারে। তবে বড় কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন থাইরয়েডের সমস্যা বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের কারণেও পিরিয়ড লেট হতে দেখা যায়।

হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ব্যায়াম

মতে, যে নারীরা খুব কঠিন ডায়েট করেন অথবা কোনও কারণে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক ওজন কমে গেছে ঠিক তখনই পিরিয়ডে অনিয়ম হয়। অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণেও পিরিয়ডে অনিয়ম হতে পারে।

থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

আমাদের গলার নিচে যেই থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে সেটি শরীরের সব কার্যপ্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অথবা কম থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয় তাহলে শরীরের পুরো কার্যপ্রক্রিয়ায় তার প্রভাব পড়ে এবং এক্ষেত্রে পিরিয়ডে অনিয়ম হতে পারে।

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম একটি হরমোনাল সমস্যা। শরীরের জরুরি তিনটি হরমোন এস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেসটোস্টেরন উৎপাদনের মাত্রা কমে যায় পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম হলে। ফলে পিরিয়ডে দেরি হয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে নারীদের মুখে এবং স্তনের চারিদিকে লোমের আধিক্য বেড়ে যেতে পারে। এই সমস্যায় যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

অতিরিক্ত মানসিক চাপ

হঠাৎ অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি হলে পিরিয়ডে বিলম্ব হতে পারে। হঠাৎ করে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে হাইপোথ্যালামিক অ্যামেনোরিয়া হতে পারে। ফলে হরমোনের স্বাভাবিক কার্যপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়ে পিরিয়ডে দেরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রিয়জনের বিয়োগ, ব্রেকআপ, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া কিংবা অন্য কোনও বড় ধরনের মানসিক আঘাতের ফলে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

একবার পিরিয়ড দেরিতে হলে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। খেয়াল রাখুন। তিন মাস টানা পিরিয়ড না হলে, বছরে নয়বারের কম পিরিয়ড হলে বা প্রতিবার পিরিয়ড হওয়ার মাঝে ৩৫ দিনের বেশি বিরতি থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন।

নিয়মিত মাসিক চাইলে যা করবেন

মাসিক নিয়মিত রাখতে চাইলে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। খাদ্যাভ্যাস ভালো রাখুন, প্রসেসড খাবার থেকে দূরে থাকুন, রাতে নিয়মিত ৮ ঘণ্টা ঘুমান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও স্ট্রেস কম রাখার পদ্ধতি ব্যবহার করুন।

যেসব নারীর মেনোপজের বয়স হয়ে এসেছে, তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আরও বেশি জরুরি। কারণ মেনোপজের পর পরই অনেক রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে।

একবার মাসিক দেরিতে হলে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তবে পিরিয়ডের দিকে খেয়াল রাখুন। তিন মাস টানা পিরিয়ড না হলে, বছরে নয়বারের কম পিরিয়ড হলে বা প্রতিবার পিরিয়ড হওয়ার মাঝে ৩৫ দিনের বেশি বিরতি থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন। সূত্র: হাফিংটন পোস্ট

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও

Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement