কেন প্রতিদিন লাল চা খাবেন?,চায়ের উপকারিতা ও অপকারিতা,দুধ চায়ে যেসব ক্ষতি,দুধ চা পান করার ৬ টি ক্ষতিকর দিক

কেন প্রতিদিন লাল চা খাবেন?,চায়ের উপকারিতা ও অপকারিতা,দুধ চায়ে যেসব ক্ষতি,দুধ চা পান করার ৬ টি ক্ষতিকর দিক কেন প্রতিদিন লাল চা খাবেন?,চায়ের উপকারিতা
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated


 পানীয়ের মধ্যে চা আর কফি যে বিশ্বসেরা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সকাল থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত চা বা কফির অস্তিস্ব জুড়ি মেলা ভার। আড্ডা দিতে, ক্লান্তি দূর করতে, কাজের ফাঁকে, এগুলোর সঙ্গে আর কিছু না হোক, অনায়াসে ১-২ কাপ চা বা কফি খাওয়া হয়েই থাকে। এই দুটি পানীয় ছাড়া কোনো কিছুই যেন ঠিকঠাক জমে না। কেউ চা খেতে বেশি পছন্দ করেন, কেউ আবার কফি। এই দুই পানীয় আমাদের কাছে নিত্যদিনের খুবই সাধারণ ব্যাপার। তবে উভয়েরই কিছু উপকারিতা, অপকারিতা আছে। জেনে নিই সেই সংক্রান্ত কিছু তথ্য।

চা গাছ থেকে চা পাতা পাওয়া যায়, আর এই চা পাতা থেকে তৈরি হয় চায়ের গুঁড়ো। যা আমাদের কাছে চা পাতা নামে পরিচিত। ফিগার সচেতন যারা তারা অনেকেই গ্রীন টি বা সবুজ চা খান গবেষণায় দেখা গেছে, সবুজ চায়ে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন খনিজ উপাদান যা প্রতিটি মানুষের শরীরেই প্রয়োজন ৷ লিকার চায়ের কিছু উপকারিতা,পুষ্টি ও ঝুঁকি আছে। সে সম্পর্কে আমরা জেনে নেব।

লিকার চা পানের উপকারিতা :

ক) লিকার চা হার্টের রক্ত সরবরাহ বাড়ায়, হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখে।

খ) উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

গ) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ঘ) চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করে, মস্তিষ্ককে সচল রাখে ৷

ঙ) শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করে। রক্ত চলাচল ভালো হয় ৷

চ) প্রতিদিন চা পান করলে ইউ ভি রেডিয়েশন-এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বকের কোষগুলি রক্ষা পায়। ফলে স্কিন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

ছ) ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে লিকার চা উপকারী কারণ এটি কোষ থেকে সাধারণের তুলনায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি ইনসুলিন নিঃসৃত করে এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

জ) কিডনি রোগের জন্য উপকারী।

ঝ) রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়।

লিকার চা-এর কিছু পুষ্টি গুণাগুণ :

জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট অনুসারে, চা-এর মধ্যে রয়েছে- ক্যাফেইন, অ্যামিনো অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্লোরোফিল, ফ্লোরাইড, অ্যালুমিনিয়াম, মিনারেলস ইত্যাদি।

ব্ল্যাক টি বা লিকার চা-তে পলিফেনল, রাসায়নিক যৌগ রয়েছে যা উদ্ভিদকে অতিবেগুনী রশ্মি বা ক্ষতিকারক, রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করে। ফ্ল্যাভোনয়েডস এক ধরণের পলিফেনল। এই পলিফেনলগুলিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রভাব থাকে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি ফ্রি র‌্যাডিকাল কোষগুলোর ক্রিয়াকলাপকে প্রতিহত করতে পারে। ফ্রি র‌্যাডিক্যালস স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে এবং এমনকি দেহের কোষগুলোকে মেরেও ফেলতে পারে। ফ্রি র‌্যাডিকালগুলো ক্যান্সারের মতো অনেক রোগের বিকাশেও অবদান রাখে।

লিকার চা পানের অপকারিতা :

পরিমাণের বেশি অতিরিক্ত চা পান করলে বিপরীত প্রতিক্রিয়াও ঘটতে পারে। সঠিক সময়ে বা উপায়ে চা পান না করলে শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। খাবার আগে বা খাওয়ার পরে পরেই চা পান করা উচিত না। এতে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

ক) চা শরীর থেকে ভিটামিন বি শোষণ রোধ করে যা বেরিবেরি রোগের অন্যতম কারণ।

খ) হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করে, খিদের অনুভূতি নষ্ট করে।

গ) অতিরিক্ত চা পান ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়

ঘ) বেশি চা পান করলে আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়

ঙ) চা খাবার থেকে আয়রন শোষণ করে, অ্যানিমিয়া হতে পারে।

চ) অতিরিক্ত চা বা কফি পানের কারণে এগুলির প্রতি আসক্তি তৈরি হয়। ফলস্বরুপ, একমুহূর্ত চা বা কফি ছাড়া থাকা যায় না, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি অনুভব হয়।

ছ) গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত চা, কফি পান করা উচিত নয়।

জ) খালি পেটে চা পান করলে অ্যাসিডিটি হতে পারে।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.