#Post ADS3

advertisement

না জানলে কি ক্ষতি হয়, মেয়েদের কোন বয়স থেকে ব্রা পড়া উচিত,কম বয়সে ব্রা পড়লে মেয়েদের কি কি ক্ষতি হয়

 

না জানলে কি ক্ষতি হয়, মেয়েদের কোন বয়স থেকে ব্রা পড়া উচিত,কম বয়সে ব্রা পড়লে মেয়েদের কি কি ক্ষতি হয়

মেয়ে বড় হবার সাথে সাথেই প্রত্যেক মায়েদেরকে তাকে নিয়ে নানারকম চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে যায়। দশ বা এগারো বছর বয়স থেকে যখন তাদের বয়ঃসন্ধিকালের আরম্ভ হয়, তখন থেকেই মেয়েদের প্রায় একটা নতুন রকম যাত্রা শুরু হয়ে যায়, যে যাত্রাটা তাদের এতদিনের বেড়ে ওঠা, চারপাশের জগত থেকে প্রায় অনেকটাই আলাদা হয়ে যায়। শরীর-মন তখন অন্যভাবে বেড়ে ওঠে। আর সেই নতুনভাবে বেড়ে ওঠার সূত্রেই তারা ‘মেয়ে’ হয়ে ওঠে। 


রাস্তায় বেরোলে বিশেষ অঙ্গের দিকে ছেলেরা তখন তাকায়। সব মিলিয়ে তখন নতুন একটা অস্বস্তি, ভয়ের জীবন। মায়েদেরও উচিত তাঁদের মেয়েদের জীবনের এই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাদের দিকে বেশী করে নজর দেওয়া। আর এই নজর দেবারই একটা অঙ্গ হয়ে ওঠে খেয়াল করে মেয়েকে ঠিক সময়ে ঠিক মাপের ব্রা কিনে দেওয়া।


 সুন্দর, উঁচু ও ভরাট স্তনের অধিকারী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন প্রায় সব নারীই। নইলে যেন নারীত্বে কোথাও খামতি রয়ে যায়। যদিও এর পক্ষে বিপক্ষে তর্ক চলবেই।


ব্রা স্তনকে সুরক্ষিত রাখে। বাইরের যেকোনো আঘাত থেকে স্তনকে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়াও নানারকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় নারীদের। অনেক সময় ঝুঁকে নীচু হয়েও নানারকম কাজও করতে হয়। সেক্ষেত্রে নানারকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে ব্রা পরা দরকার।


 সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্রা এর চেহারা, সাইজ, রং, ডিজাইন অনেক কিছুই বদলে গেছে। একঝলকে জেনে নিন বক্ষের যত্ন নিতে ঠিক কেমন ব্রা ব্যবহার করা উচিৎ।





‘প্রথমত’ অস্বস্তি

দশ-এগারো বা বারো বছরের একটা বাচ্ছা মেয়ের পক্ষে তার কখন ব্রা লাগবে সেটা বলা সত্যিই খুব কঠিন। খানিকটা অস্বস্তি বা লজ্জারও বটে। অধিকাংশ মেয়েই তাই মাকে বলে উঠতে পারে না যে তার ব্রা লাগবে। অথচ সমবয়সী বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এসময় ব্রা পরতে শুরু করে দেয়। তাই মায়েদেরই বিশেষ করে খেয়াল করা উচিত যে মেয়ের আদৌ ব্রায়ের প্রয়োজন হয়েছে কিনা বা তার ব্রা পরার সঠিক সময় এসে গিয়েছে কিনা।

স্তনকে সঠিক সাপোর্ট দিতে

অনেক সময় নানারকম দৌড়-ঝাঁপের কাজ থাকে। আবার শরীরচর্চার সময়ও স্তনকে সাপোর্ট দেওয়ার দরকার পড়ে। নাহলে এই দৌড়ঝাঁপ বা শরীরচর্চার সময় স্তনের লেগে যাবার সম্ভাবনা থাকে। আবার আকারও নষ্ট হতে পারে। তাই ব্রা স্তন দুটিকে সঠিক সাপোর্টে রাখে। দৌড়-ঝাঁপ বা সাধারণ ভাবে হাঁটলেও, স্তনের অনিচ্ছাকৃত মুভমেন্ট, বা নীচের দিকে ঝুলে থাকা যেগুলো খুবই অস্বস্তিকর। এছাড়াও শরীরচর্চা বা খেলার সময় ব্রা না পরলে স্তনের অনিচ্ছাকৃত নানারকম মুভমেন্ট অতিরিক্ত হয়, ফলে স্তনে ব্যথাও হয়। তাই ব্রা স্তনকে সঠিক সাপোর্টে রাখে।

