#Post ADS3

advertisement

যৌনবাহিত রোগ ও সচেতনতা, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কিত সচেতনতা, যৌন রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি

 

যৌনবাহিত রোগ ও সচেতনতা, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কিত সচেতনতা, যৌন রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি 



মানবদেহ নানা রোগের বসতি। এমন সব ভয়ানক রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়, যা কখনও চিন্তাও করেন না। আবার অনেকেই আছেন যারা কিছু কিছু রোগের কথা লজ্জায় কাউকে বলতে পারেন না। যার ফলাফল এক সময় আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।


সাধারণত যৌন রোগে আক্রান্ত পুরুষ শারীরিক সম্পর্কের সময় তার সঙ্গীর দেহে এসব রোগ সংক্রমিত করে। এ কারণে এগুলোকে যৌন সংক্রমিত রোগ বলা হয়। বহুসংখ্যক যুবক এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে আমাদের দেশের মানুষ যৌন রোগে আক্রান্ত হলেও বিষয়টি লুকিয়ে রাখে। এমনকি চিকিৎসকের কাছে পর্যন্ত অনেক বিষয় গোপন করেন। যা করা আদৌ উচিত নয়।


যৌন রোগ পুরুষ বা নারী উভয়েরই হতে পারে। সঠিক সময়ে যৌন রোগের চিকিৎসা না নিয়ে অবহেলা করলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়তেই থাকবে। তবে অনেকে এ সমস্যা বুঝতেই পারেন না। তাই সতর্ক থাকতে দেরি না করে নিন ও রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়সমূহ—


যৌন রোগ নিয়ে ভীতি, অজ্ঞতা বা সঙ্কোচ আমাদের বিপদ আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই এ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। যৌন রোগ থেকে ক্যান্সার, অন্ধত্ব, সন্তানের জন্মগত ত্রুটি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি গবেষণায় পাওয়া তথ্য বলছে, পৃথিবীজুড়েই বাড়ছে যৌন রোগের প্রকোপ।


যৌন রোগ নিয়ে ভীতি, অজ্ঞতা বা সঙ্কোচ আমাদের বিপদ আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই এ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।

যৌন রোগ নিয়ে ভীতি, অজ্ঞতা বা সঙ্কোচ আমাদের বিপদ আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই এ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।

যৌন রোগের উপসর্গ

সাধারণত যৌনাঙ্গ থেকে তরল নিঃসৃত হওয়া, মূত্রে জ্বালাভাব, শারীরিক সম্পর্কের সময়ে ব্যথা বা রক্তপাত, তলপেটে ব্যথা, মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত এবং গলায় সংক্রমণ-এসব উপসর্গের কোনটি দেখলে অবশ্যই যৌন রোগের পরীক্ষা করান। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


প্রতি বছর সারা বিশ্বে অন্তত ২ কোটি মানুষ যৌন রোগে আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে প্রায় ১ কোটি আক্রান্তের বয়স ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। আসুন এ সম্পর্কে কিছু জরুরী তথ্য জেনে নেই।


এইচপিভি (HPV) বা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (Human Papillomavirus) এমন এক ধরনের ভাইরাস যা যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায় এবং বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। অনেকের মধ্যে এই ভাইরাস কোন উপসর্গ ছাড়াই থাকতে পারে বছরের পর বছর।

নিরাপদ শারীরিক সম্পর্কের জন্য কনডম ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হলেও তা ১০০ ভাগ সুরক্ষিত নয়। সাধারণত তরলের মাধ্যমে ছড়ায় এমন সব যৌন রোগ থেকে কনডম সুরক্ষা দিতে পারে। যেমন, গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া বা এইচআইভি। কিন্তু ত্বকের সংস্পর্শে ছড়ায় এমন সব যৌন রোগ যেমন সিফিলিস, হার্পিস এবং এইচপিভিকে আটকাতে কনডম তেমন কার্যকরী নয়।

অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা হলো— শুধু শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমেই যৌন রোগ ছড়ায়। কিন্তু বাস্তবে যৌন রোগ সম্পর্কে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ভুল ধারণা। হার্পিস বা জেনিটাল ওয়ার্ট ত্বকের সংস্পর্শের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।

নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে জড়িত থাকলে বছরে অন্তত একবার পরীক্ষা করানো উচিত।

বেশির ভাগ যৌন রোগই উপযুক্ত চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সেরে ওঠে। কিন্তু চিকিৎসায় অবহেলা করলে তা ভবিষ্যতে এইচআইভির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের সিফিলিস, গনোরিয়া বা হার্পিস হয় তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। তাই সতর্কতার প্রয়োজন এখনই।

যৌন রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

যৌন রোগ প্রতিকারের জন্য যৌবনের শুরুতেই রোগের কারণ ও মারাত্মক পরিণতি সম্পর্কে জানা ও সচেতন হওয়া দরকার। আরও যা যা করতে হবে—


কনডমের সঠিক ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে যৌন রোগ প্রতিরোধ করে।

একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া শারীরিক সম্পর্কের পর যৌনাঙ্গ ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।

রোগীর যৌন সঙ্গীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে এ রোগ অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়। প্রয়োজনে কনডম ব্যবহার করতে হবে।

কেউ যদি মনে করে তার যৌন রোগ আছে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা এবং চিকিৎসা করানো উচিত। শুরুতে যৌন রোগের চিকিৎসা করা সহজ, পরে চিকিৎসা করা কঠিন।


Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement