মানুষের মাথায় ৪ ইঞ্চি শিং!, মানুষের মাথায় ৪ ইঞ্চি লম্বা শিং, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে !!
সিবেসিয়াস হর্ণ যা ডেভিল'স হর্ণ তথা শয়তানের শিং নামে বহুল পরিচিত। এছাড়াও এটি কিউটেনিয়াস হর্ণ এবং ল্যাটিন উদ্ভুত কর্নু কিউটেনিয়াম নামেও সমাদৃত।
এটি যেহেতু Sun exposed area তেই হয়। তাই ধারণা করা হয় অধিক সময় সূর্যালোকের রেডিয়েশন/রশ্মিতে এক্সপোজারের কারণে হতে পারে। এছাড়াও হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণেও বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্টস তৈরি হয় যা থেকে পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি সময়ে এটি হর্ণ/শিঙ আকৃতি লাভ করতে পারে। তবে পুরোপুরি সঠিক কারণটি এখনও অজানা।এই শিং মুলত কেরাটিন দিয়ে তৈরি। কেরাটিন হচ্ছে এক ধরনের তন্তুময় গাঠনিক প্রোটিন। (Fibrous structural protein)। যা দিয়ে চুল, নখ, শিং, উল এগুলো তৈরি হয়।
কারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ?
সাধারণত সাদা চামড়ার মানুষজন (fairy skin) এবং ৬০-৭০ বছর বয়সী পুরুষ ও মহিলা। এটি সার্জারী'র মাধ্যমে পুরপুরি অপসারণ করা যায় তবে শতকরা ২০ ভাগ ক্ষেত্রে এই সিবেসিয়াস হর্ণ থেকে পরবর্তী সময়ে স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সার হতে পারে। সাদা চামড়ার পুরুষ ও মহিলারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের ডার্ক স্কিনের বয়স্ক মানুষদেরও এটি হতে পারে।
বেশ কয়েক বছর পূর্বে শ্যাম লাল যাদব নামের ৭৪ বছর বয়সী একজন ভারতীয় দরিদ্র কৃষকের মাথার ঠিক উপরের অংশে এমন সিবেসিয়াস হর্ণ দেখা যায়। যিনি অনেকদিন ধরেই তার এই হর্ণ/শিঙ'টিকে নাপিতের মাধ্যমে কেটে কেটে ছোটো করে রাখছিলেন কিন্তু পরবর্তী সময়ে বেশকিছু জটিলতা দেখা দিলে তিনি সার্জনের দারস্থ হন এবং অপারেশনের মাধ্যমে তার এ সিবেসিয়াস হর্ণটিকে অপসারণ করেন।