Diclofenac Potasium

0



উপাদান : ডাইক্লোফেনাক পটাসিয়াম বিপি ৫০ মি.গ্রা. ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেট।

নির্দেশনা : নিম্নোক্ত ক্ষেত্রসমূহে স্বল্পমেয়াদী ব্যবহারের জন্য:আঘাত পরবর্তী ব্যথা, প্রদাহ ও ফোলা, যেমনমাংসতন্তু ছিঁড়ে যাওয়া বা স্প্রেইন; অস্ত্রোপচার পরবর্তী ব্যথা, প্রদাহ ও ফোলা, যেমন- দাঁত ও হাড়ের অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে; স্ত্রীরোগের ব্যথাযুক্ত এবং/অথবা প্রদাহের বিভিন্ন অবস্থা, যেমন প্রাইমারী ডিজমেনোরিয়া বা এডনেক্সাইটিস; মেরুদণ্ডের কোন ব্যথা;নন্‌-আর্টিকুলার রিউম্যাটিজম; নাক, কান ও গলার তীব্র ব্যথা ও প্রদাহযুক্ত সংক্রমণের চিকিৎসায় অনুসঙ্গী হিসেবে, যেমন- ফেরিংগোটনসিলাইটিস, ওটাইটিস। শুধুমাত্র জ্বরে একে ব্যবহার করা যাবে না।

মাত্রা ও ব্যবহারবিধি : প্রাপ্ত বয়স্ক: প্রাথমিক নির্দেশিত মাত্রা ৫০ মি.গ্রা., অতঃপর প্রয়োজনে ২৫-৫০ মি.গ্রা. প্রতি ৮ ঘণ্টা পর পর। মাইগ্রেইন: প্রাথমিক নির্দেশিত মাত্রা ৫০ মি.গ্রা., অতঃপর প্রয়োজনে ২৫-৫০ মি.গ্রা. ২ ঘণ্টা পর। সর্বোচ্চ দৈনিক মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা. পর্যন্ত। শিশুদের ক্ষেত্রে (১৪ বছরের বেশি বয়স্ক): দৈনিক সর্বোচ্চ ৭৫ মি.গ্রা. পর্যন্ত বিভক্ত মাত্রায় ব্যবহার্য।

সতর্কতা এবং যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না : সক্রিয় অথবা সম্ভাব্য পেপটিক আলসার, পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ, ডাইক্লোফেনাকের প্রতি সংবেদনশীলদের ক্ষেত্রে ডাইক্লোফেনাক দেয়া যাবে না। যে সমস্ত রোগীর এসপিরিন অথবা অন্য ব্যথা ও প্রদাহবিরোধী ওষুধের প্রতি সংবেদনশীলতার কারণে হাঁপানি, আর্টিকারিয়া অথবা একিউট রাইনাইটিস এর তীব্রতা বাড়ে, সে সমস্ত ক্ষেত্রে ডাইক্লোফেনাক দেয়া যাবে না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধারণত মৃদু ও কম দেখা যায়। বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আছে পরিপাক নালীর অস্বস্তিÍ, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ শোনা। তীব্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আছে পেপটিক আলসার, পেপটিক আলসারে ছিদ্র হওয়া, যেগুলো সাধারণত খুবই কম পরিমাণে দেখা যায়।

অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া : ডাইক্লোফেনাকের অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া নিম্নরূপ:
লিথিয়াম ও ডিগক্সিন: ডাইক্লোফেনাক লিথিয়াম ও ডিগক্সিনের প্লাজমা মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।
এন্টিকোয়াগুলেন্ট: ডাইক্লোফেনাক ও এন্টিকোয়াগুলেন্ট এর যৌথ প্রয়োগে কিছু ক্ষেত্রে রক্তরণের সম্ভাবনার রিপোর্ট আছে।
সাইক্লোস্পোরিন: সাইক্লোস্পোরিন ও প্রদাহবিরোধী ওষুধের যৌথ ব্যবহারে কিডনীতে বিষক্রিয়ার কিছু ঘটনা পাওয়া গেছে।
মিথোট্রিকজেট: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিথোট্রিকজেট ও প্রদাহবিরোধী ওষুধের যৌথ ব্যবহারে কিছু মারাত্মক বিষক্রিয়ার রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
মূত্রবর্ধক: বিভিন্ন প্রদাহবিরোধী ওষুধের ব্যবহার মূত্রবর্ধকের কার্যমতায় বাধা দেয়।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : গর্ভাবস্থায় ডাইক্লোফেনাক সেবন যোগ্য নয়। তথাপি অন্য কোন উপায় না থাকলে কেবল মাত্র তখনই ডাইক্লোফেনাক সেব্য। ডাইক্লোফেনাক এর সক্রিয় উপাদান মাতৃদুগ্ধে প্রবেশ করে; কিন্তু প্রবেশ মাত্রা এতই সামান্য যে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না।
Tags

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)

ads1

ads 2

 


#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !