#Post ADS3

advertisement

পাইলস সারানোর উপায়,পাইলস কিভাবে ভালো হয়,পাইলস কেন হয়,কি খেলে পাইলস ভালো হয়,পাইলস রোগের লক্ষণ,গেজ রোগের ছবি


 কেন হয় পাইলস? কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়.


পায়ুপথের রোগের মধ্যে পাইলস বা অর্শ খুবই কমন একটি রোগ। যা বেশিরভাগ মানুষেরই হয়। যার ভালো চিকিৎসাও আছে। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী পুরোপুরি সুস্থও হতে পারে। ঘরোয়া স্বাস্থ্য সৌন্দর্য বাড়িতে প্রতিকার খাদ্য উদ্ভট গর্ভাবস্থা প্যারেন্টিং কেন হয় পাইলস? কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় পায়ুপথের রোগের মধ্যে পাইলস বা অর্শ খুবই কমন একটি রোগ। যা বেশিরভাগ মানুষেরই হয়। যার ভালো চিকিৎসাও আছে। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী পুরোপুরি সুস্থও হতে পারে।


হেমোরয়েডস বা পাইলস কী?


মলাশয়ের নিচের অংশ বা মলদ্বারের শিরাগুলো ফুলে যাওয়াকেই পাইলস বা হেমোরয়েডস বলে। হেমোরয়েডস দু'ধরনের হয়, আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক। আভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস পায়ুপথ বা মলদ্বারের অভ্যন্তরে হয়ে থাকে। বাহ্যিক হেমোরয়েডস পায়ুপথের বাইরের দিকে হয়। এই দু'ধরনের হেমোরয়েডসের মধ্যে সবচেয়ে কমন হচ্ছে বাহ্যিক হেমোরয়েডস। পাইলস বা হেমোরয়েডসকে অর্শরোগও বলা হয়।


হেমোরয়েডস শব্দটি মার্কিন ভাষা। কারণ : হেমোরয়েডস হওয়ার পিছনে যেসব কারণগুলিকে সন্দেহ করা হয় সেগুলি হল- কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া , স্থূলতা, বেশি সময় বসে থাকা, দীর্ঘসময় টয়লেটে বসে থাকা, হেমোরয়েড শিরায় কপাটিকার অনুপস্থিতি ও বার্ধক্য , পুষ্টিকর খাবার খাওয়ায় ঘাটতি, ব্যায়াম না করা , পেটের ভিতরে চাপ বৃদ্ধি , জন্মগত, গর্ভাবস্থায় জরায়ু বড় হতে থাকে। ফলে, কোলনের শিরায় চাপ পড়ে বলে শিরা স্ফীত হয়। যে কারণে পাইলস হয়। প্রথম দিকে ওষুধ ও সাবধানতা মেনে চললে এই রোগ সেরে যায়। তবে, জটিল আকার ধারণ করলে অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে।


প্রতিরোধের উপায় :


সঠিক ট্রিটমেন্ট করলে কোনও অপারেশন ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই পাইলস বা অর্শ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ভালো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও আছে যার ফলে অর্শ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিছু পদ্ধতি সঠিকভাবে মেনে চললে এই রোগ প্রতিরোধ হতে পারে -

1) পায়ুপথের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন

2) উষ্ণ গরম জলে দিনে কয়েকবার ভিজিয়ে নিন

3) ফুলে গেলে বরফ দেওয়া যায়

4) চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়মিত মলম ব্যবহার করুন



পাইলস বা অর্শ হলো মলদ্বারে এক ধরনের রোগ যেখানে রক্তনালীগুলো বড় হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি করে। শিশুসহ যে কোন বয়সের লোকই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। অর্শ বা পাইলসঃ কি, কেন, কিভাবে বুঝব, কি করব, কি খাব, চিকিৎসা কি?


অর্শ বা পাইলস কেন হয় (অর্শের কারণসমূহ):


অর্শের সঠিক কারণ জানা না গেলেও নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অর্শ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেঃ

১. দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া


২. শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি কম খাওয়া


৩. শরীরের অতিরিক্ত ওজন


৪. গর্ভাবস্থা


৫. লিভার সিরোসিস


৬. মল ত্যাগে বেশী চাপ দেয়া


৭. অতিরিক্ত মাত্রায় লেকজেটিভ (মল নরমকারক ওষুধ)ব্যবহার করা


বা এনেমা (শক্ত মল বের করার জন্য বিশেষ তরল মিশ্রণ ব্যবহার করা) গ্রহণ করা


৮. টয়লেটে বেশী সময় ব্যয় করা


৯. বৃদ্ধ বয়স


১০. পরিবারে কারও পাইলস থাকা


১১. ভার উত্তোলন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা ইত্যাদি।


অর্শ বা পাইলস কিভাবে বুঝব (অর্শের লক্ষণসমূহ):


i) মলদ্বারের অভ্যন্তরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারেঃ

১. পায়খানার সময় ব্যথাহীন রক্তপাত হওয়া


২. মলদ্বারের ফোলা বাইরে বের হয়ে আসতে পারে, নাও পারে। যদি বের হয় তবে তা নিজেই ভেতরে চলে যায় অথবা হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া যায়। কখনও কখনও এমনও হতে পারে যে, বাইরে বের হওয়ার পর তা আর ভেতরে প্রবেশ করানো যায় না বা ভেতরে প্রবেশ করানো গেলেও তা আবার বের হয়ে আসে


৩. মলদ্বারে জ্বালাপোড়া, যন্ত্রণা বা চুলকানি হওয়া


৪. কোন কোন ক্ষেত্রে মলদ্বারে ব্যথাও হতে পারে।


ii) মলদ্বারের বাইরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারেঃ


১. মলদ্বারের বাইরে ফুলে যাওয়া যা হাত দিয়ে স্পর্শ ও অনুভব করা যায়


২. কখনও কখনও রক্তপাত বা মলদ্বারে ব্যথাও হতে পারে।


কি করব (অর্শ বা পাইলস রোগে করণীয়):


১. কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং নিয়মিত মলত্যাগ করা


২. পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া এবং পানি(প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস) পান করা


৩. সহনীয় মাত্রার অধিক পরিশ্রম না করা


৪. প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো


৫. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা


৬. টয়লেটে অধিক সময় ব্যয় না করা


৭. সহজে হজম হয় এমন খাবার গ্রহণ করা


৮. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া লেকজেটিভ বেশী গ্রহণ না করা


৯. মল ত্যাগে বেশী চাপ না দেয়া


১০. দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া থাকলে তার চিকিৎসা নেয়া।


কি খাব (অর্শ বা পাইলস রোগে গ্রহণীয় কিছু খাবার):


শাকসবজি, ফলমূল, সব ধরণের ডাল, সালাদ, দধি, পনির, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, লেবু ও এ জাতীয় টক ফল, পাকা পেপে, বেল, আপেল, কমলা, খেজুর, ডিম, মাছ, মুরগীর মাংস, ভূসিযুক্ত (ঢেঁকি ছাঁটা) চাল ও আটা ইত্যাদি।


কি খাব না (অর্শ বা পাইলস রোগে বর্জনীয় কিছু খাবার):


খোসাহীন শস্য, গরু, খাসি ও অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার, মসৃণ চাল, কলে ছাঁটা আটা, ময়দা, চা, কফি, চীজ, মাখন, চকোলেট, আইসক্রীম, কোমল পানীয়, সব ধরণের ভাজা খাবার যেমনঃ পরোটা, লুচি, চিপস ইত্যাদি।


Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement