৮ম শ্রেণি বিষয়: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান।। ৩য় এস্যাইনমেন্ট

 

৮ম শ্রেণি বিষয়: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান।। ৩য় এস্যাইনমেন্ট
শ্রেণি: ৮ম, এস্যাইনমেন্ট-৩য়, বিষয়: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান 

শ্রেণি: ৮ম, এস্যাইনমেন্ট-৩য়, বিষয়: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান

এ্যাসাইমেন্টর ক্রমিক: নির্ধারিত কাজ-১


অধ্যায় ও বিষয় বস্তুর শিরােনাম: ১ম অধ্যায়: গৃহসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার,


পাঠ-১: গৃহসম্পদ

পাঠ-২: সময় ও শক্তির পরিকল্পনা

পাঠ-৩: অর্থ পরিকল্পনা

পাঠ-৪: পরিবারের যৌথ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার

এ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারিত কাজ:


১। তােমার পরিবারের আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে তােমার ছােট বােন বা ভাইয়ের জন্ম দিনের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন কর।


মুল্যায়ন নির্দেশনা:

বিষয়বস্তুর ধারণুসমূহ

ধারণাসমূহের ব্যাখ্যা (মূল বিষয়সহ)

সঠিক বাজেট প্রণয়ন

অধ্যায় ও বিষয় বস্তুর শিরােনাম: ২য় অধ্যায়ঃ গৃহ পরিবেশে নিরাপত্তা

Assignment Answer links   

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

পাঠ-১: গৃহ পরিবেশে নিরাপত্তা রক্ষায় করণীয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা

পাঠ-২: বিভিন্ন ধরণের দুর্ঘটনা

পাঠ-৩: বড় দুর্ঘটনা পাঠ-৪ হাড়ফাটা ও ভেঙ্গে যাওয়া পানিতে ডােবা, তড়িতাহত

এ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারিত কাজ:


২। তােমার পরিবারের জন্য একটি ফাস্ট এইড বক্স তৈরি কর।


মূল্যায়ন নির্দেশনা:

বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদান

সকল উপাদান অন্তর্ভূক্তকরণ

অধ্যায় ও বিষয় বস্তুর শিরােনাম:

৩য় অধ্যায়ঃ গৃহে রােগীর শুশ্রুষা

পাঠ-১: রােগীর কক্ষের সাজসরঞ্জাম ও পরিছন্নতা

পাঠ-২ রােগীর শারীরিক ও মানসিক যত্ন

৪র্থ অধ্যায়ঃ বয়:সন্ধিকাল

পাঠ-১: বয়:সন্ধি কালের পরিবর্তন।

পাঠ-২: বয়:সন্ধির পরিবর্তনের কারণ

পাঠ-৩: বয়:সন্ধি কালে পরিবারের সাথে খাপ-খাওয়ানাে

এ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারিত কাজ:

৩। রােগীর কক্ষ পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার প্রয়ােজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।

৪। বয়:সন্ধিকালের পরিবর্তন সম্পর্কে জানা প্রয়ােজন কেন? এ সময় স্কুলের সাথে খাপ খাওয়ানােয় তুমি কী কী করতে পারাে?

মুল্যায়ন নির্দেশনা:

কমপক্ষে ৫টি প্রয়ােজন উল্লেখ

ব্যাখ্যা প্রদান

বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদান

বিষয়বস্তুর ধারণার ব্যাখ্যাসহ কমপক্ষে ৩টি প্রয়ােজনীয়তা উল্লেখ

খাপ-খাওয়ানাের কমপক্ষে ৩টি উপায় উল্লেখ

Assignment Answer links   

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

৮ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট গার্হস্থ্য বিজ্ঞান উত্তর:-

১। তােমার পরিবারের আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে তােমার ছােট বােন বা ভাইয়ের জন্ম দিনের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন কর।


উত্তর:অর্থ পরিবারের একটি অন্যতম ও প্রধান সম্পদ। প্রতিটি পরিবারের কমবেশি অর্থ বা টাকা পয়সা আছে। অন্যান্য সম্পদের মতো অর্থ-সম্পদও অত্যন্ত সীমিত। এই সীমিত অর্থ দ্বারাই পরিবারের সব ব্যয়ভার মেটানো হয়। পরিবারের ছোট ভাই বা বোনের জন্মদিনের অনুষ্ঠান করতে হলে আমাদের অর্থ অনুযায়ী আগে বাজেট করতে হবে। পরিবারের আয় ও ব্যয়ের বাজেট থেকে আমাদের কিভাবে ছোট ভাই বা বোনের জন্মদিনের অনুষ্ঠান করা যায় সেই বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। পরিবারের সকল সদস্যদের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনায় এনে অর্থ পরিকল্পনা করতে হবে। বাজেট প্রণয়নের সময় অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতি, পছন্দ ও মতামত দেওয়া জরুরি।


আমার ছােট বােন বা ভাইয়ের জন্ম দিনের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন

এখানে প্রধানত যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি তা নিম্নরূপ:


প্রথমত, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের ভিত্তিতে আমাদের চাহিদা তৈরি হয়। তাই অর্থ পরিকল্পনার সময় আগে লক্ষ্য স্থির করে নিতে হবে।


দ্বিতীয়ত, পরিবারের সমস্ত আয় যোগ করে পরিবারের আয়কৃত অর্থ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। এবং এখান থেকে জন্মদিনের বাজেট প্রণয়ন করে যে অর্থ ব্যয় হবে তা পূরণ করে অন্যান্য খরচ সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে।


তৃতীয়ত, পরিবারের ব্যয়ের বিভিন্ন খাদ্যগুলো নির্ধারণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে খাতগুলো সাজাতে হবে। এসকল খাতের কিছু উপকার আছে সেগুলো উক্ত খাতের টাকা থেকেই প্রণয়ন করতে হবে। যেমন- বিনোদনের খাত থেকে জন্মদিনের বাজেট প্রণয়ন। এখানে জন্মদিন তাহলে উপখাত।


গৃহের সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন, নিরাপদে চলাচল, আরাম ও বিশ্রামের জন্য গৃহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পরিপাটি থাকা প্রয়োজন। গৃহে এরকম পরিবেশ বজায় রাখলে গৃহ নিরাপদ আশ্রয়স্থল এ পরিণত হয়।


Assignment Answer links   

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

২। তােমার পরিবারের জন্য একটি ফাস্ট এইড বক্স তৈরি কর।


উত্তর: ফার্স্ট এইড বক্স: গৃহের ছোট ছোট দুর্ঘটনা মোকাবিলা অথবা অসুস্থ রোগীর সেবায় প্রাথমিক চিকিৎসায় কিছু সরঞ্জামাদি রাখা খুবই জরুরি।


সরঞ্জামাদির তালিকা- গজ, তুলা, ব্যান্ডেজ, সর ধারালো ছুরি, কাঁচি, ডেটল বা স্যাভলন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, কার্বলিক অ্যাসিড, স্পিরিট, ব্যথানাশক ঔষধ ইত্যাদি।


এগুলো একটি বাক্সে ভরে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদি যে বক্সে রাখা হয় তাকে ফার্স্ট এইড বক্স বলে।


বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ফার্স্ট এইড বক্স এর ব্যবহার

১। রান্নার সময় ভাব লাগলে বরফ, ঠান্ডা পানি, লবণ পানি, নারিকেল তেল বা টুথপেস্ট আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে।


২। দা, ছুরি, বটি, ব্লেড দিয়ে কাজ করতে গেলে অনেক সময় হাত, পা কেটে যায়। কেটে গেলে কাটা স্থান পরিষ্কার করে সেখানে জীবানুনাশক, স্যাভলন, ডেটল, নেভালন ক্রিম ইত্যাদি লাগিয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে।


৩। বিভিন্ন কীটপতঙ্গ যেমন পিপরা, মৌমাছি, বোলতা কামড়ালে সুচ গরম করে জীবানুনাশক করে হুল বাহির করতে হবে। উক্ত স্থানে পিয়াজ বা লেবুর রস লাগাতে হবে।


৪। গলায় মাছের কাটা বা অন্য কিছু আটকে গেলে লেবুর রস বা পাকা কলা খেলে তা নেমে যায়।


বড় দুর্ঘটনা (First Aid Box)

১। অজ্ঞান হওয়া: অত্যাধিক গরম, ক্ষুধা, ভয়, দুর্বলতা, দুঃসংবাদ ইত্যাদি কারণে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। ফলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অজ্ঞান হয়ে গেলে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহের জন্য পা উঁচু করে রাখতে হবে। মানুষের ভীড় কমাতে হবে। আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে।


২। আগুনে পোড়া: শরীরের কোন স্থান আগুনে পুড়ে গেলে প্রথমে ক্ষত বা পোড়া স্থানে বরফ ও ঠাণ্ডা পানি দিতে হবে।


৩। সাপে কাটা: সাপে কাটা স্থানের ওপরে পরপর দুইটা জায়গায় বাঁধতে হবে। ধারালো ব্লেড বা চুরি পুড়িয়ে স্যাভলন বা ডেটল দিয়ে মুছে জায়গাটি জীবাণুমুক্ত করতে হবে। চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।


এছাড়াও হাড় ফাটা, পানিতে ডোবা, তড়িতাহিত হলে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর চিকিৎসা সেবা যত্ন করতে হবে।


৩। রােগীর কক্ষ পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার প্রয়ােজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।


উত্তর:স্বাভাবিক জীবনযাপনের মধ্যে কখনও কখনও আমরা নানা রকম রোগে আক্রান্ত হই। 


বেশিরভাগ রোগ আমরা চিকিৎসার পাশাপাশি গৃহে যথাযথ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করি। সাধারণ সর্দি,কাশি, জ্বর থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম সংক্রামক রোগ যেমন হাম, বসন্ত ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হই। পরিবারের কোনো সদস্য রোগাক্রান্ত হলে, 


তার বিশেষ ভাবে যত্ন নেওয়া দরকার। অসুস্থ ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা কারণে যথাযথ যত্নের দরকার হয়। তাকে আরাম ও বিশ্রাম দেওয়ার জন্য কোলাহলমুক্ত, স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা দরকার। আর সে কারণেই রোগের জন্য আলো-বাতাস পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত একটা কক্ষের প্রয়োজন। রোগীকে নির্দিষ্ট কক্ষে রেখে তার উপযুক্ত শুশ্রূষা করতে পারলে যেকোনো রোগ থেকে সে সহজে এবং তাড়াতাড়ি নিরাময় পেতে পারে।


রোগের কক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রয়োজনীয়তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

১। দ্রুত সুস্থ হওয়া: রোগীর কক্ষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, আলো-বাতাস ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকলে রোগী দ্রুত সুস্থ হতে পারে। তাই রোগীকে দ্রুত সুস্থ করার জন্য নিয়মিত রোগীর ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।


২। রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতি: রোগীর কক্ষ ঠিকমতো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে রোগীর শরীরের পাশাপাশি রোগীর মন ভালো থাকে। রোগীর মানসিক অবস্থা ভালো থাকলে রোগী দ্রুত সুস্থ হতে পারবে।


৩। রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাপনের দ্রব্য: রোগীর কক্ষ যদি পরিচ্ছন্ন এবং নিয়মিত আলো, বাতাস ঢোকা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা যায় তাহলে রোগী দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে।


৪। অন্যান্য রোগে আক্রান্ত না হওয়া: যদি রোগীর কক্ষ অপরিষ্কার ও বদ্ধ হয় তবে রোগী এক রোগ থেকে আরেক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই রোগী যাতে এক রোগ থেকে অন্য রোগে সংক্রামিত না হয় সেজন্য রোগীর কক্ষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।


৫। বাড়ির স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখা: রোগীকে যদি বাড়ির স্বাভাবিক অবস্থায় রাখা হয় তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অনেক নিশ্চিন্ত থাকে। তাই বাড়ির অন্যান্য কক্ষ এবং রোগীর কক্ষ সমানভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে সবাই মিলে রোগীর সেবা যত্ন করতে পারবে এবং রোগীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।


৪। বয়:সন্ধিকালের পরিবর্তন সম্পর্কে জানা প্রয়ােজন কেন? এ সময় স্কুলের সাথে খাপ খাওয়ানােয় তুমি কী কী করতে পারাে?


উত্তর: বয়:সন্ধিকালের পরিবর্তন সম্পর্কে জানা প্রয়ােজন কেন? এ সময় স্কুলের সাথে খাপখাওয়ানােয় তুমি কী কী করতে পারাে?


বয়ঃসন্ধিকাল ছেলে ও মেয়ে উভয়ের শরীর ও মনে নানা ধরণের পরিবর্তন ঘটে। এ সময়ে ছেলেমেয়েরা যেমন দ্রুত বেড়ে উঠতে থাকে। তেমনি তাদের চিন্তা চেতনায় দেখা দেয় ব্যাপক পরিবর্তন।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ১০ বছর এবং ১৯ বছর বয়সের মাঝামাঝি সময়টাকে কৈশোর বলে। এর যে কোন এ সময়ে বয়ঃসন্ধিকাল আসতে পারে। এটা মূলত কৈশোর ও যৌবনের মধ্যবর্তী পর্যায়।


অনেক সময় ১৯ বছরের পরও বয়ঃসন্ধির ব্যাপ্তি থাকতে পারে। যা বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনের ওপর নির্ভর করে।


চিকিৎসকদের মতে, মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল, ছেলেদের চাইতে কিছুটা আগে শুরু হয়। মূলত ১০ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে যেকোনো সময় তা হতে পারে।


অন্যদিকে ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকাল আসে ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে।


এ বয়সে মেয়েদের উচ্চতা বাড়ে। শরীরের বিভিন্ন অংশ স্ফীত হয়। বাহুমূল ও যৌনাঙ্গে লোম গজায়। মাসিক শুরু হয়।


তেমনি ছেলেদের ক্ষেত্রে, এসময় তাদের দেহের উচ্চতা দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে, গলার স্বর ভারি হয়ে আসে, কাঁধ চওড়া হয়, পেশী সুগঠিত হয়। মুখে দাড়ি-গোঁফ ওঠে সেইসঙ্গে শরীরের নানা জায়গায় বিশেষ করে, বুকে, বাহুমূলে ও যৌনাঙ্গে লোম গজায়। এই সময়ে ছেলেরা একটু বেশি ঘামে।


বয়ঃসন্ধির এই সময়টা ছেলে মেয়ে উভয়ের প্রজনন ক্ষমতা বিকাশ হতে থাকে বলে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ হয়।


অনেক সময়ে ঘুমের মধ্যে ছেলেদের বীর্যস্খলন হয়ে থাকে। যা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটি বয়ঃসন্ধির একটি লক্ষণ।

মানসিক পরিবর্তন:

বয়ঃসন্ধিকালীন এই সময় থেকে ছেলে-মেয়েদের আত্মপরিচয় গড়ে উঠতে শুরু করে বলে জানিয়েছে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেখলা সরকার।


আত্মপরিচয় বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে, তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গা তৈরি হয়। তার কী পছন্দ-অপছন্দ, সে কী চায়। এছাড়া নিজের জীবন, সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম সম্পর্কে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে। এবং তারা পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন মানুষ হিসেবে জীবনের এই পর্যায়ে আত্মপ্রকাশ করে।


ছোট থেকে বড় হওয়ার এই সময়টাতে বড় ধরণের মানসিক ভাঙা-গড়ার মধ্যে দিতে হয় এই ছেলে মেয়েদের।


এ সময় তাদের মধ্যে হরমোনাল কারণে আবেগের প্রাবল্য দেখা দেয়। মুড সুইং হয় বা মন মেজাজ খুব দ্রুত ওঠানামা করে।


আনন্দ, রাগ, দুঃখের মতো অনুভূতিগুলো তীব্র মাত্রায় দেখা যায়। আজ আনন্দে উল্লাস করলে আরেকদিন মনমরা ভাব থাকে।


প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা:

বয়ঃসন্ধিকালে যেহেতু ছেলে মেয়েদের প্রজনন ক্ষমতার বিকাশ হয় তাই এই বয়সে সেক্স এডুকেশন বা যৌনশিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা বেশ জরুরি


তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি, মানসিক ও সামাজিক বিষয়ে কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থাও রাখা যেতে পারে।


“ছেলেদের যে রাতে বীর্যস্খলন হয়, এটা যে স্বাভাবিক। বা ছেলে-মেয়েরা একে অপরের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে, সেটা তারা কিভাবে হ্যান্ডল করবে সে বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটা দিক নির্দেশনা দিতে পারে। কারও সাথে রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে তার পরিসীমা মেনে চলা। আরেকজনের ইচ্ছা অনিচ্ছাকে সম্মান জানানো, একে অপরের প্রতি সৎ থাকা। এসব বিষয়ে সচেতন করা দরকার।”


বয়ঃসন্ধিকালীন সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ ও যৌনরোগ সম্পর্কে জানা ও প্রতিরোধ করার জ্ঞান থাকা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

Assignment Answer links   

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies