চোরাকারবারি প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা

Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডিলার ছাড়া স্বর্ণালঙ্কার আমদানি করা যাবে না। আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সোনার মূল্যের সমন্বয় করা ও চোরকারবারি প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক বছর আগে সোনা আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। এর আগে বৈধভাবে কেউ সোনা আমদানি করতে পারতেন না। চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে সোনা আসত।

মাঝে মধ্যে শুল্ক গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ার পর জানা যেত চোরাচালানিদের কারবার। স্বর্ণের চোরাচালান ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নানা উদ্যোগ নিলেও তা থেমে ছিল না। এর আগে আপন জুয়েলার্সের ঘটনার পর সারা দেশে স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছিল জুয়েলারি মালিক সমিতি।

অবৈধ পথে দেশে সোনা আসায় এক দিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারায়, অপর দিকে পাচার হয়ে যায় দেশের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার গেল বছর সোনা আমদানি উন্মুক্ত করার জন্য স্বর্ণ নীতিমালার ওপর একটি গেজেট প্রকাশ করেছিল। নীতিমালা জারি করার পর কিভাবে সোনা আমদানি করা হবে, কারা আমদানি করবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর দেয়া হয়। গত বছর সোনা আমদানির জন্য একটি নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্বর্ণ নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত স্বর্ণ আমদানির ডিলারদের মাধ্যমে এখন থেকে স্বর্ণালঙ্কার আমদানি করতে হবে। অনুমোদিত ডিলারদের বাইরে এককভাবে বা প্রতিষ্ঠানিকভাবে কেউ স্বর্ণালঙ্কার আমদানি করতে পারবে না।

এ বিষয়ে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে সার্কুলারে জানানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বর্ণ আমদানির নীতিমালা জারি করে। এর আওতায় স্বর্ণ আমদানির জন্য ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ আমদানির ডিলার হিসেবে লাইসেন্স প্রদান করা হয় গত বছরের অক্টোবরে। গত এক বছরে মাত্র দু’টি প্রতিষ্ঠান বৈধভাবে ব্যাংকে এলসি খুলে সামান্য পরিমাণ স্বর্ণ আমদানি করেছে। বাকি স্বর্ণ অবৈধভাবে বা চোরাই পথে আমদানি হচ্ছে। নীতিমালাতে স্বর্ণের বিস্কুট বা গোল্ড বার আমদানির পাশাপাশি স্বর্ণালঙ্কার আমদানিরও বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু এত দিন স্বর্ণালঙ্কার আমদানি হতো বাণিজ্যিকভাবে। এতে দামের হেরফেরের কারণে দামও বেশি পড়ত। এখন ডিলারদের মাধ্যমে আমদানি করতে হবে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজার দরের সাথে সমন্বয় রেখে স্বর্ণালঙ্কার আমদানি করা যাবে।

উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ব্যাংকসহ ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ আমদানির লাইসন্সে প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি ব্যাংক হচ্ছে, বেসরকারি খাতের নতুন প্রজন্মের মধুমতি ব্যাংক। বাকি ১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, জুয়েলারি হাউস, রতনা গোল্ড, অরোসা গোল্ড করপোরেশন, আমিন জুয়েলার্স, শ্রীজা গোল্ড প্যালেস লিমিটেড, জরোয়া হাউস লিমিটেড, মিলন বাজার, এসকিউ ট্রেডিং, এমকে ইন্টারন্যাশনাল, আমিন জুয়েলার্স, বোরাক কমোডিটিস এক্সচেঞ্জ, গোল্ডেন ওয়ার্ল্ড জুয়েলার্স, রিয়া জুয়েলার্স, লক্ষ্মী জুয়েলার্স, বিডেক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড ও ডি ডামাস দ্য আর্ট অব গ্যালারি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মূলত চোরকারবারি ঠেকাতেই লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। দেশে সোনা আমদানির একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা দেয়া হয়েছিল; কিন্তু একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এর অপব্যবহার করছে। মূলত চোরাকারবারি ঢেকাতে এ নীতিমালা জারি করা হয়।

সূত্র/ নয়াদিগন্ত —


Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.