ফ্যাটি লিভার' হলে কী খাবেন ও ফ্যাটি লিভারের ডায়েট চার্ট

ফ্যাটি লিভার' হলে কী খাবেন ও ফ্যাটি লিভারের ডায়েট চার্ট
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 

ফ্যাটি লিভার' হলে কী খাবেন ও ফ্যাটি লিভারের ডায়েট চার্ট

আজকাল ঘরে ঘরে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। তাই এই রোগকে কেউ খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু এই রোগের চিকিৎসা না করে ফেলে রাখলে পরে পরিণতি আরও খারাপ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভারে কেউ আক্রান্ত হয়েছেন, তা বুঝতেই অনেকটা দেরী হয়ে যায়। 


ফ্যাটি লিভারের আবার রকমফের হয়। একটি অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। অন্যটি নন-অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার। লিভারে চর্বির পরিমাণ যখন ৫ থেকে ১০ শতাংশ বেড়ে যায়, তখনই তাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়। 


অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার- মদ্যপান করলে লিভারে অতিরিক্ত মেদ জমলে তাকে বলে অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার। 


নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার- যখন খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ফাস্টফুড, অনিয়মিত জীবনযাপনের জন্য লিভারে মেদ জমলে তাকে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার বলা হয়। এছাড়া বংশানুক্রমিক ভাবেও ফ্যাটি অ্যাসিড হতে পারে। 



ফ্যাটি অ্যাসিড থেকে বাঁচার রয়েছে কিছু ঘরোয়া সহজ উপায়। জেনে নেওয়া যাক এমন দুটি ঘরোয়া উপায়, যেগুলি ব্যবহার করলে আপনি ফ্যাটি লিভার থেকে রেহাই  পেতে পারেন। 


১) এক গ্লাস উষ্ণ জল নিন। তাতে ১ চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনে এর সঙ্গে মেশান ১ চামচ মধু। এই মিশ্রণ খালি পেটে নিয়মিত খান। যাঁদের অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই মিশ্রণ খেলে উপকার পাবেন। 


২) ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এক গ্লাস গরম জলের সঙ্গে ২ চামচ পাতি লেবুর রস ও মধু মেশান। রোজ সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণ খান। পাতি লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট লিভারের মেদ বার্ন করতে সাহায্য করে। 


প্রসঙ্গত, ফ্যাটি লিভার প্রথমে সাধারণ অসুখ মনে হলেও চিকিৎসা না করালে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। লিভার সিরোসিস মারাত্মক আকার নিতে পারে। তাই শুধু ঘরোয়া টোটকা নয়। ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 


উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারে ‘ফ্যাটি লিভার’ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় তথ্য পাওয়া গেছে।


জার্মানির গবেষকেরা বলছেন, চর্বিহীন মাংস, মাছ, শিম ও বাদামজাতীয় খাবার খেলে ছয় সপ্তাহের মধ্যে লিভার বা যকৃত থেকে যথেষ্ট পরিমাণ চর্বি কমাতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে যকৃতে অধিক চর্বি থাকলে প্রাণী বা উদ্ভিদ যেকোনো উৎস থেকে আসা উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে চর্বি ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত কমতে দেখা গেছে।


গবেষণা প্রবন্ধের প্রধান লেখক জার্মান ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন পটসডাম-রেহব্রুকের (ডিআইএফই) এন্ডোক্রিনোলজিস্ট অ্যানদ্রেয়াস এফ এইচ পেইফার বলেন, ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা না করানো হলে এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হতে পারে এবং তা লিভার সিরোসিস পর্যন্ত যেতে পারে। এটি জীবনঝুঁকি তৈরি করে।


‘গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা-সংক্রান্ত নিবন্ধ।



গবেষণার দেখা গেছে, উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যকৃত ও লিপিড বিপাকে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। এ ছাড়া ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে।


এ গবেষণার জন্য গবেষকেরা উদ্ভিদ ও প্রাণী উৎস থেকে আসা দুই ধরনের উচ্চ প্রোটিনের প্রভাব নিয়ে পরীক্ষা চালান। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ফ্যাটিলিভারের ৪৯ থেকে ৭৮ বছর বয়সী ৩৭ জন নারী-পুরুষকে নিয়ে এ গবেষণা চালানো হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে রেনাল ফাংশন বা গ্লুকোজ বিপাকে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি এবং রোগীরা উপকৃত হয়েছেন। অর্ধেকের বেশি রোগীর ক্ষেত্রে যকৃতের চর্বি কমতে দেখা গেছে। 


Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.