#Post ADS3

advertisement

আমার জানা তিনজন সাধক হচ্ছেন অমল ঠাকুর,স্বামী আচার্য চয়ন,সন্ধ্যা দেবী। অমল ঠাকুর একজন শিব ভক্ত

  

“সকল সাধকেরই মূল উদ্দেশ্য পরম পুরুষকে পাওয়া।” উক্তিটির যৌক্তিকতা নিরুপণ করাে।

 

“সকল সাধকেরই মূল উদ্দেশ্য পরম পুরুষকে পাওয়া।” উক্তিটির যৌক্তিকতা নিরুপণ করাে।


উত্তর :


ঈশ্বর সর্বশক্তিমান। তিনি এক ও অদ্বিতীয়।তার উপরে আর কেউ নেই। তিনিই পরম পুরুষ। ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যখন কেউ গভীর ধ্যানে মগ্ন হয় তখন তাকে সাধনা বলা হয়। সাধনার মাধ্যমে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করা যায়। ঈশ্বর যখন সাধনায় সন্তুষ্ট হােন তখন তিনি তার ভক্তের মনােবাঞ্চা পুরণ করেন। ঈশ্বরই হচ্ছেন পরম পিতা,তিনিই পরম পুরুষ।ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সাধনা করা হয় অর্থাৎ সাধনার উদ্দেশ্যই হচ্ছে পরম পুরুষকে পাওয়া।


আমার জানা তিনজন সাধক হচ্ছেন অমল ঠাকুর,স্বামী আচার্য চয়ন,সন্ধ্যা দেবী। অমল ঠাকুর একজন শিব ভক্ত। তিনি ঈশ্বরের আরাধনা হিসেবে ধ্যানকেই বেছে নিয়েছেন। একনিষ্ঠ মনে নিরিবিলি বসে ঈশ্বরের আরাধনা করাকেই ধ্যান বলেন ।


অমল ঠাকুরের কাছে ঈশ্বর নিরাকার এবং ধ্যানই হচ্ছে ঈশ্বর লাভের পথ তাই তিনি একজন জ্ঞানী ভক্ত।

স্বামী আচার্য রােজ সকালে উনার বাড়ির মন্দিরে ঈশ্বরের পুজা অর্চনা করেন এবং রােজ সম্পূর্ণ গীতা পাঠ করেন, নৈবেদ্য চড়ান তার কাছে ঈশ্বর সাকার। তাই ঈশ্বরের প্রতিমা বা প্রতীক সামনে রেখেই তিনি করেন তার সাধনা। তার কাছে এটাই

পরম পুরুষকে পাওয়ার পথ।


অন্যদিকে সন্ধ্যা দেবী ধ্যানও করেন আবার পুজা অর্চনাও করেন। তার কাছে ঈশ্বরকে মন দিয়ে ডাকাই হচ্ছে তাকে পাওয়ার একমাত্র পথ।তিনি ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার জন্য সবকিছুই করতে চান। তাই তার কাছে ঈশ্বর

সাকার-নিরাকার দুটোই। তাদের সাধনার পথ পৃথক ।একজনের কাছে ঈশ্বর সাকার তাে আরেকজনের কাছে ঈশ্বর নিরাকার আবার অন্যজনের কাছে ঈশ্বর সাকার ও নিরাকার উভয়ই। তবে তারা সবাই কিন্তু একই ঈশ্বরের সাধনায় ব্রত। এক ঈশ্বরকে পাওয়ার আকাঙখা থেকেই তাদের সাধনার পথে পা বাড়ানাে।


ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় তাই একাধিক ঈশ্বরের আরাধনা কখনােই সম্ভব নয়। যে যেভাবেই সাধনা করুক না কেন তাদের সবারই মূল উদ্দেশ্য পরম পুরুষকে পাওয়া। সেক্ষেত্রে আমার জানা তিনজন সাধকের সাধনার পথ পৃথক হলেও তাদের উদ্দেশ্য ওই এক পরম পুরুষেই গিয়ে মিলেছে। তাই ভক্ত যতজনই হােক আর যে যেভাবেই ভজনা করুক প্রত্যেকের জন্য ঈশ্বর হলেন একজন। এক ঈশ্বরের শিষ্য সবাই, সবারই উদ্দেশ্য ঈশ্বর তথা পরম পুরুষের সান্নিধ্য লাভ করা,তাকে

পাওয়া। তাদের মত ও পথ আমায় ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছে। তাদের সাধনা দেখে আমি এটা বুঝতে পেরেছি যে এই জীবনে আমাদের প্রধান কাজই হচ্ছে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের প্রচেষ্টা। পরম পুরুষকে না পেলে কারােরই মােক্ষলাভ ঘটবে না।

আমি এটা জানতে পেরেছি যে,ঈশ্বরকে লাভের জন্য তাকে মন দিয়ে ডাকাই হচ্ছে সহজ পথ। ঈশ্বরকে যে যেভাবেই ভজনা করুক যদি সে মন দিয়ে তাকে ডাকতে পারে তাহলে ঈশ্বরও তার ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন। ভক্তের ডাকে ভগবান সাড়া না দিয়ে থাকতে পারেন না। এখন আমিও রােজ গীতাপাঠ করি  ।প্রতিদিন স্নান করে ধ্যান করি।পুজা অর্চনাও করি।আমার উদ্দেশ্য তাদের মতাে এতটা গভীর না হলেও আমিও ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে চাই। কারন ভগবান ছাড়া ভক্তের কোনাে মূল্য

নেই। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত ঈশ্বরের নামে নজের জীবনকে সমাপিত করা। আমাদের জীবন দা করেছেন ঈশ্বর,তাই জীবনে চলার পথে তাকেই সবার উপরে রেখে চলতে হবে।ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারলেই জীবন হবে মধুময়।

Assignment

Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement