বিষয়: সকাল বেলার প্রসাবের সাথে বীর্য যাচ্ছে, শুক্র ক্ষয়ের কারণ এবং লক্ষণ, ধাতু দুর্বলতা রোগের হলে যে পরিবর্তন দেখা যাই,ধাতুক্ষয়ের প্রধান কারণ কি?,ধাতু ক্ষয় কেন হয়,ধাতু ক্ষয় হলে যা যা হয়,ধাতু ক্ষয়ের কারণ ও লক্ষণ ,ধাতু দুর্বলতা রোগের কারণ
প্রসাবের পর বীর্য বের হয় কেন? অনৈচ্ছিক বীর্যপাতের নামই হলো ধাতু দূর্বলতা হলো ইচ্ছা, উত্তেজনা, নাড়াচাড়া ছাড়াই পেশাবের আগে বা পরে পুরুষাঙ্গ হতে বীর্য বের হওয়া, অথবা পেশাবের সাথে বা কঠোর মেহনত, বোঝা উত্তোলন অথবা উত্তেজনা আসার দ্বারা কিংবা মহিলাকে স্পর্শ করার দ্বারা বীর্যপাত হয়। আবার অনেক সময় জোর খাটানোর সময় বীর্যপাত হয়ে যায়। তদ্রুপভাবে ঘুমে গেলে বীর্যপাত হয়। ধাতু বা বীর্য যেহেতু শরীরের রূহ বলা হয়ে থাকে, সেহেতু বীর্যপাত হওয়ার দ্বারা শরীরে অলসতা ও ধাতু দূর্বলতা দেখা দেয়। এমনকি কোমরে ব্যথাও অনুভব হয়।
(ads1)
ধাতু দূর্বলতা
সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হলো মাথার ব্রেণে দুর্বলতা প্রকাশ পায়। চেহারা শুকিয়ে যায়। শারীরিক দুর্বলতাও ব্যাপকভাবে প্রকাশ পায়। কোনো কাজেই ভালো লাগে না। সব কাজেই বিরক্তি বিরক্তি ভাব দেখা দেয়। সব সময় মনে চায় যদি শুয়ে থাকতে পারতাম। মহিলাদের প্রতি যৌন আকর্ষণ হ্রাস পেতে পেতে এক সময় তাদের প্রতি কোনো চাহিদাই জাগে না। কারো সাথে মেলা-মেশা, কথাবার্তা বলতেও ভালো লাগে না। নীরব ও অন্ধকার লাগে। একাকী ও নির্জনতা পছন্দ হয়। কারো কারো অবস্থা এমন করুণ হয়ে দাড়াঁইয়, যার কারণে আত্মহত্যার জন্যও প্রস্তুতি নেয়। এসব কেবল ধাতু দুর্বলতার কারণে হয়ে থাকে।
জটিল উপসর্গসমূহ :- অতিরিক্ত অপুষ্টি রোগ ভোগ, রক্ত শুন্যতা, দুর্বলতা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ইহাতে তেমন জটিল উপসর্গ দেখা দেয় না। যাদের হরমোনের অভাব হয় বা বীর্যে শুক্রকীট থাকে না তাদের অনেক সময় এর দরুন সন্তান হয় না। এছাড়া শুক্রের ঘনত্ব (viscosity) নস্ট হওয়ার কারণে ইহা অতি সহজেই নির্গত হয় এবং এর ফলে যৌন আনন্দ পাওয়া যায় না। অনেক সময় এর ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মানসিক অশান্তি দেখা দেয় এবং নানা পারিবারিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই উপসর্গযুক্ত পুরুষদের স্ত্রীরা মানসিক অশান্তি এবং হতাশায় ভোগে। পরোক্ষভাবে সাংসারিক অশান্তি এই রোগের একটি জটিল উপসর্গ বলা যেতে পারে।
ধাতু দুর্বলতা রোগের কারণঃ
ধাতু দুর্বলতার অনেক কারণ আছে। তন্মধ্যে নিম্মোক্ত কারণগুলো বেশিরভাগ লোকদের মাঝে পাওয়া যায়।
১. উত্তেজনার বশিভুত হয়ে হস্তমৈথুন করে বীর্যপাত ঘটানো।
২. সমকামিতার মাধ্যমে বীর্যপাত ঘটানো।
৩. সব সময় পেটের অসুখ লেগে থাকার কারণে ধাতু দূর্বলতা হয়।
৪. কতক সময় অধিক গরম ও বিলম্বে হজম হয় এম খাদ্য খাওয়ার দ্বারা।
৫. ভরপেটে সহবাস করার দ্বারা ধাতু দূর্বলতার দেখা দেয়।
৬. অশ্লীল, যৌন উদ্দীপক ছবি দেখার দ্বারা বীর্যপাত হয়ে থাকে। আর এসব কারণেই বেশিরভাগ ধাতু দুর্বলতা রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে।
ধাতু দূর্বলতার সমস্যা ও সমাধান
প্রত্যহ প্রাত:কালে অর্ধ পোয়া পরিমাণ ছোট পিয়াঁজ কুচি লবন চূর্নসহ চিবাইয়া খাইয়া আধা সের পরিমান কাচাঁ দুধ পান করিবেন ২/৩ সপ্তাহ এ ঔষধ সেবনে শুক্র গাড় ও তিশক্তি বৃদ্বি হইবে এবং ধাতু দূর্বলতা দূর হবে।
পূর্ব দিন রাত্রে সামান্য একটু পানিতে অর্ধ ছটাক পরিমান ইছুবগুল ভিজাইয়া রখিবেন। পরদিন প্রাত:কালে ইহার সহিত ১ পোয়া ছাগলের কাচাঁ দুধ ও কিছু চিনি মিশাইয়া, বাসি পেটে সেবন করিবেন। নিয়মিত এ ঔষধ ২/৩ সপ্তাহ সেবন করিলে বলবীর্য অত্যাধিক বৃদ্বি পাইবে এবং ধাতু দূর্বলতার আস্তে আস্তে সম্পাপ্তি ঘটবে।
শুকনো আমলকী ৫০ গ্রাম উত্তমরুপে চূর্ন করে পরিস্কার কাপড়ে ছেকে নিতে +হবে এবং কিছু পরিমান আমলকি পিষে রস বাহির করে নিতে হবে। ঐ আমলকী রসের সহিত আমলকি গুড়া উত্তমরুপে মিশাইয়া অল্প আঁচে শুকাইয়া পুনরায় রৌদ্রে শুকাইয়া, শুস্ক করে নিতে হইবে। এবার ঐ চূর্নের সহিত মিছরি গুড়া করে পরিমান মতো মধু নিয়ে প্রত্যহ সকালে সেবন করিলে নপুংসকতা নাশ হয়।
তিন তোলা পরিমাণ ছোলাবুট রাত্রে ধুইয়া ভিজাইয়া রাখিনে সকাল বেলা ঘুম হইতে উঠে হাত মুখ ধুয়ে খালী পেটে চিবাইয়া খাইবেন। এই ভাবে একাধারে অন্তত একমাস খাইলে পরে ধাতু দৌর্বল্য রোগ আরোগ্য হয়।
(ads2)
কৃষ্ণতিলা ও আমলকী সমপরিমানে চূর্ন করিয়া উত্তমরুপে ছেপে নিবেন, প্রত্যহ রাত্রে শয়নকালে ১ তোলা পরিমান চূর্ন মুখে দিয়া এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করিবেন। এইভাবে ২১ দিন নিয়মিত পান করিলে আপনার গোপন সমস্যা সমাধান হবে।
আম, জাম, ও তেঁতুলের বীজ সমান পরিমান নিয়া উত্তমরুপে চূর্ন করিতে হইবে। প্রত্যহ রাত্রে শয়নকালে ১ তোলা পরিমান চূর্ন মুখে দিয়া এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করিবেন। এই ভাবে ৩ সপ্তাহ সেবন করলে আপনার ধাতু দূর্বলতাসহ গোপন সমস্যা সমাধান হবেই।
প্রতি রাতে শোয়ার পূর্বে এক কোয়া পিয়াজ দশটি কালো জিরার সাথে চিবিয়ে খেলে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত যৌবন শক্তি বহাল থাকে।
পুরাতন আম গাছের ছাল আগের দিন আধা গ্লাস পরিমান পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালী পেটে সমপরিমানে গরুর কাচাঁ দুধ দিয়ে পান করলে আপনার গোপন সমস্যা ভালো হবে এবং ধাতু দূর্বলতাও দূর হবে।
আরোগ্যকারী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা:- উপরে বর্ণিত লক্ষণগুলির সব কয়টি বা কোন কোনটি এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। যেহেতু এই অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তি মানসিক ভাবে অনেক দুর্বল থাকে তাই রাস্তা ঘাটের তথাকথিত হারবাল, কবিরাজ, ভেষজ নামধারী চিকিত্সকরা তাদের খুব সহজেই প্রতারিত করে থাকে। কিন্তু দেখা যায় তাদের চিকিত্সায় এই সমস্যাটি পুরুপুরি নির্মূল হয় না। আর তখন ঐসব চিকিত্সকরা আক্রান্ত ব্যক্তিকে নানা প্রকার উত্তেজক ঔষধ দিয়ে এইগুলি সব সময় খেয়ে যেতে বলে। আর সহজ সরল ব্যক্তিরা আসল সত্যটা না জানার কারণে তাদের দেয়া ক্ষতিকর উত্তেজক ঔষধগুলি দিনের পর দিন ব্যবহার করে করে সমস্যাটিকে আরো জটিল থেকে জটিলতর করে তুলে।
(ads1)
আমাদের দেশে পুরুষদের যৌন দুবর্লতার সমস্যা মনে হয় খুবই বেশী। অন্তত রাস্তাঘাটের দেয়ালে দেয়ালে যে-সব ডাক্তারী বিজ্ঞাপন দেখা যায়, সেগুলো দেখলে যে-কারো এমন ধারণা হওয়াই স্বাভাবিক। আবার এসব বিজ্ঞাপনের বেশীর ভাগই দেখা যায় হোমিও ডাক্তারদের বিজ্ঞাপন। এতে অনেকের মনে হতে পারে যে, সম্ভব হোমিওপ্যাথিতে যৌন রোগের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা আছে। হ্যাঁ, বাস্তবেও কথাটি সত্য। অন্য যাবতীয় রোগের মতো যৌনরোগেরও সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা আছে হোমিওপ্যাথিতে। আমার কাছে যৌন দুবর্লতার যত রোগী এসেছে, তাদের প্রত্যেকেই বলেছেন যে, এলোপ্যাথিক বা কবিরাজি চিকিৎসায় তারা কোন সত্যিকারের উপকার পান নাই। (যতদিন ঔষধ খাই ততদিনই ভাল থাকি ; ঔষধ বন্ধ করলেই অবস্থা আগের মতো।) অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌন দুরবলতা, যৌনকর্মে অনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিওপ্যাথিতে তারও চমৎকার চিকিৎসা আছে। আবার নারী-পুরুষ উভয়েরই যৌনশক্তি মাত্রাতিরিক্ত থাকতে পারে এবং অনেকে সময়মতো বিবাহ করতে না পারার কারণে অথবা অকালে স্ত্রীর মৃত্যু-তালাক-বিধবা হওয়ার কারণে তাদের যৌন চাহিদা পূরণ করতে পারেন না এবং এই সমস্যা নিয়ে তারা বিপদে পড়েন। এসব ক্ষেত্রে হোমিও ঔষধের মাধ্যমে কিছুদিনের জন্য যৌনশক্তি কমিয়ে রাখা যায় এবং এতে আপনার শরীরের বা যৌনশক্তির কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নাই।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাওঔষধ সমহঃ
Origanum marjorana: ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।
Moschus Moschiferus : ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
kali Bromatum : বিষন্নতা জনিত কারণে যৌন দুর্বলতায় এটি প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণগুলি হলো স্মরণশক্তির দুর্বলতা, স্মায়বিক দুর্বলতা, হাত দুটি সর্বদাই ব্যস্ত থাকে, মৃগী ইত্যাদি ইত্যাদি।
Staphisagria : পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। এটি Q, ৩, ৬, ৩০, ২০০ ইত্যাদি যে-কোন শক্তিতে খেতে পারেন ; তবে যত নিম্নশক্তিতে খাওয়া যায় তত উত্তম। রোজ পাঁচ ফোটা করে সকাল-সন্ধ্যা দু’বার। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।
Salix nigra: মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে। এটি মাদার টিংচার (Q) শক্তিতে ২০ থেকে ৫০ ফোটা করে রোজ দুবার করে খেতে পারেন। (সোজাকথায়, এই ঔষধটি যাদের যৌনশক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাদেরটা বাড়িয়ে স্বাভাবিক করবে এবং যাদেরটা স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত বেশী তাদেরটা কমিয়ে স্বাভাবিক করবে।)
(ads1)
Sabal serrulata: সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে। এটি মাদার টিংচার (Q) শক্তিতে ২০ থেকে ৫০ ফোটা করে রোজ দুবার করে খেতে পারেন।
Lycopodium clavatum : লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।
Calcarea Carbonica: ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে। এটি ৩০ শক্তিতে ৫ ফোটা করে রোজ সকালে একবার করে খেতে পারেন।
Natrum carbonicum: যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।
(ads2)
Caladium seguinum: যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীরয নির্গত হয় না বা যাদের বীরয তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তারা ক্যালাডিয়াম খান মাদার টিংচার (Q) শক্তিতে প্রতিদিন ১০ ফোটা করে দুইবেলা।
Agnus Castus : সাধারণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।
Nux Vomica : নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে, শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি। ভালো ফল পেতে এটিও নিম্নশক্তিতে ঘনঘন খাওয়া উচিত।
Phosphoricum Acidum : সাধারণত টাইফয়েড বা এরকম কোন মারাত্মক রোগের ভোগার কারণে, মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি কারণে যৌন ক্ষমতা কমে গেলে অথবা একেবারে নষ্ট হয়ে গেলে (এবং সাথে অন্য আরো যে-কোন সমস্যা হউক না কেন) এসিড ফস আপনাকে সব ফিরিয়ে দিবে।
Selenium : যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।
* পুরুষাঙ্গ বড় করার জন্য Agnus castus (অতীতে যৌন অনাচার), Lycopodium (যাদের পেটে গ্যাস হয়) অথবা Baryta carb (জন্মগতভাবে বোকাটে) [শক্তি ২০০] সপ্তাহে একমাত্রা করে কয়েক মাস খান।
* মহিলাদের মাত্রাতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা দমনের জন্য Platinum, Baryta mur অথবা Salix nigra প্রতিদিন একবার করে খান। পুরুষদের অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা দমনের জন্য Salix nigra অথবা Agnus castus (শক্তি ২০০) তিনবেলা করে পনেরদিন খান।
* অবিবাহিত মেয়েদের অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা দমনের জন্য Platinum (শক্তি ২০০) তিনবেলা করে কিছুদিন খেয়ে পরে শক্তি বাড়িয়ে খেতে পারেন।
* মহিলাদের যৌন মিলনে বিতৃষ্ণাতে Agnus castus (শক্তি Q,৩,৬) পাঁচ ফোটা করে দুইবেলা করে পনের দিন খান।র সমস্যা মনে হয় খুবই বেশী।
অন্তত রাস্তাঘাটের দেয়ালে দেয়ালে যে-সব ডাক্তারী বিজ্ঞাপন দেখা যায়, সেগুলো দেখলে যে-কারো এমন ধারণা হওয়াই স্বাভাবিক। আবার এসব বিজ্ঞাপনের বেশীর ভাগই দেখা যায় হোমিও ডাক্তারদের বিজ্ঞাপন। এতে অনেকের মনে হতে পারে যে, সম্ভব হোমিওপ্যাথিতে যৌন রোগের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা আছে। হ্যাঁ, বাস্তবেও কথাটি সত্য। অন্য যাবতীয় রোগের মতো যৌনরোগেরও সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা আছে হোমিওপ্যাথিতে। আমার কাছে যৌন দুবর্লতার যত রোগী এসেছে, তাদের প্রত্যেকেই বলেছেন যে, এলোপ্যাথিক বা কবিরাজি চিকিৎসায় তারা কোন সত্যিকারের উপকার পান নাই। (যতদিন ঔষধ খাই ততদিনই ভাল থাকি ; ঔষধ বন্ধ করলেই অবস্থা আগের মতো।)
(ads1)
অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌন দুরবলতা, যৌনকর্মে অনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিওপ্যাথিতে তারও চমৎকার চিকিৎসা আছে। আবার নারী-পুরুষ উভয়েরই যৌনশক্তি মাত্রাতিরিক্ত থাকতে পারে এবং অনেকে সময়মতো বিবাহ করতে না পারার কারণে অথবা অকালে স্ত্রীর মৃত্যু-তালাক-বিধবা হওয়ার কারণে তাদের যৌন চাহিদা পূরণ করতে পারেন না এবং এই সমস্যা নিয়ে তারা বিপদে পড়েন। এসব ক্ষেত্রে হোমিও ঔষধের মাধ্যমে কিছুদিনের জন্য যৌনশক্তি কমিয়ে রাখা যায় এবং এতে আপনার শরীরের বা যৌনশক্তির কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নাই।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও