#Post ADS3

advertisement

একজন দেশ প্রেমিক নাগরিকের ১০ মৌলিক গুণ

 

দেশ প্রেমিক নাগরিক দেশের সকল কাজে ঝাপিয়ে পড়ে নিজের জীবনও উৎস্বর্গ করতে পারেন। তার প্রমাণ পাওয়া যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে দেশের মানুষের আত্মদানের বিষয়টি বিবেচনা করলে।


১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা ‍যুদ্ধে দেশ প্রেমিকরা নিজের জীবনের মায়া না যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা নিয়ে এসেছিল;


যারা নিজেকে দেশ প্রেমিক দাবি করে বা দেশ প্রেমিক প্রমাণ করতে চায় তাদের সকলকে প্রকৃত দেশ প্রেমিক বলা যাবেনা।


প্রকৃত দেশ প্রেমিক নাগরিক হওয়ার একজন মানুষের মধ্যে অনেকগুলো গুণাবলী থাকতে হয়। তাই নিয়ে আজকে আমরা সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করবো।


১. আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল:

একজন নাগরিককে আপনি তখনি দেশ প্রেমিক বলতে পারেন যখন সে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে। দেশের আইন কানুন যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করবে। অন্যথায় কোনোভাবেই একজন নাগরিক প্রকৃত দেশ প্রেমিক হতে পারেনা;


২. দেশের সম্পদের প্রতি দায়িত্বশীল:

একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিক অবশ্যই দেশের অভ্যন্তরীন সম্পদের প্রতি যথেষ্ট দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও নিজস্ব সম্পদের প্রতি গভীর দায়িত্বপালন করে তা বিনষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।


৩. দেশের প্রতি ভালোবাসা:

প্রকৃত দেশ প্রেমিক পৃথিবীর যেকোন প্রান্তেই থাক অবশ্যই দেশের প্রতি ভালবাসা থাকবে। দেশের সকল বিষয়ের প্রতি একটা আন্তরিক টান উপলব্ধি করবে সব সময়। দেশের প্রশ্নে সব সময় নিজের দেশকেই প্রাধাণ্য দিবে। তাহলেই একজন নাগরিককে প্রকৃত দেশ প্রেমিক নাগরিক বলা যেতে পারে।


৪. দেশের জন্য জীবন উৎস্বর্গ করা:

একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিক নাগরিক দেশের যেকোন সংকটে নিজের জীবন উৎস্বর্গ করে দিতে কুন্ঠাবোধ করেনা। দেশের জন্য প্রয়োজনে নিজের জীবন দান করতেও প্রস্তুন থাকে একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিক। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ সহ অনেকগুলো সংগ্রামে জীবনদান করা যোদ্ধাদের মাঝে আমরা প্রকৃত দেশ প্রেমিক দেখতে পাই।


৫. দেশের সংকটে এগিয়ে আসা:

দেশের যেকোন সংকটে প্রকৃত দেশপ্রেমিক নিজেকে বিলিয়ে দেয়। বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংকটে দেশের সাধারণ মানুষের কল্যানার্থে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে পারে একজন দেশ প্রেমিক।


৬. দেশের সম্পদের সঠিক ব্যবহার:

একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিক অবশ্যই দেশের সম্পদ সমূহের সঠিক ব্যবহার করেন। কোনো ভাবেই দেশিয় কোনো সম্পদ নষ্ট করেনা।


৭. দেশের জন্য পরিকল্পনা:

নিজের দেশের বিভিন্ন বিষয় নিজে একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক অবশ্যই নিজস্ব পরিকল্পনা করবেন। কিভাবে নিজের দেশকে পৃথিবীতে পরিচিত করা যায় সে বিষয়ে অবশ্যই ভাববেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক নাগরিক।


৮. দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসা:

দেশে বসবাসকারী সকল স্তরের মানুষের জন্য নির্ভেজাল ভালোবাসা থাকবে প্রকৃত দেশপ্রেমিকের। একজন আসল দেশপ্রেমিক কখনোই নিজের দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন করবেনা এবং একচোখা কোনো আচরণ করবেনা।


একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক নাগরিকের কাছে তার দেশের সকল জনগণ অতি আপন হিসেবে বিবেচিত হয়।


৯. দেশকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া:

দেশপ্রেমিক নাগরিক সময় নিজের দেশকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেন। এটা প্রকৃত স্বদেশ প্রেমিক নাগরিকে অন্যতম মহত গুণ। যখন আন্তজার্তিক কোনো বিষয় আসে তখন সে নিজের দেশকেই সবচেয়ে বেশিগুরুত্বারোপ করেন।


১০. নিজের দেশকে নিয়ে সমালোচনা না করা:

যে নিজের দেশকে নিয়ে সমালোচনা করে সে কখনোই দেশপ্রেমিক হতে পারেনা। প্রকৃত দেশ প্রেমিক নাগরিক কখনোই নিজের দেশের কোনো বিষয়ে সমালোচনা করেনা।


উপরোক্ত গুণগুলো থাকলে নাগরিককে সন্দেহাতীতভাবে আপনি প্রকৃত দেশ প্রেমিক নাগরিক বলতে পারেন।


Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement