শারীরিক ব্যথায় সতর্কতা
শারীরিক বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গে ব্যথায় একটু সতর্ক থাকলে এ ধরনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
কাঁধব্যথা : আঘাত লাগা, পেশিতে টান, হাড় ভেঙে যাওয়া, লিগামেন্টে ইনজুরিসহ বেশ কিছু কারণে কাঁধে ব্যথা হতে পারে।
এতে কাঁধ শক্ত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা এ ধরনের সমস্যায় বেশি ভোগেন। হৃদরোগ বা স্ট্রোকের কারণেও কাঁধে ব্যথা হতে পারে। এ রোগ নিরাময়ে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা আছে।
ব্যথা উপশমকারী ও মাংসপেশি শিথিলকারী ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের হিট দেওয়া হয়। যেমন- ডিপ হিট ও সুপার ফেসিয়াল হিট। বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ইলেক্ট্রথেরাপি।
কাঁধে ব্যথা কমাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনজেকশন প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে যারা সাধারণ কাঁধব্যথায় ভুগছেন, তাদের জন্য কিছু ব্যায়াম উপকারী।
এ জন্য মেরুদ- সোজা রেখে কাজ করুন। ভারী কাজ এড়িয়ে চলুন। শোয়ার সময় ঘাড়ে নরম বালিশ ব্যবহার করুন। ডায়াবেটিস থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
ঘাড়ব্যথা : আঘাত লাগা, ঘাড়ের ইনফেকশন, অস্টিওপোরোসিস, হাড়ে টিউমার, ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়ামের অভাবে ঘাড়ব্যথা হয়। আরেকটি কারণ হলো, সার্ভাইকাল স্পন্ডাইলোসিস। ঘাড়ব্যথা হলে ঘাবড়াবেন না।
অনেক সময় উঁচু বালিশে ঘুমানো, একটানা একদিকে তাকিয়ে থাকা, ফোমের বিছানায় ঘুমালে ঘাড়ব্যথা হতে পারে। তাই বোঝার চেষ্টা করুন ব্যথা আসলে কেন অনুভূত হচ্ছে। হাঁটুব্যথা :
গিটেবাত হাঁটুব্যথার অন্যতম কারণ। এ ছাড়া অস্থিসংযোগে ক্ষয়ের কারণে ব্যথা হয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন।
একই স্থানে বেশি সময় দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবেন না। ভারী জিনিস বহন করবেন না। ডায়াবেটিস রোগীরা হাঁটার পরিবর্তে সাঁতার কাটুন বা সাইকেল চালান।