পে*নিস মিথ এন্ড রিয়েলিটি, পুরুষা*ঙ্গ সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানলে অবাক হবেন!

 

পেনিস মিথ এন্ড রিয়েলিটি, পুরুষাঙ্গ সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানলে অবাক হবেন!

 

"পেনিস মিথ এন্ড রিয়েলিটি"


ছেলেরা তিনটি জিনিস বাড়িয়ে বলে। পেনিস সাইজ, শারীরিক উচ্চতা এবং বেতন। মেয়েরা কমায় - বয়স, কোমরের সাইজ এবং ওজন।

পুরুষের পেনিস একটি গুরুপ্তপূর্ণ অঙ্গ। অশ্লীল ভাবার কিছু নেই, হাসিরও কিছু নেই। একটি পুরুষকে যদি বলা হয় - এক হাতে একশো বিলিয়ন ডলার দেবো, আরে


ক হাতে আপনার বাবুটি কেটে নেবো, কোনো পুরুষ রাজি হবে না। 

যাইহোক, পুরুষের এই সাত রাজার মানিকের গড় সাইজ কত। বিখ্যাত Science জার্নালের এক গবেষণার হিসাব অনুযায়ী পৃথিবীব্যাপী পুরুষের এই অঙ্গের দুটো সাইজ।


 একটি যখন শুয়ে থাকে, আরেকটি যখন উঠে দাঁড়ায়। শুয়ে থাকলে গড় সাইজ লম্বায় ৩.৬ ইঞ্চি। মজার হলো শুয়ে থাকার সময় এটি গুটলু পাকিয়ে থাকে বলে এটির ঘের প্রায় ৩.৭ ইঞ্চি! আর যখন উঠে দাঁড়ায়, লম্বায় ৫.২ ইঞ্চি, ঘের তখন ৪.৫ ইঞ্চি। 



গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০০ জন পুরুষের ৫ জনের জিনিসপত্র উঠে দাঁড়ালেও চার ইঞ্চির চেয়ে ছোট হয়। তবে পৃথিবী ব্যাপী আশি ভাগ পুরুষের পেনিস উঠে দাঁড়ালে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় ইঞ্চি থাকে। মাত্র ৫% পুরুষের পেনিস সাত ইঞ্চির উপরে যায়। উঠে দাঁড়ালেও লম্বায় আড়াই ইঞ্চির বেশি নয় পেনিসকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মাইক্রো পেনিস বলে। এটি কখনো হরমোনাল কিছু ত্রুটি, কখনো জন্মগত হয়। চিকিৎসা আছে। 


প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর গড়ে প্রতি রাতে ঘুমের মধ্যে তিন থেকে পাঁচ বার পেনিস উঠে দাঁড়ায়। তবে এটি স্বপ্ন দেখার সময় বেশি হয় বলে তেমন টের পায় না। এটি স্বাভাবিক। এটি পেনিসের সাইজকে ঠিক রাখে। বরং রাতে ঘুমের মধ্যে এমন উঠে না দাঁড়ালে বুঝতে হবে লিঙ্গ উত্থান জটিলতায় ভুগছেন তিনি। যে সব দম্পতি পার্টনারের এই সমস্যায় ভুগছেন, চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে এটা নিশ্চিত হন ঘুমের মধ্যে তিনি এমন উঠে দাঁড়ানো মাঝে মাঝে ফিল করে কিনা। 


গবেষণায় আরেকটি মজার জিনিস হলো পুরুষের জুতার সাইজ বড়ো হলেই পেনিস সাইজ বড়ো হবে কথা নেই। শরীরের সাইজের সাথে জিনিসের সাইজের কোনো সম্পর্ক নেই। ছয় ফুট উচ্চতার পুরুষের জিনিসপত্র কলমের ক্যাপের চেয়েও ছোট হতে পারে, পেন্সিলের মতো সরুও হতে পারে। 


পেনিসে কোনো হাড় নেই! তারপরেও ব্রোকেন পেনিস বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি সমস্যা আছে। পুরুষ তার পেনিস ভেঙে ফেলে। বিশেষ করে পুরুষ যদি করতে গিয়ে বেড থেকে পড়ে যায় যখন!

এক গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘদিন নিয়মিত ধূমপায়ীদের


 পেনিস আধা ইঞ্চির মতো কমে যায় ধূমপানের আগের চেয়ে। 

গবেষণার আরেকটি অংশের মন্তব্য হলো: অর্ধেকের বেশি পুরুষরা তাদের পেনিস সাইজ নিয়ে সারা জীবন আফসোসে থাকে, কেন আরেট্টু বড়ো হলো না!


 ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য ডিপার্টমেন্ট NHS এর এক গবেষণায় দেখা গেছে ৫০% পুরুষ তাদের পেনিস সাইজ নিয়ে অসন্তুষ্ট হলেও ৭৫% নারী তাদের পার্টনারের পেনিস সাইজে সন্তুষ্ট। এটার কারণ জানতে গিয়ে দেখা গেলো মেয়েরা সেক্স উপভোগে ছেলেদের সাইজকে যতটা প্রায়োরিটি দেয়, তার চেয়ে পুরুষটি তাকে কতটা আকর্ষণ করছে এবং উদ্দীপ্ত করতে পারছে, সেটাকে আরো বেশি গুরুপ্ত দেয়। ফলে পুরুষ ছোট ব্যাট নিয়ে খেলতে নামলেও ঠিক মতো ছক্কা মারতে পারলেই খুশি হয় নারী। মেয়েরা সেক্সের সময় পুরুষ পেনিসের সাইজের চেয়ে রোমান্টিকতা, ডেলিকেট হ্যান্ডলিং, ডিপ ফিলিংস, সেনসিটিভিটি, পরিবেশ, ট্রাস্ট এন্ড সিকিউরিটি এবং পুরুষটির পার্সোনালিটিতে উদ্দীপ্ত হয়। 



