পিরিয়ডের দিনগুলিতে কারোর পেটে যন্ত্রণা, কারোর কোমরে ব্যথা, কারোর বমি বমি ভাবের মতো সমস্যা হয়ে থাকে।
কারোর মেজাজ আবার খিটখিটে হয়ে যায়। কেউ কেউ কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। কেউ কেউ আবার ডায়রিয়ায়। পিরিয়ডের দিনগুলিতে মেয়েদের হজমের সমস্যাতেও ভুগতে দেখা যায়। কিন্তু কেন হয় এই সমস্যা?
মহিলাদের ঋতুচক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে মূলত দুটি হরমোন- ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন। চিকিত্সকরা বলছেন, এই প্রোজেস্টেরন হরমোনের জন্য পিরিয়ডের সময় দেহে হরমোনের ভারসাম্যে তারতম্য ঘটে। পিরিয়ডসের শুরু থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা।
পিরিয়ড শুরুর ৫-৭ দিন আগে দেহে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা হয় সর্বাধিক হয়ে যায়। এই প্রোজেস্টেরন হরমোন সাধারণত পেশীকে শিথিল করে দেয়। ফলে নানা সমস্যা দেখা যায়।
অপরদিকে, মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলের শেষের দিকে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা নীচের দিকে নামতে থাকে। পিরিয়ড হওয়ার একদম শুরুর সময় তার মাত্রা হয় সর্বনিম্ন। যার ফলে বমি বমি ভাব হয়। আবার কারোর বমিও হয় এই সময়ে।
বমি বমি ভাব কি কোনওভাবে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়? শরীরে হরমোনের মাত্রাকে আপনি তো আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। বরং, আপনার ডায়েটে আনুন কিছু পরিবর্তন।
যার ফলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন। যেমন-ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। একমাত্র স্বাস্থ্যকর ডায়েটই আপনার শরীরকে ভালো রাখতে পারবে। পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে থেকেই প্রচুর পরিমাণে ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
পিরিয়ড চলাকালীন কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার এড়ানো উচিত। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার যদি না খান তাহলে পিরিয়ডের সময় ব্যথা থেকেও মুক্তি পাবেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, চাপাতি, মসুর ডাল, দুধ, দই, বাটার মিল্ক এগুলি প্রাথমিকভাবে পিরিয়ডের সময় খাওয়া উচিত নয়।
এই সময় অল্প বিস্তর শরীরচর্চা চলতে পারে। কিন্তু ইনটেন্স ওয়ার্কআউট করা একেবারেই চলবে না। আর যদি পেটে এবং পিঠে ব্যথা থাকে, তাহলে তো একেবারেই শরীরচর্চা করা যাবে না।
এই সময় হালকা এবং হজমযোগ্য খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন খিচুড়ি, সুজি, ইডলি-সম্বর, দোসা ইত্যাদি। যদি পেটে এবং পিঠে ব্যথা থাকে, তাহলে তো একেবারেই শরীরচর্চা করা যাবে না।