#Post ADS3

advertisement

জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি কি কি ক্ষতি করে জানলে আপনিও আঁতকে যাবেন!

 পরিবার পরিকল্পনার সাথে যে বিষয়ের সম্পর্ক রয়েছে তার নাম ‘নিয়ন্ত্রণ’। আরেকটু সহজ করে বললে, “জন্ম নিয়ন্ত্রণ”। এর জন্য রয়েছে “ক্যাফেটেরিয়া অফ চয়েস”। মানে নিয়ন্ত্রণের একগুচ্ছ পদ্ধতি। সেখান থেকে জেনে বুঝে নিজেদের পছন্দ মত পদ্ধতি বেছে নেয়া।

তো যেসব পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো হল-
★ পিল
★ ফোম ট্যবলেট
★ নরপ্লান্ট
★ ইনজেকশন
★ লাইগেশন (টিউবেকটমি)
★ কপারটি
★ ভ্যাসেকটমি (for male)
★ কনডম (for male)
★ আইইউডি
★ ল্যাম (LAM)

পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে শতকরা ২৬ ভাগ দম্পতি জন্ম নিরোধের জন্য খাবার পিল/বড়ি ব্যবহার করেন। এই পিলের বিজ্ঞাপনে বলা হয় “স্বল্প মাত্রার জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী পিল” যা সম্পূর্ন “পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত”।
এই যে বলা হয়ে থাকে স্বল্প মাত্রার জন্ম বিরতিকরণ পিল। এবার আমার জানার জায়গাটা হলো, সাধারণ মাত্রাটা কত?
আর “পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন” হলে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে?
কন্ট্রাসেপটিভ পিল বা জন্ম বিরতিকরণ পিল তৈরি হয় এসট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরোন নামক দুই ধরনের হরমোন দ্বারা। এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন সমন্বিত পিল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এস্ট্রোজেন সব সময়ই রক্তে লিপিডের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এস্ট্রোজেন মায়ের দুধের পরিমান কমিয়ে দেয়, ফলে শিশু খেতে পায় না।
এছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রন পিল খেলে যা হয়-
★ বমি বমি ভাব
★ বমি হওয়া
★ মাথা ঘোরা
★ মাথা ব্যাথা
★ স্তনে ব্যাথা
★ বিষণ্ণতা
★ চুল পড়ে যাওয়া
★ যৌন শক্তি কমে যাওয়া
★ মাসিকের সময় কমোড়ে/তল প্যাটে ব্যাথা হওয়া
★ পায়ের মাংসপেশিতে যন্ত্রণাদায়ক খিল
★ অনিয়মিত রজঃস্রাব
★ সাদা স্রাব
★ যোনি ও যোনি মুখে ক্যানডিরার আক্রমণ
★শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া
★ অতিরিক্ত চর্বি বেড়ে যাওয়া
★ প্যানক্রিয়াটাইটিস
★ গলব্লাডার স্টোন
★ গ্লাইকোসুরিয়া
★ উচ্চ রক্ত চাপ
★ রক্তনালিতে রক্তের জমাট বেঁধে যাওয়া
★ জরায়ুতে ফাইব্রয়েড নামক
★ টিউমার হওয়া
★ স্তনক্যান্সার

পিল খাওয়ার প্রভাব :
★ মেদ বাড়িয়ে শরীর ভারি ও অসাড় করে দেয় ।
★ বেশি দিন ধরে খেতে থাকলে একটা পর্যায়ে শরীরে সারাক্ষণ ক্লান্ত অনুভূত হয়।
★ প্রতিনিয়ত খাওয়ার প্রভাবে মেয়েদের জরায়ুর আকার ছোট হয় ।
★ মেয়েদের মাথা ঝিমঝিমানির বড় কারণ নিয়মিত এসব পিল সেবন ।
★ নিয়মিত ৫ বছরের বেশি সময় খেতে থাকলে পরবর্তীতে মেয়েদের সন্তান ধারণে অক্ষমতা দেখা দেয়।
★ এসব পিল বেশি বেশি খাওয়ায় মাঝে মাঝে ঘুম থেকে ওঠার পর মেয়েরা শরীরে চলাফেরার মতো শক্তিও হারিয়ে ফেলে।
★ নিয়মিত ও দীর্ঘদিন জন্ম বিরতিকরন পিল খেলে সার্ভাইকাল ক্যান্সার সহ স্তন ক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
★ এই জন্ম বিরতিকরণ পদ্ধতি বন্ধ করে দেয়ার পর গর্ভধারণে দেরি হয়।
★ এইচআইভি/এইডস সহ যৌন সংক্রামক অসুখ প্রতিরোধে কোনো কার্যকরী ভূমিকা রাখে না।

Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement