#Post ADS3

advertisement

করোনা আক্রান্তের পোস্ট দিয়ে শুটিংয়ে তৌসিফ, সমালোচনার পর দাবি ‘নেগেটিভ’

 

করোনা আক্রান্তের পোস্ট দিয়ে শুটিংয়ে তৌসিফ, সমালোচনার পর দাবি ‘নেগেটিভ’

নিজেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ভক্তদের কাছে দোয়া চেয়েছিলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব। গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া পোস্টে স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জারা ও তার শ্বশুরবাড়ির সবাই করোনায় আক্রান্ত বলে জানিয়েছিলেন এ তারকা। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পোস্ট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই শুটিং সেটে যান তৌসিফ, যা নিয়ে ওঠে তুমুল সমালোচনা। সমালোচনার পর এবার নিজেকে করোনা নেগেটিভ বলে দাবি করেছেন তিনি।

আজ বুধবার তৌসিফ বলেন, ‘গত ১০ দিন আগে আমার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছে। আমার পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনরা জানেন, আমি তাকে কতটা ভালোবাসি। তাই কারও কথা না শুনে আমি পাশে থেকেই ওর সেবা করেছি এবং নয়দিন নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছি। তাই ধরেই নিয়েছিলাম আমি হয়তো করোনা আক্রান্ত। আবেগ থেকেই জারা ও তার পরিবারসহ আমার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি। সঙ্গে আমি করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা দিই।’

তিনি বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় আমার করোনা রিপোর্টের রেজাল্ট পেয়েছি, যেটা নেগেটিভ। সবার দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি করোনা আক্রান্ত না। এখন শুটিং সেটেই আছি।’

গতকাল মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তৌসিফ তৌসিফ লেখেন, ‘প্রতিটি স্বামীকে এই দিনটি দেখতে হবে। আল্লাহ সকলকে শক্তি দান করুন সেই আশা করি। ছবিটি পুরাতন, কিন্তু বউটা এইবার অনেক অসুস্থ। #করোনা শুধু বউ না, শ্বশুরবাড়িতে সবাই, আমিও। দোয়া করবেন। প্লিজ…’

এমন পোস্ট দেওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এই অভিনেতাকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকুর একটি নাটকে শুটিং করতে দেখা গেছে। এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম। তিনি বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত কেউ পোস্ট দিয়ে শুটিং করতে যাবে, এটা অন্যায়। তার তো সেলফ আইসোলেশনে থাকার কথা। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করছি অথচ একজন শিল্পী নিজে পোস্ট দিলেন আবার জনবহুল এলাকায় শুটিং করলেন, এটা কেমন কথা।’

আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৌসিফ। তিনি বলেন, ‘নাটকটির কয়েকটি দৃশ্যের শিডিউল দেওয়া ছিল। যেহেতু আমার করোনার উপসর্গ ছিল না, তাছাড়া চিকিৎসকও বলেছিলেন আমি সুস্থ। তাই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে, নির্মাতা যাতে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন না হন, সে জন্য আমি শুটিংয়ে অংশ নিই। আর শুটিংটা ছিল রেললাইনের ওপর। যেখানে শিল্পী আমি একা ছিলাম, মানুষও ছিল না। ইউনিটে ছিলেন হাতেগোনা কয়েকজন। তবুও তখন আমি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েই শুটিং করেছি।’

তৌসিফ আরও বলেন, ‘আমার পরিবারের মানুষ করোনা আক্রান্ত, এমন পরিস্থিতিতে আমার মানসিক অবস্থাটা যে কেউ বুঝতে পারবেন। এরপর এরকম কথাগুলো সত্যি কষ্টদায়ক।’

২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন তৌসিফ-জারা। সুখী দম্পতি হিসেবে বন্ধুমহলে তাদের বেশ সুনাম রয়েছে।

Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement