Subject : Food & Fitness: বাংলা রান্নার রেসিপি মশলা ধোসা, Bengali Cooking Recipe Masala dosa, খুব সহজে মশলা ধোসা রান্নার রেসিপি, মশলা ধোসা কিভাবে রান্না করে, Ranna Recipe মশলা ধোসা,রান্নাবান্না খাবার রেসিপি তে আজ মশলা ধোসা,মশলা ধোসা রান্নার মজার রান্না শিখুন,রান্নার টিপস মশলা ধোসা, হাইজেনিক খাবার রেসিপি মশলা ধোসা
সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারের মধ্যে ধোসা বাঙালির প্রিয় খাবারের মধ্যে অন্যতম। আর মসলা ধোসা হলে তো কথাই নেই। আঙ্গুল চেটে প্লেট একেবারে পরিষ্কার। রাস্তঘাটে প্রায়শই অনেকেই ধোসা খেয়ে থাকেন।
আজ জানাবো আপনাদের প্রিয় এই খাবারটিকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে বানাবেন। দেখে নিন উপকরণ এবং প্রণালী।
উপকরণ:
১.২ কাপ আতপ চাল
২.১ কাপ সেদ্ধ চাল
৩.১ কাপ বিউলির ডাল
৪.১ চামচ মেথি
৫.নুন
৬.সাদা তেল
৭. ৩টি আলুসেদ্ধ
৮.২টি মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ কুচি
৯.২টি মাঝারি সাইজের টমেটো কুচি
১০.একমুঠো বাদাম
১১.একমুঠো কারীপাতা
১২.২ থেকে ৩টি কাঁচালংকা কুচি
১৩.ধনেপাতা কুচি
১৪.হলুদ গুঁড়ো
১৫.লঙ্কার গুঁড়ো
১৬.শুকনো লঙ্কা
১৭.সরষে
১৮.সামান্য হিং
১৯.হাফ ইঞ্চি আদা কুচি
২০.সম্বর মসলা
প্রণালী :
আতপ চালকে ভালো করে ভিজিয়ে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সেদ্ধ চালকেও ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। বিউলির ডাল এবং মেথিকেও ধুয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
এর পরে ধুয়ে রাখা আতপ চাল,সেদ্ধ চালকে একসাথে বেটে নিতে হবে। চাইলে এর জন্য মিক্সিও ব্যবহার করা যেতে পারে। দুই রকমের চাল মিক্সিতে দেওয়ার পরে অল্প অল্প করে জল দিতে হবে যাতে মিশ্রণটি বেশ পাতলা না হয়ে যায়। একটা বাটির মধ্যে মিশ্রণটিকে ঢেলে রাখতে হবে। এইবারে মিক্সিতে দিয়ে দিতে হবে ভিজিয়ে রাখা বিউলির ডাল এবং মেথি। অল্প অল্প করে জল দিয়ে এটিরও একটি মিশ্রণ তৈরী করে নিতে হবে। চালের মিশ্রন রাখা বাটির মধ্যে ডাল এবং মেথির মিশ্রণকে ঢেলে দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে। এই মিশ্রণটিকে এইবারে ফার্মেন্টেশনের জন্য ১২ ঘন্টার মতো রেখে দিতে হবে। শীতকালে এটিকে ১ দিন গোটা রেখে দিতে হবে কিন্তু গরমকাল হলে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টাই যথেষ্ট। মিশ্রণটিকে অবশ্যই ভালো করে ঢেকে একটা অন্ধকার জায়গায় রেখে দিতে হবে। ১২ থেকে ১৪ ঘন্টার পরে মিশ্রণটির ঢাকা খুলে নিয়ে ভালো করে আরেকবার ফেটিয়ে নিতে হবে। ফার্মেন্টেশনের জন্য এই মিশ্রণটির উপরে একটা স্তর পরে যাবে। এইবারে মিশ্রনে স্বাদ মতো নুন দিয়ে আবার ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
মিশ্রণটিকে ফেটানোর সময় অল্প করে জল দিতে হবে কারণ মিশ্রণটি ঘন হলে চলবে না। পাতলা হতে লাগবে।
আলুর পুর তৈরী করার জন্য কড়াই গরম করে ৩ চামচ সাদা তেল দিতে হবে। কড়াই গরম হলে এর মধ্যে একে একে দিয়ে দিতে হবে মেথি ,শুকনো লঙ্কা এবং হিং। ফোড়নকে ভালো করে নাড়িয়ে দেওয়ার পরে এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে কুচনো পেয়াঁজ। মাঝারি আঁচে রেখে পেঁয়াজকে হালকা করে ভেজে নিতে হবে।
পেয়াঁজ হালকা ভাজা ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে কারি পাতা, কাঁচা লঙ্কা কুচি । এর পরে এর মধ্যে এক এক করে দিয়ে দিতে হাফ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ,হাফ চা চামচ শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো ,স্বাদমতো নুন ,সাম্বার মশলা ,এবং কুচানো টমেটো। গ্যাসের আঁচকে একেবারে কমিয়ে কড়াইকে ৩ মিনিটের মতো ঢাকা দিয়ে দিতে হবে।
৩ মিনিট পরে পেস্ট করে রাখা আদা ,এবং একমুঠো বাদাম দিয়ে দিতে হবে। সব উপকরণকে ভালো করে মিশিয়ে গ্যাসের আঁচ বাড়িয়ে ১ মিনিটের মতো ভালো করে রান্না করতে হবে।
টমেটোগুলো ভালো করে মিশে গেলে সেদ্ধ করে রাখা আলুগুলোকে ভালো করে চটকে কড়াইতে দিয়ে দিতে হবে। আলুগুলোকে ভালো করে মেশানোর পরে দিয়ে দিতে হবে ধনেপাতা। সব উপকরণকে আবার ভালো করে মিশিয়ে ২ মিনিটের জন্য রান্না করতে হবে। মশলা ধোসার পুর তৈরী হয়ে গিয়েছে।
ধোসা বানানোর জন্য একটি তাওয়া নিয়ে ভালো করে গরম করে নিতে হবে।
তাওয়া ভালো করে গরম হয়েছে কিনা জানার জন্য তাওয়াতে একটু জলের ফোঁটা ছিটিয়ে দিতে হবে। জলের ছিটেগুলি ভালো করে শুকিয়ে যাওয়ার অর্থ হলো তাওয়া ভালো করে গরম হয়ে গিয়েছে। শুকনো একটি কাপড় দিয়ে ভালো করে তাওয়াটিকে মুছে নিতে হবে। এর পরে যে ব্যাটারটা আগে তৈরী করা হয়েছিল সেটিকে তাওয়ার মাঝখানে দিয়ে ভালো করে চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। মাঝারি আঁচে ধোসাটিকে বানাতে হবে।
স্পাচুলা ব্যবহার করে উপর থেকে অল্প অল্প করে তেল চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। ধোসার মাঝখানের রংয়ে যখন পরিবর্তন আসবে তখন আলুর পুর দিয়ে দিতে হবে। এইসময় গ্যাসের আঁচ মাঝারি রাখতে হবে। চারিদিক থেকে তাওয়া থেকে যখন ব্যাটারটা উঠে আসবে তখন ভালো করে মুড়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে মশলা ধোসা।
You Can Email Us Questions & Comments: info@healthcitylife.com