#Post ADS3

advertisement

সমষ্টিগত সম্পদ এর তালিকা এবং এগুলো সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা

 

সমষ্টিগত সম্পদ এর তালিকা এবং এগুলো সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা

শ্রেণিঃ ৯ম, ৩য় এস্যাইনমেন্ট, বিষয়: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

এ্যাসাইনমেন্টের ক্রম: নির্ধারিত কাজ-২


অধ্যায় ও বিষয়বস্তুর শিরােনাম: 

দশম অধ্যায়ঃ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) • টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে অংশীদারিত্বের গুরুত্ব টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের সম্ভাব্য ফলাফল

একাদশ অধ্যায়ঃ জাতীয় সম্পদ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা


এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ:

তােমার এলাকার সমষ্টিগত সম্পদের একটি তালিকা তৈরি কর। তালিকার যে কোনাে একটি সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে তুমি কী ধরনের ভূমিকা পালন করতে পার তা বর্ণনা কর।

সমষ্টিগত সম্পদ এর তালিকা এবং এগুলো সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা: সম্পদকে ব্যক্তিগত, একান্ত ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক এই পাঁচটি শ্রেণীতে বিন্যস্ত করা যায়।


 এর মধ্যে যে সম্পদগুলো সমাজের সকল লোকে সম্মিলিতভাবে ভোগ করে সে গুলোকে সমষ্টিগত সম্পদ বলে।

আজকের আলোচনায় আমরা সমষ্টিগত সম্পদ এর একটি তালিকা তৈরি করব এবং এর মধ্যে একটি সমষ্টিগত সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে ব্যক্তিগত ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব।


আজকের টিউনটি পড়ে তোমরা সমষ্টিগত সম্পদ এর তালিকা তৈরি করতে পারবে এবং সমষ্টিগত সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে তোমার নিজের ভূমিকা শীর্ষক একটি প্রবন্ধ লিখতে পারবে।


তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।


সমষ্টিগত সম্পদ:

আমাদের চারপাশে অনেক সম্পদ রয়েছে যেগুলো আমরা সম্মিলিতভাবে ব্যবহার করি যেমন রাস্তাঘাট রেলপথ বাদ পার্ক সরকারি হাসপাতাল স্কুল ইত্যাদি।


চারপাশের এই সম্পদ গুলো আমরা চাইলে একাকী ভোগ করতে পারি না সমাজের সকল মানুষ মিলে ভোগ করতে হয়। ‌


যে সকল সম্পদ গুলো সমাজের সকল লোকের সম্মিলিতভাবে ব্যবহার করে বা ভোগ করে সেই সম্পদগুলোকে সম্মিলিত সম্পদ বলা হয়।


সম্মিলিত সম্পদের তালিকা:

আমাদের চারপাশে সমাজের সকল লোকে ব্যবহার করে এমন সম্পত্তি গুলোর মধ্যে রয়েছে-

রাস্তাঘাট, রেলপথ, বাঁধ, পুল, কালভার্ট, মসজিদ, মাদ্রাসা, পাবলিক লাইব্রেরী, ক্লিনিক, পার্ক, সরকারি হাসপাতাল, বিদ্যালয়, বনাঞ্চল, খনিজ সম্পদ, নদ-নদী।


সমষ্টিগত সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে ব্যক্তিগত ভূমিকা:

আমাদের আশপাশে অনেক গুলো সমষ্টিগত সম্পদ এর মধ্যে অন্যতম একটি সমষ্টিগত সম্পদ হলো বিদ্যালয়। সমাজের সকল শ্রেণীর সকল পেশার মানুষ বিদ্যালয় ব্যবহার করে শিক্ষা গ্রহণ শেষে দেশ ও জাতির জন্য এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করে।


বিদ্যালয় এমন একটি সমষ্টিগত সম্পদ যা সংরক্ষণ ও উন্নয়নে আমাদের ভূমিকা রাখা অত্যাবশ্যক।


আমার অঞ্চলের বিদ্যালয়ের সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে আমি যে সকল ভূমিকা পালন করতে পারি-


১. বিদ্যালয়ের সম্পদ রক্ষা:


আমাদের বিদ্যালয়ের যেসকল স্থায়ী সম্পদ ও অস্থায়ী সম্পদ রয়েছে এগুলো সংরক্ষণ ও রক্ষা করা আমাদের একান্ত দায়িত্ব।


বিদ্যালয়ের চেয়ার-টেবিল দরজা-জানালা ভবন ইত্যাদির নিখুঁত ভাবে সংরক্ষন করে আমরা এর সম্পদ রক্ষা করতে পারি।


২. শিক্ষার্থী আনায়ন:


বিদ্যালয়ের আশেপাশে যে সকল এলাকার মানুষ পাঠ গ্রহণে বিমুখ বা শিক্ষায় পিছিয়ে সে সকল এলাকার শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিক্ষার্থী আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।


৩. প্রচার প্রচারণা:


আমার বিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে প্রচার প্রচারণার কাজ আমি নিজ দায়িত্বে করতে পারি।


নতুন বছরে শিক্ষার্থী ভর্তি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সহ নানাবিদ অনুষ্ঠানের প্রচার প্রচারণা করে বিদ্যালয়ের কাজ করতে পারি।


৪. বিদ্যালয়ের ভবন সংরক্ষন:


বিদ্যালয়ের ভবন গুলো যেন কেউ নষ্ট করতে না পারে বা কোন ভবন কোন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমি সকলকে সংঘটিত করে বিদ্যালয়ের ভবন গুলো সংরক্ষন করতে পারি।


নানাবিধ দুর্ঘটনায় বা দুর্যোগে ভবনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে আমরা সামাজিক ভাবে তা সমাধান করতে পারি।


Assignment Answer

৫. বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষা:

আমরা যারা বিদ্যালয় অধ্যায়ন করে তারা বিদ্যালয়ের আইন-কানুন ভালো ভাবে অনুসরণ করে শিক্ষকদের বিধি-নিষেধ মেনে চলে বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারি।


এতে বিদ্যালয়ের পাঠদানের পরিবেশ ও সার্বিক বিষয়ে আরো বেশি উন্নত হয়ে যাবে।


৬. কর্তৃপক্ষকে অবহিত করণ:


বিদ্যালয়ের কোন সম্পদ বা তথ্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে সাথে সাথে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারি।


৭. ক্ষতিসাধন থেকে রক্ষা:


বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কোন সম্পদ কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ক্ষতি করতে চাইলে সেটা সাথে সাথে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সেই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারি।

৮. মিতব্যয়ী হওয়া:


Assignment Answer

বিদ্যালয়ের যে সকল সম্পদ যেমন পানি বিদ্যুৎ গ্যাস এগুলো আমরা ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক বেশি মিতব্যয়ী হয়ে বিদ্যালয়ের সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি।


৯. নির্মাণে অংশগ্রহণ:


বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনা বা প্রাচীর নির্মাণে আমরা সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কে সহযোগিতা করে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারি।


১০. দরিদ্র তহবিল গঠন:


প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সমন্বয়ে আমরা দরিদ্র তহবিল গঠন করার মাধ্যমে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাঠ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারি।


এতে আমাদের অঞ্চলে শিক্ষার হার অনেক বাড়বে এবং বিদ্যালয়ের উন্নয়ন হবে।


উপরোক্ত কাজগুলো করে আমরা আমাদের সমাজের সম্মিলিত সম্পদ বিদ্যালয়ের সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা পালন করতে পারি।

আশা করছি উপরোক্ত তথ্যাবলি এনালাইসিস করে তোমরা তোমাদের মত করে সমষ্টিগত সম্পদ এর তালিকা

Assignment Answer

এবং এগুলো সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা শীর্ষক একটি প্রবন্ধ লিখতে পারবে।


তোমরা কোনোভাবেই এখান থেকে হুবুহু কপি করবেনা।


এখান পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করে নিজের মত করে সমষ্টিগত সম্পদ এর তালিকা এবং এগুলো সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা শীর্ষক প্রবন্ধ লিখবে যাতে নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের ২য় এস্যাইনমেন্ট সমাধান করতে পারো;


Post a Comment

0 Comments

advertisement

advertisement