তবে আরেক জরিপে দেখা গেছে মেয়েরা দৈর্ঘ্যের চেয়ে ঘের বেশি পছন্দ করে। কিন্তু আশি ভাগ পুরুষ তার দৈর্ঘ্য নিয়ে চিন্তিত থাকে। ফিট এবং হেলদি হলে ঘের ভালো থাকে। 



এখানে একটি মজার টুইস্ট আছে। মেয়েরা লম্বা ছেলে পছন্দ করে লম্বা জিনিসের আশায়, যদিও সেটা অবচেতন মনে হয়। বাস্তবে শরীরের দৈঘ্যের সাথে পেনিসের দৈঘ্যের কোনো কানেকশন নেই। বিছানায় পিনারট্রেটিভ ফিলিংসের চেয়ে ক্লিটোরাল ফিলিংসে সন্তুষ্ট থাকে। তখন দৈঘ্যের চেয়ে প্রস্থ কাজ দেয় বেশি। 



জন্মের সময় বাচ্চাদের পেনিস শোয়া এক ইঞ্চির মতো থাকে। পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে দুই ইঞ্চি হয়। তেরো থেকে পনেরো বছর বয়সে এটি উঠে দাঁড়ায় এবং বড় হয়ে উঠে, তখন চার ইঞ্চির মতো হয়। আঠারো বছর পর আর তেমন বড় হয় না। তবে ষাট বছর বয়সের পর তুলনামূলক খানিক সঙ্কুচিত হয়। 



অনেক পুরুষ জন্মের সময় দুটো পেনিস নিয়ে জন্মে! এটি জন্মগত ত্রুটির কারণে হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় সমস্যাটিকে বলে diphallus। প্রতি পাঁচ মিলিয়ন পুরুষের একজনের হয় এই সমস্যাটি। একটি অপারেশন করে কেটে ফেলতে হয়। Priprism বলে একটি সমস্যায় অনেক পুরুষের পেনিস একবার উঠলে পাঁচ ছয় ঘন্টা আর নাম না, সাথে বেশ পেইন হয় তখন। 

পেনিসের উপর পুরুষের একটি কন্ট্রোল আছে, আরেকটি নেই। মস্তিষ্কের মধ্যে দিয়ে উঠে দাঁড়ানোকে পুরুষ কন্ট্রোল করতে পারে এবং পেনিসের উঠে দাঁড়ানোর একটা অংশ মস্তিষ্কের উপর নির্ভর করে। কিন্তু এজাকুলেশনের উপর পুরুষের মস্তিষ্ক কিংবা অন্য অংশের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এটি যখন শুরু হয় তখন আর থামাতে পারেন না। অনেকে অভিজ্ঞতা থেকে আর্ট টি রপ্ত করে শুরুর আগে ডাইভার্ট করে সময় দীর্ঘায়িত করতে পারে। 



বাজারে পেনিস সাইজ বড়ো করার হাজারো পিল, জেল, টনিকের বিজ্ঞাপন আছে। সব কয়টাই ভুয়া, কোনটিই আসলে কাজ দেয় না। এগুলো দেখে প্রতারিত হবেন না। 

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি বড় করার দুটো পদ্ধতি আছে।

ī. ফিজিক্যাল মেথড।

¡². সার্জিক্যল মেথড।

ফিজিক্যাল মেথডে দুইটি ডিভাইস এবং একটি ব্যায়াম দিয়ে ইঞ্চি খানেক বাড়ানো যায়। ভেকুয়াম ডিভাইস এবং পেনিস ট্রাকশন ডিভাইস। আর জেলকিং এক্সারসাইজ। ডিভাইসে যতটা বাড়ে, এক্সারসাইজে ততটা নয়।

লম্বায় এবং ঘের বাড়ানোর দুটো সার্জিক্যাল মেথড আছে। এই দিয়ে ইঞ্চি দেড়েক লম্বা এবং হাফ ইঞ্চি মোটা করা যায়। তবে অপারেশনের অনেক রিস্ক আছে।


সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি –

১. পেট কমানো। পুরুষের মেদ ভুঁড়ির এঙ্গেল তাদের জিনিসপত্রের দৈর্ঘ্য কমিয়ে দেয়। তলপেটের হিমালয় তখন মঞ্জিলে মকসুদে পৌঁছাতে পারে না। 


২. একটিভ এবং ফিট থাকা।

৩. ভালো খাবার খাওয়া।

৪. নিয়মিত পিউবিক হেয়ার সেভ করা। আমাজনের ঘন ঝোপ বড় হয়ে গেলে জিনিস দেখতে ছোট লাগে। 

সাইজ যেমন হোক, উপভোগের কোয়ালিটি নির্ভর করে আপনার উপর। যা আছে, তাতেই সন্তুষ্ট থাকুন। পার্টনারকে কেয়ার

 করুন, ভালোবাসুন এবং শরীরকে সুস্থ রাখুন। জীবন সুন্দর হয়ে উঠবে। 

সূত্রঃ

1. Science Journal 

2. NHS 

3. Journal of Urology 

4. British Journal of Urology International 

5. Journal PLOS One

0 Comments

Advertisement 2

Advertisement 3

Advertisement 4