কত বছর বয়স থেকে মেয়েদের ব্রা পরা উচিত

মোটামুটি ভাবে মেয়েদের বয়ঃসন্ধি এগারো বা বারো বছর বয়স থেকেই শুরু হয়। তার খানিক আগে থেকেই তাদের শরীরের বৃদ্ধি হতে শুরু করে। স্তন সুগঠিত হতে শুরু করে। স্তন গঠিত হতে শুরু করেছে কিনা তা আপনি বুঝতে পারবেন যখন বক্ষদেশ আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করবে। স্তনবৃন্ত সুগঠিত হতে শুরু করবে।

এই সময়ে বুকের ওই অংশে বেশ ব্যথা অনুভূত হয়। এই সময়ে মেয়েরা স্বাভাবিক ভাবেই রাস্তায় বেরোলে আচমকাই বেশী লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকে যা তাদের নিজেদের কাছেও অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। স্তন সম্পর্কে মেয়েরা এইসময় থেকেই সচেতন হতে শুরু করে।

এরকম অবস্থায় তাদের বক্ষবন্ধনী কিনে দেওয়া উচিত। তবে সব মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি এক রকম হয় না। হয়ত দেখবেন কোনো কোনো মেয়েকে এগারো বছর বয়স থেকেই বক্ষবন্ধনী পরতে হয়, তার শারীরিক গঠন ও বৃদ্ধির কারণেই।

আবার হয়ত দেখবেন কোনো কোনো মেয়ে প্রথম বক্ষবন্ধনী পরতে শুরু করে প্রায় চোদ্দ বছর বয়সে এসে। শারীরিক গঠন প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার। তাই যার যখন প্রয়োজন তার তখনই বক্ষবন্ধনী পরা উচিত। বন্ধুরা পড়ছে অথচ আমি পড়ছি না এই নিয়ে অযথা চিন্তা না করাই ভালো।

ব্রা কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

বক্ষকে বেঁধে রাখতে বাজারে অনেক রকমের বক্ষবন্ধনী পাওয়া যায়৷ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো শুধু মিষ্টি রং, সুন্দর ডিজাইন আর কম দাম দেখে নয়, স্বাস্থ্যের জন্য সেটা কতটা উপযোগী অর্থাৎ কাপড়ের মানও দেখা প্রয়োজন।

তাছাড়া কিছু বক্ষবন্ধনীতে স্তনের আকার আরও সুন্দর করতে ব্রা’র কিনারায় গোল করে স্টিল বা ধাতব পাত লাগানো হয়। এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতি বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে কী না, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। বক্ষবন্ধনী কেনার সময় দেখে নিন সেই হুক লাগানোর অনেকগুলো ঘর আছে কিনা।

যে বক্ষবন্ধনী গুলিতে হুক লাগানোর জন্য একাধিক ঘর আছে সেগুলো কেনাই ভালো। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের স্তনযুগল অনেক বড়, তারা এক-দুই সাইজ ছোট বা খুব আঁটসাঁট বক্ষবন্ধনী পরেন, যা একদমই ঠিক নয়।

কারণ এটা দেখতে যেমন ভালো লাগে না, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর৷ তাছাড়া বেশি আঁটসাঁট বক্ষবন্ধনী পরলে শ্বাসকষ্টও হয় অনেকের। তাই বেশি বড় বা বেশি ছোট কোনটাই ঠিক নয়।

এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বেশি টাইট বক্ষবন্ধনী কে স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ভয়াল ক্যান্সার হতে নিজেকে দূরে রাখার জন্য সঠিক মাপের বক্ষবন্ধনী পরিধান জরুরি। তাই আন্দাজে বক্ষবন্ধনী কিনতে যাবেন না।

একসঙ্গে একাধিক বক্ষবন্ধনী কিনুন। ব্রা ভালো রাখতে হলে এবং সঠিক মাপে রেখে দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে হলে একই বক্ষবন্ধনী সপ্তাহে দু’দিনের বেশি পরবেন না। সম্ভব হলে একদিনই পরুন।

ইলাস্টিককে কয়েকদিন বিশ্রাম দিলে এর ইলাস্টিসিটি আবার আগের মত হয়ে যায় কিছুটা। তাই বক্ষবন্ধনী কেনার সময় এক সঙ্গে একাধিক কিনুন, যেন বদলে বদলে পরা যায়।




কিছু অভ্যেস 

ব্রা সবসময় পরে থাকতে হয়, এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। রাতের বেলা ঘুমের সময় মেয়েকে ব্রা ছাড়া ঘুমোতে অভ্যেস করান।



আর খেয়াল রাখবেন মেয়েদের জন্যে প্রথম ব্রা কিন্তু খুব জরুরি। তাই দেরি করে ফেলবেন না। আপনার মেয়েকে ঠিক সময়ে ব্রা পরার অভ্যেস করান, সঠিক মাপের ব্রা পরান। 

Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement