সেদিনের পরিস্থিতি নিয়ে যা বললেন ইউএনও, হত্যার পর লাশ পোড়ানো

Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 

সেদিনের পরিস্থিতি নিয়ে যা বললেন ইউএনও, হত্যার পর লাশ পোড়ানো

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে শহীদুন্নবী জুয়েলকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ব্যর্থতা ছিল কি না-এসব নিয়ে যখন আলোচনা ও সমলোচনা হচ্ছে, ঠিক তখনই ওই দিনের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললেন ইউএনও কামরুন নাহার। তিনি বলেন, ‘আমার ফোর্স ছিল না। রেসকিউ করার মতো সিচুয়েশনও ছিল না। যদি ফোর্স থাকতো তাহলে আমি তাদের দুজনকেই রেসকিউ করতে পারতাম। অনেকের বিশ্বাস না হলেও এটাই বাস্তবতা।’ গত শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গুলি করার আদেশ না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ইউএনও বলেন, ‘আমি কোননো মানুষকে হার্ট করতে পারব না, আঘাত করতে পারব না। যেমন- ভেতরের দুজনকে আমার দেখার কথা, বাইরের হাজার হাজার মানুষকেও আমার দেখতে হবে। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে আমি সময়ের আগেই ফায়ার ওপেনের নির্দেশনা নিশ্চিতভাবেই দেব না। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, যেন ফায়ার ওপেনের নির্দেশনা দিতে না হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতির কারণে আমাকে সিদ্ধান্ত দিতে হয়েছে এবং আমি ফায়ার ওপেনের নির্দেশনা দিয়েছি।’

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও সিদ্ধান্ত নিতে বেশি সময় লেগেছে কিনা জানতে চাইলে কামরুন নাহার দাবি করেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগেনি। জনরোষের ওপর ভিত্তি করে আমাকে কাজ করতে হয়েছে।’

ঘটনাস্থলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা সঠিক সময়ে পৌঁছাতে না পারলেও অন্য এলাকা থেকে অচেনারা কীভাবে এলো, এমন প্রশ্নে ইউএনও বলেন, ‘এটা আমি আপনাদেরকে ওভাবে বলতে পারব না। মানুষের যাতায়াত তো সীমিত করা হয়নি। ওই এলাকায় যেতে হলে অনুমতির প্রয়োজন হবে, এ রকম তো কোনো আইন নাই।’

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিক্ষুব্ধ জনতা শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তার শরীর আগুনে পুড়িয়ে দেয় তারা।

এ ঘটনায় শনিবার তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে নিহত জুয়েলের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা, ইউনিয়ন পরিষদ অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় চেয়ারম্যানের দায়ের করা ভাঙচুরের মামলা এবং পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ আরও একটি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় অন্তত ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ওই এলাকার ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.