#Post ADS3

advertisement

রাবি উপাচার্য মেয়ে-জামাই নিয়োগ প্রসঙ্গে যা বললেন

 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনকে পক্ষপাতমূলক বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান। এ ছাড়া মেয়ে ও জামাতাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দিতে নীতিমালা পরিবর্তন করার যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উঠেছে সেটিও ‘সর্বৈব মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন তিনি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন সম্পর্কে নিজের অবস্থান জানাতে আজ রোববার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন রাবির ভিসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বেলা ১১টায় আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

রাবি উপাচার্য বলেন, ‘যেকোনো আমলযোগ্য অভিযোগের তদন্ত বাঞ্চনীয়। আমি তদন্তের বিপক্ষে নই। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ যথাযথ হলে তা তদন্তে একশভাগ সম্মত আছি। তবে সেই তদন্ত হতে হবে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বা আইনসিদ্ধভাবে গঠিত পক্ষপাতহীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে। এ বিষয়ে আমি স্পষ্টভাবে গত ৯ সেপ্টেম্বর ইউজিসি’র চেয়ারম্যানকে পত্র দিয়ে জানিয়েছিলাম।’

এম আবদুস সোবহান বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম সেই পত্র বিবেচনায় নিয়ে চেয়ারম্যান পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। বরং আমি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বলাবাহুল্য প্রতিবেদনটি তাই একপেশে এবং পক্ষপাতমূলক।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে উপাচার্য এসব অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।

এ ছাড়া ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে মেয়ে-জামাইকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভিসি শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করেছিলেন বলে প্রমাণিত হওয়ার বিষয়ে উপাচার্য সোবহান বলেন, ‘৪৭২তম সিন্ডিকেট সভার ৪৩ নম্বর সিদ্ধান্তে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহার নেতৃত্বে সিন্ডিকেট সদস্য, ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতিসহ সাতজনকে নিয়ে সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নিয়োগ নীতিমালা পুনঃপ্রণয়ণকল্পে একটি কমিটি গঠন করা হয়। চার মাস পর কমিটির সুপারিশে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পুনঃপ্রণয়ণ করা হয়। এই নীতিমালায় অনেক বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু আমার মেয়ে-জামাই নিয়োগ পাওয়ার পরই অভিযোগ তোলা হলো যে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়ার জন্যই নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করা হয়, যা সর্বৈব মিথ্যা। ’

উপাচার্য আবদুস সোবহান আরও বলেন, ‘সংবাদপত্রের প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্যে জানতে পেরেছি আমার অর্থের অনুসন্ধান করা হবে। আমি বলছি, বাংলাদেশের যেকোনো সংস্থা আমার অর্থের অনুসন্ধান করতে পারে। সেই সৎসাহস আমার আছে।’

এদিকে ইউজিসির তদন্ত কমিটিকে একপেশে দাবি করার বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক দিল আফরোজা বেগম বলেন, ‘আমরা তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। রাবি ভিসির কোনো অভিযোগ থাকলে তিনি সেটা ওই মন্ত্রণালয়ে দেবেন। তারা তা বিবেচনা করবে।’


Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement